জিরোফিলিয়া
জিরোফিলিয়া | |
---|---|
পরিচালক | মার্টিন কারল্যান্ড |
প্রযোজক | গ্রেগরি লেনসে ম্যাট রেডেকি মার্টিন কারল্যান্ড অ্যালান গ্রসবার্ড জে হুইটনে ব্রাউন |
রচয়িতা | মার্টিন কারল্যান্ড |
শ্রেষ্ঠাংশে | টাইলার হ্যান্ডলে জিনা বেলম্যান কাইল স্ক্মিড কেলি লেব্রোক |
সুরকার | কেভিন ম্যাকড্যানিয়েলস এডি পিজপারস |
চিত্রগ্রাহক | গ্রাহাম ফুটারফ্যাস |
পরিবেশক | টিএলএ রিলিজিং অ্যালুমিনেশন ফিল্মওয়ার্ক মাইক্রোঅ্যাঞ্জেলো এনটারটেইনমেন্ট |
মুক্তি | ১৩ অক্টোবর, ২০০৬ |
স্থিতিকাল | ৯০ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | ৩২৫,০০০ ডলার |
জিরোফিলিয়া একটি কল্পসাহিত্য-ভিত্তিক রোম্যান্টিক কমেডি চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেন অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্স’ স্টুডেন্ট অ্যাকাডেমি পুরস্কার জয়ী পরিচালক মার্টিন কারল্যান্ড এবং প্রযোজনা করে মাইক্রোঅ্যাঞ্জেলো এন্টারটেইনমেন্ট। এই ছবি এমন এক যুবকের কাহিনি যে যৌন-উত্তেজনার সময় নিজের লিঙ্গপরিবর্তন করার জিনগত ক্ষমতার কথা জানতে পারে।
কাহিনি-সংক্ষেপ
[সম্পাদনা]"জিরোফিলিয়া" একটি বিশেষ শারীরিক অবস্থা, যে অবস্থায় মানুষের দেহে একটি অতিরিক্ত জেড ক্রোমোজোম লক্ষিত হয়। ছবিতে দেখা যায় যে ইন্টারন্যাশানাল অর্গানাইজেশন অফ জিরোফিলিয়াকস্ দাবি করছে এই বিশ্বের আনুমানিক এক হাজারেরও বেশি মানুষ এই বিশেষ গুণসম্পন্ন। এই অবস্থায় জিরোফিলিয়াকরা তাদের প্রথম যৌনসংগমের পর যখনই যৌনউত্তেজনা অনুভব করে তখনই তাদের লিঙ্গ পরিবর্তন করে নিতে পারে। লুক (টাইলার হ্যান্ডলে) নামে এক যুবক নিজের পুরুষত্ব বিষয়ে কিছুটা নিরাপত্তার অভাব বোধ করত। এক মহিলার (কেলি লিব্রোক) সঙ্গে যৌনসংগমের পর থেকে তার মধ্যে লক্ষণ প্রকট হতে থাকে। মিশেল (রেবেকা মোজো) নামে একটি মেয়ের সঙ্গে তার আলাপ হয় এবং তার সঙ্গে ঘোরার সময় লুকের আংশিক লিঙ্গপরিবর্তন দেখা যায়।
লুক তার প্রিয় বন্ধু কিনানকে (ডাস্টিন সিভে) তার এই আংশিক লিঙ্গপরিবর্তনের কথা জানায়। কিনান ডক্টর সিডনি ক্যাচাডোরিয়ানের (জিনা বেলম্যান) সঙ্গে যোগাযোগ করে। সিডনি লুককে পুরোপুরি লিঙ্গ পরিবর্তন করতে রাজি করায়। লুক হস্তমৈথুনের মাধ্যমে তার পরিবর্তন সম্পূর্ণ করে এবং "লুকা"-এ পরিণত হয়। কিন্তু পুনরায় তার আগের লিঙ্গে ফিরে আসার জন্য অর্গ্যাজমে করতে অসমর্থ হয়; এমনকি কিনানের বান্ধবী জেনিনের (অ্যালিসন ফল্যান্ড) সাহায্যেও নয়। কিন্তু মিশেলের সুদর্শন ভাই ম্যাক্স (কাইল স্ক্মিড) যখন "লুকের কাজিন"-এর (অর্থাৎ, লিঙ্গপরিবর্তিত লুক) সঙ্গে ফ্লার্ট করতে শুরু করে তখন লুক যৌনউত্তেজনা বোধ করে এবং এবং সে আগের লিঙ্গে ফিরে আসে।
লুক তার এই লিঙ্গ পরিবর্তনের ব্যাপারে বেশ ঘাবড়ে যায়। নিজের যৌন অভিমুখিতার ব্যাপারে তার প্রশ্ন জাগে। সে সিডনির কাছে সাহায্য চাইতে আসে। সিডনি তাকে বলে যে একজন জিরোফিলিয়া "এ-মরফিক" হতে পারে এবং তার ক্রমঘটমান লিঙ্গপরিবর্তন বন্ধ করতে পারে। তার জন্য শুধু তাকে অপর একজন জিরোফিলিয়াকের সঙ্গে যৌনসংগম করতে হবে...অর্থাৎ, সিডনির মতো কারোর সঙ্গে। লুক রাজি হয়ে যায়। কিন্তু পরে সে আবিষ্কার করে যে সিডনি তাকে পুরো সত্যি কথা বলেনি। একজন এ-মরফিক জিরোফিলিয়াকও অন্য কোনো জিরোফিলিয়াকের সঙ্গে যৌনসংগম করে আবার তার লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে। সিডনি শুধু নিজেকে পুরুষে পরিণত করার জন্য লুককে ব্যবহার করেছে। আর লুকও আবার লুকা নামের মেয়েটিতে পরিণত হয়েছে।
হাস্যকর টেনশন সৃষ্টি হয় যখন লুক মিশেলকে দূরে রাখার চেষ্টা করে; যখন নিজের বোনের ব্যাপারে ম্যাক্সের অতিরক্ষক মনোভাব প্রকাশ পায়; যখন অনিচ্ছার সাথে লুকা ম্যাক্সের ভালবাসাকে ফিরিয়ে দেয়; বা যখন লুক সংশয়াবদ্ধ মনে ম্যাক্সের উপর রেগে যায়। মিশেল যখন আবিষ্কার করে যে লুক সিডনির সঙ্গে যৌনসংগমে মিলিত হয়েছে, তখন সে নিজেকে প্রতারিত ভাবে। মিশেলকে খুঁজতে গিয়ে লুকা ম্যাক্সকে খুঁজে পায়। ম্যাক্সকে সে জানায় যে মিশেলকে সে কতটা ভালবাসে এবং তাকে প্রতারিত করে সে কতটা দুঃখ পেয়েছে। লুকার এই ক্ষমা চাওয়ায় ম্যাক্সের মন গলে এবং সে প্রকাশ করে যে সেই আসলে মিশেল। তারপর তারা প্রেমে পড়ে যায় এবং বার বার যৌনসংগম করতে থাকে; এবং কখনও লুকা ও ম্যাক্স আবার কখনও লুক ও মিশেল হয়ে বাকি জীবন সুখে কাটিয়ে দেয়।
অভিনয়
[সম্পাদনা]- টাইলার হ্যান্ডলে - লুক
- ডাস্টিন সিভি - কিনান
- অ্যালিসন ফল্যান্ড - জেনিন
- কাইল স্ক্মিড - ম্যাক্স
- রেবেকা মোজো - মিশেল
- অ্যাডাম জোলোটিন – চাড
- জিনা বেলম্যান - ডক্টর সিডনি ক্যাচাডোরিয়ান (মহিলা)
- ক্রিস মেয়ার - জেরেমি
- মারিয়েহ্ ডেলফিনো - লুকা
- কেলি লেব্রোক (ক্যামিও উপস্থিতি) – এক রহস্যময় মহিলা যে লুকের কৌমার্য নষ্ট করে
মুক্তি
[সম্পাদনা]উত্তর আমেরিকায় ছবিটি মুক্তি পায় ১৩ অক্টোবর, ২০০৬। ২০০৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এটি আন্তর্জাতিক স্তরে কেবলে ও ডিভিডি আকারে প্রকাশ পায়। এই ছবির চিত্রনাট্য দ্য ইন্টারন্যাশানাল মুভি স্ক্রিনপ্লে ডেটাবেসে (http://www.imsdb.com) পাওয়া যায়।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official site ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জিরোফিলিয়া (ইংরেজি)
- REVIEW - New York Times (October 13, 2006, New York Times)
- REVIEW - Variety (November 6, 2006, Variety)
- REVIEW - Slant Magazine (2006, Slant Magazine)
- REVIEW - Insight News (February 19, 2007, Insight News)