বিষয়বস্তুতে চলুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পরিষেবা ধরনশাটল ট্রেন
বর্তমান পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
যাত্রাপথ
শুরুচট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন
শেষচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন
যাত্রাপথের সেবা
শ্রেণীআছে
আসন বিন্যাসআছে
ঘুমানোর ব্যবস্থানাই
অটোরেক ব্যবস্থানাই
খাদ্য সুবিধানাই
পর্যবেক্ষণ সুবিধাআছে
বিনোদন সুবিধাআছে
মালপত্রের সুবিধাআছে
কারিগরি
ট্র্যাক গেজ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট   ইঞ্চি)

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে চলা একটি শাটল ট্রেনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য এই ট্রেনটি পরিচালিত হয়ে আসছে।[][][] বিশ্বে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুটি শাটল ট্রেন আছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আকর্ষণ ও ঐতিহ্য। স্থানীয় গ্রামের লোকদের উৎপাতের কারণে শিক্ষার্থীরা একে 'জোবরা এক্সপ্রেস' নামে ডাকে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল আকর্ষণ হল এই শাটল ট্রেন। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও কোন শাটল ট্রেন ছিলো না। তখন শিক্ষার্থীদেরযাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন ছিল বাস,যা বর্তমানে তরী নামে পরিচিত। তবে সেই তরীর সংখ্যা ছিল অপ্রতুল। ফলে দূর দুরন্ত থেকে দৈনন্দিন যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। অবশেষে ১৯৭৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেন চালু করেন।

যাত্রাপথ:

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন (বটতলী) - চট্টগ্রাম জংশন কেবিন - ঝাউতলা - ষোলশহর জংশন - চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট - চৌধুরীহাট - ফতেয়াবাদ জংশন - চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন

সময়সূচি (ডাউন)

[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাস

[সম্পাদনা]
  • সকাল ৭:৩০ টা (বটতলী স্টেশন)
  • সকাল ৮:০০ টা (বটতলী স্টেশন)
  • সকাল ৯:৪৫ টা (ষোলশহর স্টেশন)
  • সকাল ১০:৩০ টা (ষোলশহর স্টেশন)
  • দুপুর ২:৫০ টা (বটতলী স্টেশন)
  • দুপুর ৩:৫০ টা (বটতলী স্টেশন)
  • রাত ৮:৩০ টা (বটতলী স্টেশন)

ডেমু ট্রেন ( বর্তমানে বন্ধ রয়েছে)

  • সকাল ৯:১৫ টা (ষোলশহর স্টেশন)
  • দুপুর ১:৩০ টা (ষোলশহর স্টেশন)

সময়সূচি (আপ)

[সম্পাদনা]

ক্যাম্পাস থেকে চট্টগ্রাম শহর

[সম্পাদনা]
  • সকাল ৮:৪৫ টা
  • সকাল ৯:২০ টা
  • দুপুর ১:৩০ টা
  • দুপুর ২:৩০ টা
  • বিকাল ৪:০০ টা
  • বিকাল ৫:৩০ টা
  • রাত ৯:৩০ টা

ডেমু ট্রেন ( বর্তমানে বন্ধ রয়েছে)

  • সকাল ১০:৩০ টা
  • বিকাল ৩:০০ টা

২০২০ সালের মার্চে মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১০ দিনের জন্য বদ্ধ ঘোষণা করে। ১০ দিনের বন্ধ পেরিয়ে গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। ক্রমশ করোনা ভাইরাস মরামারি আকার ধারণ করে। এরপর ক্রমাগত লকডাউন চলতে থাকে। দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রায় দেড় বছরের বেশী সময় ধরে বন্ধ থাকে। দীর্ঘ ১৯ মাস[] বন্ধের পর ১৮ অক্টোবর ২০২১ সালে আবাসিক হল গুলো খুলে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার শহীদ আব্দুর রব হল উদ্বোধনের মাধ্যমে এই কার্য সম্পাদন করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] শিক্ষার্থীদের যাতায়তের জন্য ধীরে ধীরে শাটল ট্রেন চালু হয়। শাটল চালু হলেও পূর্বের নির্ধারিত *ডেমু ট্রেন চালু হয়নি।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ট্রেনের নাম শাটল"Prothomalo। ২০২২-০১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৮ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ক্যাম্পাস অচলের অস্ত্র শাটল ট্রেন"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৮ 
  3. "স্বপ্নের শাটল ট্রেন"banglanews24.com। ২০১১-০৬-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৮ 
  4. "খুলছে চট্টগ্রাম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল"dbcnews.tv/। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৮ 
  5. "University of Chittagong"cu.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৪