চীন–সাইপ্রাস সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চীন–সাইপ্রাস সম্পর্ক
মানচিত্র China এবং Cyprus অবস্থান নির্দেশ করছে

চীন

সাইপ্রাস

চীন–সাইপ্রাস সম্পর্ক হল চীন এবং সাইপ্রাস রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কনিকোসিয়ায় অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে সাইপ্রাসে চীন নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করছে। আর বেইজিংয়ে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে চীনে সাইপ্রাস নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করছে। দুই দেশই জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ সদস্য রাষ্ট্র।

১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে সাইপ্রাস এবং চীন পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বেইজিংয়ে অবস্থির প্রজাতন্ত্রী সাইপ্রাসের দূতাবাসটি ১৯৮৯ সালে চালু হয়। দূতাবাসটি বেইজিংয়ের দূতাবাস পাড়ার কেন্দ্রস্থলে, ইউ ডেলিগেশন টু চায়না ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিকটে অবস্থিত।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা[সম্পাদনা]

চীনে গমনকারী সাইপ্রাসের মালবাহী জাহাজ

সাইপ্রাসের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পৃষ্ঠপোষকতায় "সাইপ্রাস-চীন ব্যবসা সংস্থা" নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সংস্থাটির উদ্দেশ্য হল দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক, সেবামূলক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রচার, প্রসার ও উৎসাহিত করা। সংস্থাটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ রাখা এবং বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ বজায় রাখার জন্য নিয়মিত বৈঠক করে এবং আলোচনা করে।[১]

বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ক্রমশই উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে, সাইপ্রাসে চীনের অবাণিজ্যিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পক্ষান্তরে চীনে সাইপ্রাসের বিনিয়োগ ছিল $১২১ মিলিয়ন। একই সময়ের মধ্যে সাইপ্রাসে চীনা কোম্পানি কর্তৃক প্রকৌশল প্রকল্পের খাতগুলোতে স্বাক্ষরকৃত চুক্তি অনুযায়ী এর ক্রমবর্ধিষ্ণু বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৩৫ মিলিয়ন ডলার, এবং সঞ্চয়ী টার্নওভার ছিল ২৬৫ মিলিয়ন ডলার। দুই পক্ষের সরকারই বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহে সহযোগিতামূলক অবস্থানে থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্কে আরো গভীর ও মজবুত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। চীনের ব্যবসায়ীগণও সাইপ্রাসে সফর করে বিনিয়োগের পরিবেশ যাচাই করেছে এবং সুযোগ-সুবিধা ও নীতিমালার বিষয়ে জেনেছে। ২০১১ সালে সাইপ্রাসে চীনা পর্যটকদের আগমন ৪৫ শতাংশ বেড়ে যায়।

রাজনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

নীকোস অ্যানাস্টাসিয়াদেসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইইউ-চীন সামিট।

২০০৪ সাল থেকে সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হয়। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ইউর সভাপতিত্ব সাইপ্রাসের উপর বর্তায়, যা চীনের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখা দেয়। এর মাধ্যমে চীন এ বিশ্বস্ত বন্ধুর মাধ্যমে চীন-ইউরোপের মধ্যকার দূরত্ব দূর করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করে, যেখানে সাইপ্রাস এ সংযোগের মধ্যপক্ষ হিসেবে কাজ করবে। সাইপ্রাস সরকার ইতোমধ্যে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ নীতি কিছুটা স্বাধীন করেছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপসমূহকে আরো সহজ করা হয়েছে এবং অর্থনীতির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো সীমা রাখা হয়নি। ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক কোম্পানিগুলো এখন সাইপ্রাসে বিনিয়োগ করতে এবং নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মতই সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে। নতুন নীতি অনুযায়ী চীনা জমিক্রেতারাও কমপক্ষে ৩০০,০০০ ইউরো ব্যয় করে স্থায়ীভাবে সাইপ্রাসে বসতবাড়ি ক্রয় করতে পারবে।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:সাইপ্রাসের বৈদেশিক সম্পর্ক

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Cyprus China Business Association"। ১৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "Cyprus China bilateral relations"Cyprus Profile। ২০১১-১২-৩০। ২০১২-০২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-০১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]