জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত বাংলাদেশের চারুশিল্পের বৃহত্তম উৎসব। [১][২][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭৪ সালে সমকালীন চিত্রকলা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিষয়ক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। এ কর্মকাণ্ডের সূত্র ধরে ১৯৭৫ সালে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে প্রথম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর যাত্রা শুরু। প্রতি দুই বছর পর পর শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এ প্রদর্শনী আয়োজিত হয়।[৩]

২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী, ২০১৯[সম্পাদনা]

২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী ১-২১ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত চলে। এ প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার জন্য ৮৫০ জন শিল্পী আবেদন করেছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদনকৃত শিল্পীদের মধ্যে ৩১০ জন শিল্পীর ৩২২টি শিল্পকর্ম বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ১৫৯টি চিত্রকলা, ৪৫টি ভাস্কর্য, ৫০ টি ছাপচিত্র, ১৭টি কারুশিল্প, ৮টি মৃৎশিল্প, ৩৭টি স্থাপনা ও ভিডিও আর্ট, ৭টি কৃৎকলা (পারফরম্যান্স আর্ট)। পুরস্কারের জন্য সেরা শিল্পকর্ম বাছাইয়ে বিচারক হিসেবে ছিলেন শিল্পী আবদুস শাকুর শাহ, স্থপতি শামসুল ওয়ারেস, শিল্পী রণজীৎ দাস, শিল্পী ফরিদা জামান ও শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুস।[৪]

২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী পুরস্কার্রাপ্তরা হলেন - [১][২]

  • বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গ্র্যান্ড পুরস্কার - শিল্পী কামরুজ্জামান
  • সম্মানসূচক পুরস্কার (চিত্রকলা) - শিল্পী রাফাত আহমেদ বাঁধন
  • সম্মানসূচক পুরস্কার (ভাস্কর্য) - শিল্পী তানভীর মাহমুদ
  • সম্মানসূচক পুরস্কার (ছাপচিত্র) - শিল্পী রুহুল করিম রুমী
  • সম্মানসূচক পুরস্কার (স্থাপনা)- শিল্পী সহিদ কাজী
  • বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পুরস্কার - শিল্পী উত্তম কুমার তালুকদার
  • দীপা হক পুরস্কার - শিল্পী সুমন ওয়াহিদ
  • চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন পুরস্কার - শিল্পী ফারিয়া খানম তুলি

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী, জুলাই ৪, ২০১৯, সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০২১ 
  2. "জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী"দৈনিক জনকণ্ঠ। জুলাই ১১, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০২১ 
  3. "কাল শুরু হচ্ছে জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী"দৈনিক প্রথম আলো। নভেম্বর ১৬, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০২১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু আজ"সময়ের আলো। জুলাই ১, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০২১