চন্দ্রকলা এ. হটে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ড.

চন্দ্রকলা আনন্দরাও হটে
জন্মচন্দ্রকলা জগন্নাথ মুর্কুতে
১৯০৩
মৃত্যু১৯৯০
শিক্ষাএমএ, পিএইচডি

ড. চন্দ্রকলা আনন্দরাও হটে (১৯০৩-১৯৯০) একজন বিখ্যাত লেখক, নারীবাদীসমাজকর্মী ছিলেন। তিনি বোম্বের (বর্তমান:মুম্বাই) এস.এন.ডি.টি. বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

১৯০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতার নাম ড. জগন্নাথ মুর্কুতে এবং মাতার নাম লহনিবাই মুর্কুতে।

চন্দ্রকলা জন্মেছিলেন মুম্বাইয়ের দইভাদন্য সম্প্রদায়ে। শিক্ষা তাঁর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আনন্দরাও রামকৃষ্ণ হটের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে চন্দ্রকলা আনন্দরাও হটে রাখেন।

তিনি অর্থনীতিতে এমএ পাস করেছিলেন। এরপর তিনি সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল হিন্দু ওম্যান অ্যান্ড হার ফিউচার। তিনি ভারতের প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ড. জি. এস. ঘুরয়ের অনুপ্রেরণায় প্রবন্ধটি লিখেছিলেন।

ড. চন্দ্রকলা আনন্দরাও হটে যুগের তুলনায় আধুনিক চিন্তাভাবনার অধিকারী ছিলেন। তিনি শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি নারীদের কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করতেন।

১৯৬৯ সালে তাঁর চেঞ্জিং স্ট্যাটাস অব ওম্যান ইন পোস্ট-ইন্ডিপেন্ডেন্স ইন্ডিয়া শিরোনামে একটি বই প্রকাশিত হয়। ১৯৭৮ সালে তাঁর লেখা টার্ন..?হুইদার...?টু. ....? বইটি প্রকাশিত হয়। এছাড়াও, ইংরেজিমারাঠি ভাষার বিভিন্ন সাময়িকীতে লিখেছেন তিনি।

ড. চন্দ্রকলা আনন্দরাও হটে বোম্বের এসএনডিটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনা করতেন।

১৯৭৫ সালে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কুটুম্বসখি সংগঠন চালু করেন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল, নারীদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা।

ক্রিকেটার বিজয় মার্চেন্টের একটি কারখানা থেকে কাপড় কিনে সায়া সেলাই করার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় সংগঠনটির। এরপর, মুনাফা বাড়ানোর জন্য সংগঠনটি জলখাবার তৈরি করা শুরু করে। সংগঠনটি ছিল একটি সফল উদ্যোগ। সংগঠনটি বহু নারীকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলে।

তিন সন্তান রেখে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছিলেন। চন্দ্রকলা আনন্দরাও হটে তাঁর তিন সন্তানকে বড় করে তোলেন। তিনি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব গুরুদেব আর. ডি. রানাডের অনুসারী ছিলেন। ১৯৯০ সালে মুম্বাইয়ে ইসোফেগাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন চন্দ্রকলা আনন্দরাও হটে। তাঁর স্মৃতিতে দক্ষিণ মুম্বইয়ের গিরগাঁওয়ের একটি নগরচত্বরের নাম চন্দ্রকলাবাই হটে চক রাখা হয়।

গ্রন্থতালিকা[সম্পাদনা]

১৯৪৮ সালে তাঁর পিএইচডি থিসিস বই আকারে বের হয়। হিন্দু উইমেন অ্যান্ড হার ফিউচার শিরোনামের বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন ড. এন. ভি. গাদগিল।[১] চন্দ্রকলা আনন্দরাও হটে রচিত গ্রন্থগুলো হল:

  • হিন্দু উইম্যান অ্যান্ড হার ফিউচার (১৯৪৮)
  • চেঞ্জিং স্ট্যাটাস অব উইম্যান ইন পোস্ট-ইন্ডিপেন্ডেন্স ইন্ডিয়া (১৯৬৯)[২]
  • টার্ন..?হুইদার...?টু. ....? (১৯৭৮)[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]