ঘণ্টা ঘর, মুলতান

স্থানাঙ্ক: ৩০°১১′৫৫″ উত্তর ৭১°২৮′০৪″ পূর্ব / ৩০.১৯৮৬১° উত্তর ৭১.৪৬৭৭৮° পূর্ব / 30.19861; 71.46778
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ঘণ্টা ঘর মুলতান (উর্দু: گھنٹہ گھر‎‎) বা মুলতান ক্লক টাওয়ার হলো পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান শহরের প্রশাসনিক ভবন।[১]

মুলতান ক্লক টাওয়ার

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের ব্রিটিশ রাজের আমলে মুলতানের ঘণ্টা ঘর নির্মিত হয়। ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে পৌর আইন পাস করার পর ব্রিটিশদের শহর পরিচালনার জন্য একটি ভবনের প্রয়োজন হয়। সেই জন্য ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি মুলতানের ঘণ্টা ঘর নির্মাণ শুরু হয়। চার বছর পর ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এটি আহমেদ খান সাদোজাইয়ের হাবেলির ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মাণ করা হয়, যা মুলতান দখলের সময় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ১ম মার্কাস অব রিপনের নাম অনুসারে হল ও ভবনের নামকরণ করা হয় "রিপন হল ও রিপন ভবন"। প্রাক্তন ভাইসরয় (১৮৭২ - ১৮৭৬) প্রথম আর্ল অব নর্থব্রুকের ঘড়ি টাওয়ারের নাম দেওয়া হয় "নর্থব্রুক টাওয়ার"। ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং পৌর কর্তৃপক্ষের দপ্তর নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত ভাগ ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর হলটিকে "জিন্নাহ হল" নামে পুনর্নামকরণ করা হয়। তখন এটিকে দাপ্তরিক বৈঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো এবং এসব অনুষ্ঠানে জনসাধারণ প্রবেশাধিকার লাভ করে। সময়ের সাথে দাপ্তরিক কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্যালয়ের স্থান সংকুলানে সমস্যা দেখা দেয় এবং সেই সাথে ছোট মিলনায়তনে অধিক মানুষের সমাগমে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ভবন থেকে দপ্তর অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে এই ভবনটিকে জাদুঘরে রূপান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ঘণ্টা ঘরের ঘড়ি[সম্পাদনা]

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ অক্টোবর ঘণ্টা ঘরের তিনটি ঘড়িকে মেরামত করা হয় এবং পাকিস্তান সময়ে (গ্রিনিচ মান সময়+০৫:০০) স্থির করা হয়। ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান র‍্যাডো কর্তৃক ঘড়ি তিনটি প্রতিস্থাপন করা হয়। ঘড়ির মূল ডায়াল অপরিবর্তিত রেখে যন্ত্রপাতি ও ঘড়ির কাঁটা বদলানো হয়। সূর্যালোকের শক্তি দ্বারা ঘড়িটি সচল থাকে। এর পূর্বে ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঘড়িটি সচল ছিল।

মুলতান জাদুঘর[সম্পাদনা]

মুলতান ঘণ্টা ঘরকে নগর কর্তৃপক্ষ জাদুঘরে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা করছে, যা মুলতান জাদুঘর নামে পরিচিত। এই কাজে ইতোমধ্যে তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করা হয়েছে। মুলতান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইডিয়াফিস্ট জাদুঘরের ত্রিমাত্রিক মডেল নির্মাণ করছে। সেই ত্রিমাত্রিক মডেল অনুসারে ভবিষ্যতের জাদুঘরটির উন্নয়ন কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ত্রিমাত্রিক মডেলের কাজ বর্তমানে নির্মাণাধীন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]