জয়দীপ কর্মকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জয়দীপ কর্মকার
ব্যক্তিগত তথ্য
জাতীয়তাভারতীয়
জন্ম (1979-12-07) ৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ (বয়স ৪৪)
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
মাতৃ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানশেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাক্রীড়াবিদ(শ্যুটিং),
উচ্চতা১৭৭ সেমি (৫ ফু ১০ ইঞ্চি) (আগস্ট ২০১২-এর হিসাব অনুযায়ী)
ওজন৭৩ কেজি (১৬১ পা) (আগস্ট ২০১২-এর হিসাব অনুযায়ী)
পদকের তথ্য
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী


রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান 2010 ISSF World Cup {{{2}}}

জয়দীপ কর্মকার (জন্মঃ ৭ই ডিসেম্বর, ১৯৭৯; কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), একজন ভারতীয় শ্যুটার [১][২] যিনি ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেন এবং ৫০মিটার রাইফেল প্রোন বিভাগের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন এবং অল্পের জন্যে ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া হয় তার। ভারতের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে ২০১২ সালে অর্জুন পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

কলকাতার নাগেরবাজারে ১৯৭৯ সালের ৭ই ডিসেম্বর জন্ম হয় জয়দীপের। তার পিতা শান্ত কর্মকার ছিলেন একজন জাতীয় স্তরের সাঁতারু, মা গায়ত্রী কর্মকার গৃহবধূ। ১৯৮৯ সালে নর্থ ক্যালকাটা রাইফেল ক্লাবে শ্যুটিং-এ হাতেখড়ি হয় তার [৩]। ১৯৯৪ সালে ন্যাশনাল গেমস-এ, প্রথম উপস্থিতিতেই তিনি জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হন। তার পুত্র আদ্রিয়ান ও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে এবং সে একজন জুনিয়র লেভেল জাতীয় পর্যায়ের শ্যুটার।

প্রিয় ব্যক্তিত্ব কপিলদেব মহেন্দ্র সিং ধোনি, কমল হাসান
প্রিয় খাবার দক্ষিণ এশিয়ার রান্না, চাইনিস, ইতালীয়, ্কন্টিনেন্টাল, কোরিয়ান, বাংলা মিষ্টি
প্রিয় বেড়ানোর জায়গা গিলগিট, নিউইয়র্ক, সুইজারল্যান্ড, পেরু
প্রিয় সময় কাটানো সিনেমা দেখা, পড়া
প্রিয় সিনেমা/সিরিজ ব্রেভ হার্ট, স্পাইডার
প্রিয় অভিনেতা/অভিনেত্রী ডেনজেল ​​ওয়াশিংটন, কামাল হাসান, মেল গিবসন, কংনা রানাত

[৪]

কর্ম জীবন[সম্পাদনা]

শ্যুটার জীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৪ ন্যাশনাল গেমসে জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হয়ার পরে ১৯৯৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ৫৯৪, ৫৯৫, ৫৯৮ ও ৫৯৯ এর জাতীয় রেকর্ড করেন তিনি এবং এই রেকর্ডটি অনন্য কারণ প্রতিবারই তিনি নিজের রেকর্ড ভেঙেই নতুন রেকর্ড করেন। জাতীয় স্তরে ১০০র বেশি পদক রয়েছে তার। এছাড়াও তিনি কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন, ২৮ টি বিশ্বকাপ, ২ টি কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস এবং অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী। তিনি ২০১০ আই এস এস এফ ওয়ার্ল্ড কাপ, সিডনিতে অংশগ্রহণ করেন এবং ৫৯৯/৬০০ স্কোর করে রৌপ্য পদক জেতেন। তার স্কোর এসিয়ান রেকর্ড। রাইফেল প্রোন বিভাগে তিনিই একমাত্র ভারতীয় যিনি, বিশ্বকাপে রৌপ্য পদক জয় করেছেন। শ্যুটার জীবনে তার সব থেকে ভালো আন্র‍্যাতরজাতিক র‍্যাঙ্ক ছিল ৪।

লন্ডন অলিম্পিক ২০১২[সম্পাদনা]

২০১২ অলিম্পিকে ৫০ মিটার রাইফেল প্রোন বিভাগে তিনি নির্বাচিত হন, হরি ওম সিং এর অর্জিত কোটাতে। মূল অলিম্পিকের যোগ্যতা নির্ধারক রাউন্ডটি ছিল অসাধারণ। ছয়টি রাউন্ডের পর জয়দীপ আটজন শ্যুটার-এর সাথে সম স্কোর (৫৯৫ পয়েন্ট নিয়ে) করে চতুর্থ স্থান লাভ করেন এবং ফলশ্রুতিতে শ্যুট-অফ-এ অংশ গ্রহণ করতে হয়। শ্যুট-অফে ৫১.৬ স্কোর করে আবার চতুর্থ স্থান লাভ করে, সকলের মধ্যে সপ্তম স্থানাধিকারী হয়ে ফাইনাল রাউন্ডের জন্যে নির্বাচিত হন। যাইহোক, নয়টি বাঁধা নিনজা মধ্যে একটি অঙ্কুর বন্ধ ছিল, পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল প্রোন বিভাগের ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন। ফাইনালে তিনি ১০৪.১ এবং মোট ৬৯৯.১ স্কোর করে চতুর্থ স্থান লাভ করেন; প্রসঙ্গত তার স্কোর ছিল ব্রোঞ্জ পদকজয়ীর থেকে মাত্র ১.৯ পয়েন্ট পিছনে।[৫]

ট্রেনার জীবন[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে তিনি কলকাতার নিউটাউনে একটি শুটিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন যার নাম "জয়দীপ কর্মকার শ্যুটিং একাডেমি" [৬], যেখানে তিনি অন্যান্য আন্তর্জাতিক শ্যুটারদের রাইফেল শুটিং এর প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। জয়দীপ মেহুলি ঘোষের ব্যক্তিগত কোচ এবং পরামর্শদাতা। এছাড়াও তার অ্যাকাডেমিতে যুব জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মানিনী কৌশিক সহ আরো অনেক নতুন প্রতিভা প্রশিক্ষণ লাভ করেছে।

লেখক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি তার অলিম্পিকে চতুর্থ হওয়ার যন্ত্রণাদীর্ণ যাত্রার কথা লিপিবদ্ধ করেন 'মাই অলিম্পিক জার্নি'[৭] নামে একটি বইতে; এই বইটি দুই সাংবাদিক দিগ্বিজয় সিং দেও এবং অমিত বোস এর দ্বারা অনুলিখিত হয়েছে। বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সের আগে। এই বইতে উঠে এসেছে লন্ডন অলিম্পিক্সের সময় কোচ এবং কর্মকর্তাদের দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন বাধার কথা।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]