জাকার্তার অর্থনীতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তামান এংগ্রিক মল, পশ্চিম জাকার্তা

জাকার্তার অর্থনীতি ইন্দোনেশিয়া এর অর্থনীতি এর এক বিরাট অবদান রাখে।এই শহর থেকেই সবচেয়ে বেশি দেশের জিডিপি এর অংশ রয়েছে।জাকার্তা জাতির শপিংয়ের কেন্দ্রস্থল এবং বাজার করার জন্য দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে ভাল জায়গা গুলোর মধ্যে একটি। জাকার্তায় শহটির বিভিন্ন ধরনের দোকান এবং ঐতিহ্যগত বাজার রয়েছে। সর্বমোট ৫৫০ হেক্টর নিয়ে একটি একক শহরে জাকার্তার বিশ্বের সর্ববৃহৎ শপিং মলের জায়গা রয়েছে।[১] প্রত্যেক বছর জাকার্তার ২০১২ সালে প্রায় ৭৩ অংশগ্রহণকারী শপিং সেন্টারের উদ্‌যাপন উপলক্ষে জুন এবং জুলাই মাসে "জাকার্তা বৃহৎ বিক্রয়" উদযাপিত হয়। [২] মল যেমন প্লাজা ইন্দোনেশিয়া, গ্র‍্যান্ড ইন্দোনেশিয়া, শপিং টাউন,প্লাজা সিনায়ান,সিনায়ান সিটি এবং প্যাসিফিক প্লেস বিভিন্ন ধরনের বিলাসবহুল ব্র‍্যান্ড বাছাই করার সুবিধা প্রধান করে। মল টামান এংগ্রিক এবং সিপুটরা ওয়াল্ড জাকার্তা যেগূলো জাকার্তায় শপিং মলের নতুন ধারণা বহণ করে।

তথ্যপ্রযুক্তি[সম্পাদনা]

জাকারওতা শহরটি দেশের বৃহত্তম তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র বা আইটি সেক্টর।আইটি সেক্টর শহরটির অর্থনীতিতে এক বিরাট অবদান রাখে।এই শহরের জিডিপি এর বেশির ভাগ অংশ তথ্য প্রযুক্তি থেকে আসে।এই শহরের বু নামি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে।এই সংস্থা গুলি সারা বিশ্বে ব্যবসা করছে।এই তথ্য প্রযুক্তি শিল্নে ইন্দোনেশিয়ার বহু মনুষ যুক্ত রয়েছে।এটি কর্ম সংস্থান দিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।

শিল্প[সম্পাদনা]

এই শহরের রয়েছে দেশের বৃহত্তম শিল্পাঞ্চল।এই শিল্প অঞ্চলটি শহরের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত গুরুত্ব পূর্ন অবদান রেখে চলেছে।জাকার্তা হল দেশের অর্থীতির রাজধানী।এটি দেশের বৃহত্তম রপ্তানি কেন্দ্রো।এখানে রয়েছে পেট্রো ক্যামিকাল কারখানা।এখানে দেশের বড় বিমান সংস্থা গুলির সদর দপ্তর রয়েছে।এই শহরে দেশের প্রধান ব্যাঙ্কক এর সদর দপ্তর অবস্থিত।এখানে বহু উৎপাদন ধর্মী শিল্প গড়ে উঠেছে।বহু প্রক্রিয়া করন শিল্প রয়েছে।এই শিল্প কলকারখানার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্ম সংস্থান যোগায় এই জাকার্তা শহর।

বন্দর[সম্পাদনা]

এই শহরের প্রধান বন্দর হল তান্জুং প্রিওক বন্দর বা জাকার্তা বন্দর। এই বন্দর শহরটির বিদেশ বাণিজ্য সম্পন্ন করে। এই বন্দরটি শহরের শিল্প কলকারখানায় কাঁচা মালের যোগান দেয় এবং পণ্য দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করে। এই বন্দরের বড় সমুদ্রগামী জাহাজ এর নোঙর বা প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে।বন্দরটি ১০ মিটারের বেশি গভীর। এই বন্দর দিয়ে বিদেশে রবার, পাম তেল, চাল, খনিজ দ্রব্য রপ্তানি করা হয়। অতি সম্পতি বন্দরটির আধুনিকরন করা হয়েছে। ফলে বন্দরটির পণ্য পরিবহন ক্ষমতা বেড়েছে। এই বন্দরটি বর্তমানে ৬০,০০০ টিউজ এর বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ ধারণ করতে পারে। [৩] [৪] [৫] [৬] এটি এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এর ব্যস্ত বন্দর গুলির মধ্যে একটি। এই বন্দরের পোতাশ্রয়টি স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক।[৭][৮][৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Jakarta, Kota dengan Lahan Mal Terluas di Dunia"। অক্টোবর ২২, ২০১৫। 
  2. "Jakarta Great Sale declared roaring success"। The Jakarta Post। ১৫ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১২  শহরটি মানুষের খুব ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যান্ডগুলোর প্রাচুর্যের দ্বারা পূর্ণ হয়।
  3. Sundakala: cuplikan sejarah Sunda berdasarkan naskah-naskah "Panitia Wangsakerta" Cirebon. Yayasan Pustaka Jaya, Jakarta. 2005. 
  4. The Sunda Kingdom of West Java From Tarumanagara to Pakuan Pajajaran with the Royal Center of Bogor . Yayasan Cipta Loka Caraka. 2007.। Chipta Loka Charaka। 
  5. Three Old Sundanese Poems. KITLV Press. 2007. 
  6. Sumber-sumber asli sejarah Jakarta, Jilid I: Dokumen-dokumen sejarah Jakarta sampai dengan akhir abad ke-16 . Cipta Loka Caraka. 1999। Chopra Loka Charaka। 
  7. "জাকার্তা বন্দর" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "Port of Jakarta"World Port Source। ২৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  9. "Hutchinson Port Holdings"। ৭ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৬