ছোট বসন্তবৌরি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ছোট বসন্তবৌরি
Psilopogon haemacephalus
Coppersmith Barbet (Megalaima haemacephala) by Shantanu Kuveskar.jpg
মহারাষ্ট্র, ভারত
পাখির ডাক
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: পিসিফর্মিস
পরিবার: মেগালাইমিডি
গণ: Psilopogon
প্রজাতি: P. haemacephalus
প্রতিশব্দ

Xantholaoema haemacephala, Megalaima haemacephala

ছোট বসন্তবৌরি (বৈজ্ঞানিক নাম: Amandava amandava) বা ভগিরথ মেগালাইমিডি পরিবারের অন্তর্গত গোত্র বা পরিবারের সুলভ পাখি। এটি ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের একটি আবাসিক পাখি। এই প্রজাতির পাখি ‘টুক্-টুক্-টুক..’ আওয়াজ কামারের হাতুড়ি পেটার মতো শোনায়।[২]

বিবরণ[সম্পাদনা]

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১৬-১৭ সেন্টিমিটার। কপাল ও বুক পরিষ্কার লাল। চোখের দুইপাশে থুতনি ও গলা হলুদ। মুখাবয়ব কালো। পিঠ ঘাসরঙা সবুজ। নিচের দিকে খাড়া খাড়া মোটা রেখা। পালক কালচে। বুক দেখতে উজ্জ্বল লালের সঙ্গে সোনালি হলুদ হয়ে থাকে । লেজ খাটো। লেজের শেষপ্রান্ত সবুজাভ নীল। চোখের মনি কালচে-ধাতব। ঠোঁট শক্ত মজবুত, কালো। পা বাদামি-লালচে। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম।[৩]

বাসস্থান[সম্পাদনা]

এদেরকে বনে বাদাড়ে দেখতে পাওয়া যায়। এরা বড় গাছের মগডালে রোদ পোহায়। গাছের গর্তে বাসা বানায় এবং সেখানে বিশ্রাম নেয়। শুষ্ক মরুভুমি ও জলাভুমির বনে এদের সহজে দেখা যায় না।

প্রজনন[সম্পাদনা]

ছোট বসন্তবৌরির প্রজনন মৌসুম ভারতে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এবং শ্রীলঙ্কায় ডিসেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরা গাছের সরু ডালের নিচে গর্ত করে বাসা বানায়। স্ত্রী পাখি একসাথে ৩ থেকে ৪ টি ডিম পাড়ে। ডিমগুলিতে তা বাবা পাখি ও মা পাখি উভয়ই দিয়ে থাকে। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগে।[৪]

খাদ্যাভ্যাস[সম্পাদনা]

এই প্রজাতির পাখিরা সাধারনত ফলাহারী। তবে এরা মাঝে মধ্যে পোকা বিশেষ করে উইপোকা খেয়ে থাকে। এরা মূলত বট গাছের ফল, জংলি গাছের ফল, জলপাই জাতীয় ফল এবং বেরি জাতীয় ফল খেয়ে থাকে। এছাড়া ফুলে পাপড়িও খেয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১৬)। "Psilopogon haemacephalus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2016: e.T22681681A92916283। 
  2. "ছোট বসন্ত বাউরি | Coppersmith Barbet | Megalaima Haemacephala | Pakhi Tottho" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৮ 
  3. Dieterich, Carl Friedrich (১৭৭৫)। Carl Friedrich Dieterichs Pflanzenreich nach dem neuesten Natursystem des Königl. Schwedischen Ritters und Leibarztes Carl von Linne ...। Leipzig,: C. Fritsch,। 
  4. Bock, Walter J. (১৯৭৭-১০-০১)। "Handbook of the Birds of India and Pakistan, together with those of Bangladesh, Nepal, Sikkim, Bhutan and Sri Lanka"The Auk94 (4): 791–792। আইএসএসএন 0004-8038ডিওআই:10.2307/4085288 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]