বিষয়বস্তুতে চলুন

চিত্ত বসু (পরিচালক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চিত্ত বসু ডানদিক থেকে দ্বিতীয়

চিত্ত বোস (১৯০৭-১৯৯৩), জন্মসূত্রে চিত্তরঞ্জন বসু এবং এছাড়া চিত্ত বসু হিসাবেও পরিচিত। তিনি একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি ষাটের দশকের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক।[] ১৯০৭ সালের ২৬শে নভেম্বর[] ততকালীন বৃটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশের) খুলনা জেলার একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

খুলনায় জন্ম হলেও, তিনি অল্প বয়সেই কলকাতায় চলে আসেন । বঙ্গবাসী কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক এবং তারপরে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন। এছাড়াও মিঃ বসু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

সংগ্রামী দিনগুলি

[সম্পাদনা]

তিনি স্বল্প সময়ের জন্য গ্রেট ইস্টার্ন বিভাগের স্টোরগুলিতে কাজ শুরু করেন। বসুর মামা নরেশ চন্দ্র মিত্রও একজন প্রখ্যাত পরিচালক। বসুর মামা, বসুকে তাঁর সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করার প্রস্তাব দেন। তিনি গ্রেট ইস্টার্নের চাকরি ছেড়ে, মামার সহকারী চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

চারু চন্দ্র বসু (খুলনা জেলার জমিদার) এর দশ ভাইবোনদের মধ্যে বসু তৃতীয়। মনরামা বসু ১৯৩৩ সালে তুষার কোনা রায় চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর বাবা সুবোধ চন্দ্র রায় চৌধুরী যোধপুর রাজপুত্রের দেওয়ান ছিলেন। এই দম্পতির ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে। মিঃ বসুর তৃতীয় পুত্র দীপঞ্জন বসু বর্তমানে চলচ্চিত্র পরিচালক। "পরবতপ্রিয়া (১৯৮৪)", মিঃ দিপরঞ্জন বসুর পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র। এছাড়াও তিনি "ভালোবাসা-ও-অন্ধকার" চলচ্চিত্র এবং আরও অনেক টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেন।

বিখ্যাতি হয়ে উঠা

[সম্পাদনা]

"বন্ধুর পথ(১৯৪৬)" চলচ্চিত্র দিয়ে বসু তার পরিচালনায় অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রটি বেশ জনপ্রিয় হয়। সব মিলিয়ে তিনি, তাঁর চলচ্চিত্রজীবনে ৩৩ টি সিনেমা তৈরি করেন।

বসুর নির্মিত "ছেলে কার" (ছবি বিশ্বাস অভিনীত) চলচ্চিত্রটি ১৯৫৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। "ছেলে কার" চলচ্চিত্রের কাহিনিঃ একজন মানুষ, তার গাড়িতে বসে থাকা ও তাকে বাবা বলে ডাকা অপরিচিত ছেলের অভিভাবক খুঁজতে থাকে।

মিঃ বসুর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: মায়া মৃগা, বন্ধু, গোধূলি বেলা, একটি রাত, পুত্র বধূ, রাস্তার ছেলে, বিন্দুর ছেলে, মন্ত্রশক্তি, জয়া,[] "শেষ পর্ব" এবং প্রফুল্ল। মিঃ বসুর মতে তাঁর জীবনের সবচেয়ে গবেষণাধর্মী চলচ্চিত্র "রাস্তার ছেলে"। "বাংলা চলচ্চিত্র জগতে মিঃ বসু শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসাবে পরিচিত"। মিস্টার বসু তাঁর চলচ্চিত্র জীবনে ৩২ টি চলচ্চিত্র বানান।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

বসু ১৯৯৩ সালের ৫ ডিসেম্বর(তাঁর প্রিয় স্ত্রীর মৃত্যুর আট মাস পরে) মস্তিষ্কের স্ট্রোক-এর কারণে মৃত্য বরণ করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]