চিত্তরঞ্জন মুখোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নৌবিদ্রোহের শহীদ বিপ্লবী

চিত্তরঞ্জন মুখোপাধ্যায়
জন্মঅক্টোবর ১৯১৯
মৃত্যু২৭ সেপ্টেম্বর,১৯৪৩
জাতীয়তাভারতীয়
পরিচিতির কারণনৌ-বিদ্রোহের নেতা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

চিত্তরঞ্জন মুখোপাধ্যায় (অক্টোবর, ১৯১৯ ― ২৭ সেপ্টেম্বর,১৯৪৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও ভারতীয় নৌবিদ্রোহের শহীদ।

চিত্তরঞ্জন মুখোপাধ্যায় ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবিভাগের এক কর্মী ছিলেন। সহকর্মী মানকুমার বসু ঠাকুরের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে যোগ দেন। এগিয়ে আসেন আরো দশজন বাঙালি তরুণ, যারা সকলেই পেশায় ছিলেন চতুর্থ মাদ্রাজ উপকূল রক্ষী বাহিনীর সেনা। তারা হলেন - কালীপদ আইচ, দুর্গাদাস রায়চৌধুরী , নন্দকুমার দে, নিরঞ্জন বড়ুয়া, নীরেন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় ফণিভূষণ চক্রবর্তী আবদুল রহমান রবীন্দনাথ ঘোষঅনিলকুমার দে। এঁরা সকলে ব্রিটিশ বাহিনীর আনুগত্যের শিক্ষা ভুলে গিয়ে জাতীয়তাবাদী ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করেন। ফোর্থ মাদ্রাজ কোস্টাল ডিফেন্স ব্যাটারি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই এপ্রিল সামরিক পুলিশ গ্রেফতার করে।

কোর্ট মার্শালের বিচারে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৫ই আগস্ট চিত্তরঞ্জন অপর আট জনের মৃত্যুদণ্ড হয়।

ফাঁসি[সম্পাদনা]

১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে সেপ্টেম্বর গোপনে মাদ্রাজ পেনিটেনশিয়রিতে নয় জনের ফাঁসি কার্যকর করে ব্রিটিশ শাসক। মৃত্যুর আগে তারা হাসি মুখে একে অপরকে আলিঙ্গন করে বন্দে মাতরম্‌ ধ্বনি দিয়ে মৃত্যু বরণ করেন। [১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ২২৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬