জাহাজির চর

স্থানাঙ্ক: ২২°৩২′৪৫″ উত্তর ৯১°১৮′০২″ পূর্ব / ২২.৫৪৫৭° উত্তর ৯১.৩০০৫° পূর্ব / 22.5457; 91.3005
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্বর্ণদীপ
স্বর্ণদ্বীপ
জাহাইজ্জার চর
মানচিত্র
ভূগোল
অবস্থানবঙ্গোপসাগর
স্থানাঙ্ক২২°৩২′৪৫″ উত্তর ৯১°১৮′০২″ পূর্ব / ২২.৫৪৫৭° উত্তর ৯১.৩০০৫° পূর্ব / 22.5457; 91.3005
আয়তন৩৭০ বর্গকিলোমিটার (১৪০ বর্গমাইল)
প্রশাসন
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলানোয়াখালী জেলা
উপজেলাহাতিয়া উপজেলা
অতিরিক্ত তথ্য
সময় অঞ্চল

জাহাজির চর হল বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত।

নামকরণ[সম্পাদনা]

অতীতে চট্টগ্রাম-ঢাকা-খুলনা-নারায়ণগঞ্জে বঙ্গোপসাগরের নোয়াখালীর সুবর্ণচর মোহনা হয়ে বড় বড় জাহাজ চলাচল করত। ১৯৯২-১৯৯৭ সালের দিকে এই চরে একটি জাহাজ আটকে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। সেই সময় থেকে এ চরটি জাহাইজ্জার চর নামে পরিচিত লাভ করে।[১] ২০১৩ সালে দ্বীপটি উন্নয়নের জন্য সেনাবাহিনীকে দেয়া হলে সেনাবাহিনীর দ্বীপটির নাম পরিবর্তন করে স্বর্ণদ্বীপ রাখে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

অতীতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়ার অনেক ডাকাত ও জলদস্যুরা ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই চরে আত্মগোপন করত।[২]

২০১৩ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশ সরকার জলদস্যুতা মোকাবেলা করার জন্য দ্বীপটিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে দ্বীপটিতে নানা অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। সেনাবাহিনী দ্বীপটি থেকে জলদস্যুতা নির্মূল করেছে এবং ষাট হাজারের বেশি গাছ লাগিয়েছে। দ্বীপটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

সেনাবাহিনী এই দ্বীপটিতে আনুমানিক ৬০ হাজার ঝাউগাছ, ১৫শ’ সিয়াম নারকেলের চারা ও ১৭শ’ ফলদ গাছ লাগায়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মো. লুত্ফুর রহমান (১৭ জুলাই ২০১৭)। "নোয়াখালীর জাহাইজ্জার চর যেভাবে স্বর্ণদ্বীপ"archive1.ittefaq.com.bd। দৈনিক ইত্তেফাক। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "আতঙ্কের জাহাজ্যারচর এখন আলো ঝলমলে স্বর্ণদ্বীপ"জনকন্ঠ। ১৫ জানুয়ারি ২০১৮। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]