কির্কা শরীফ
কির্কা শরীফ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | কান্দাহার |
প্রদেশ | কান্দাহার |
অবস্থান | |
অবস্থান | কান্দাহার |
রাজ্য | আফগানিস্তান |
স্থানাঙ্ক | ৩১°৩৭′১১″ উত্তর ৬৫°৪২′২৯″ পূর্ব / ৩১.৬১৯৬° উত্তর ৬৫.৭০৮০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | ইসলামি |
স্থাপত্য শৈলী | আফগানিস্তানের স্থাপত্য |
কির্কা শরীফ বা শাহ-ই-দুরগা, যা চাদরের প্রার্থনা স্থান নামেও পরিচিত, আফগানিস্তানের কান্দাহারের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ এবং ধর্মীয় স্থান। এটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কির্কা শরীফ মসজিদটি ১৬ শতকে আফগান সম্রাট বাবর দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। বাবর একটি তুর্কি-মঙ্গোল সম্রাট ছিলেন যিনি ১৫২৬ সালে দিল্লির মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি কান্দাহারকে তার রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র করে তুলেছিলেন এবং শহরে বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে শাহ-ই-দুরগা মসজিদ।
মসজিদটি একটি বড় বর্গাকার ইমারত যার চারটি মিনার রয়েছে। মসজিদের কেন্দ্রস্থলে একটি বড় দরজা রয়েছে যার উপরে একটি চাদর ঝুলানো আছে। এই চাদরটিকে মুহাম্মদ (সা) এর ব্যক্তিগত পোশাক হিসাবে বিশ্বাস করা হয়। ৬২১ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত (যা সচরাচর শবেমেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত) অর্থাৎ যে রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সা:) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন সেই সময় ইসলামিক নবী মুহাম্মদ এই পোশাকটি পরিধান করেছিলেন বলে জানা যায়।[১][২][৩][৪]
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]কির্কা শরীফ মসজিদটি একটি ঐতিহ্যবাহী আফগান স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হয়েছে। মসজিদটি একটি বড় বর্গাকার ইমারত যার চারটি মিনার রয়েছে। মসজিদের কেন্দ্রস্থলে একটি বড় দরজা রয়েছে যার উপরে একটি চাদর ঝুলানো আছে।
মসজিদের মিনারগুলি ১০০ ফুট উঁচু। তারা মসজিদের মূল ইমারতের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। মসজিদের দরজাটি একটি বড় কাঠের দরজা যা সাদা মার্বেলে সজ্জিত। দরজার উপরে একটি চাদর ঝুলানো আছে।
চাদর
[সম্পাদনা]কির্কা শরীফ মসজিদের কেন্দ্রস্থলে একটি বড় চাদর ঝুলানো আছে। এই চাদরটিকে মুহাম্মদ (সা) এর ব্যক্তিগত পোশাক হিসাবে বিশ্বাস করা হয়। চাদরটি একটি নীল রঙের কাপড়। এটি ৭০ ফুট লম্বা এবং ৪০ ফুট প্রশস্ত। চাদরে অনেকগুলি ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে যা চাদরের মধ্য দিয়ে আলো আসতে দেয়।
ধর্মীয় গুরুত্ব
[সম্পাদনা]শাহ-ই-দুরগা মসজিদ আফগানিস্তানের মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মসজিদটি পরিদর্শন করে এবং চাদরের সামনে প্রার্থনা করে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে মুহাম্মদ (সা) এই চাদরটিকে তার প্রিয় সাহাবীদের একজন, আলি ইবনে আবি তালিবকে দিয়েছিলেন। আলী এই চাদরটিকে তার উত্তরাধিকারীদের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন, যারা এটিকে সম্মানের সাথে সংরক্ষণ করেছিল।
কির্কা শরীফ মসজিদ আফগানিস্তানের ইসলামিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেখানে তারা তাদের বিশ্বাসকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারে এবং মুহাম্মদ (সা) এর সাথে তাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে পারে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Kirka Sharif, the Shrine Where the Mantle of the Prophet is Preserved"। wdl.org। ২০২০-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১২।
- ↑ Steve Inskeep (২০০২-০১-১০)। "The Cloak of the Prophet"। NPR। ২০০২-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-১২।
- ↑ Dupree, Nancy Hatch (১৯৭৭)। An Historical Guide To Afghanistan।
The South (Chapter 16)
- ↑ "The Raglan Collection: Wellington, Waterloo and The Crimea And Works of Art from the Collection of the Marquesses of Londonderry"। christies.com। ২০২০-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১২।