ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে
"ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে" | |
---|---|
কাজী নজরুল ইসলাম, ইলা মিত্র এবং সুনীল ঘোষ কর্তৃক সঙ্গীত | |
ভাষা | বাংলা |
রচিত | ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ (৭ই আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ) |
প্রকাশিত | ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ |
স্টুডিও | এইচএমভি |
ধারা | নজরুল গীতি |
লেখক | কাজী নজরুল ইসলাম |
সুরকার | কাজী নজরুল ইসলাম |
গীতিকার | কাজী নজরুল ইসলাম |
ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি হৃদয়স্পর্শী স্মারক সংগীত।[১] ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ (৭ই আগস্ট ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে) কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুতে মর্মাহত কবি নজরুল "রবিহারা" ও "সালাম অস্ত রবি" কবিতা এবং এই সংগীতটি রচনা করেন।[২] এরপর তিনি সহশিল্পী ইলা মিত্র এবং সুনীল ঘোষের সাথে স্বকন্ঠে হিজ মাস্টার্স ভয়েস স্টুডিওতে (এইচএমভি) উক্ত সংগীত রেকর্ড করেন, যা গার্স্টিন প্লেসের আকাশবাণী থেকে সারা ভারত জুড়ে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল।[২][১]
গীতিকথা
[সম্পাদনা]ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে, জাগায়ো না জাগায়ো না।
সারা জীবন যে আলো দিল, ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।
(যে) সহস্র করে রূপ-রস দিয়া
জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া,
তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও, ক্রন্দনে রাঙায়ো না॥
যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন আপনারে করি ক্ষয়
তাই হাত পেতে নাও।
বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয়
কবিরে ঘুমাতে দাও।
অন্তরে হেরো হারানো রবির জ্যোতি
সেইখানে তাঁরে নিত্য করো প্রণতি
(আর) কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "জীবনের প্রান্তশেষে পৌঁছে কবির দৃষ্টিতে শান্তি পারাবার"। www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৯।
- ↑ ক খ "রবীন্দ্রনাথের মহাপ্রয়াণে নজরুলের শোক"। একুশে টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৯।