গুরুদুয়ারা সঙ্গতটোলা
গুরুদুয়ারা সঙ্গতটোলা | |
---|---|
![]() সঙ্গতটোলার প্রবেশদ্বার | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | উপাসনালয় |
স্থাপত্য রীতি | দ্বিতল ভবন |
ঠিকানা | বাংলাবাজার |
শহর | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নির্মাণকাজের সমাপ্তি | সপ্তদশ শতক |
স্বত্বাধিকারী | শিখ সম্প্রদায় |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e6/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE_%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE.jpg/220px-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE_%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A4%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE.jpg)
গুরুদুয়ারা সঙ্গতটোলা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি শিখ ধর্মীয় উপাসনালয়। এটি ঢাকার বাংলাবাজারে ১৪ নম্বর শ্রীশদাস লেনে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]নবম শিখ গুরু তেগ বাহাদুর সতের শতকে আসাম থেকে ঢাকায় আসেন এবং ১৬৬৬-১৬৬৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর এখানে অবস্থান করেন। এসময় তিনি বাংলাবাজারে গুরুদুয়ারা সঙ্গতটোলা নির্মাণ করেন। [১]
গঠনশৈলী
[সম্পাদনা]সঙ্গতটোলার আদি স্থাপনাটি সম্ভবত বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমান ভবনটি একটি দ্বিতল ভবন। এতে একটি ঘোরানো বা বাঁকানো বারান্দা আছে যা বাহির থেকে দেখা যায়। দেওয়ালে চাকতি ও তরবারির চিহ্ন আঁকা। সিঁড়ির পাশে একটি চওড়া দেয়াল এর ভাঙা অংশ দেখা যায়, যা থেকে মনে হয় এখানে এক বা একাধিক ঘর ছিল। ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে প্রার্থনাঘর। প্রার্থনাঘরে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গ্রন্থসাহেব রাখা আছে।[২] এছাড়া এখানে তেগবাহাদুরের ছবিও সংরক্ষিত আছে।[৩]
বর্তমান অবস্থা
[সম্পাদনা]প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরনো এ উপাসনালয়টি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এর কিছু অংশ দখল হয়ে গেছে। নিচতলার অফিসকক্ষের দেয়াল এর আবরণ খুলে গেছে। সিঁড়ির ডান পাশের দেয়াল বহুদিন ধরে ভাঙা। পুরনো এই স্থাপনাটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা অন্য কোন সংরক্ষিত তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। [২]
ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রম
[সম্পাদনা]গুরুদুয়ারা নানকশাহী, ঢাকা এর সেবকগণ সঙ্গতটোলার দেখাশোনা করে থাকেন। প্রতিদিন সকালে একজন গ্রন্থি বা প্রার্থনাকারী সঙ্গতটোলায় প্রার্থনা করেন। এছাড়া প্রতি শনিবার কীর্তনের আয়োজন করা হয় যাতে স্থানীয় শিখ ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিয়ে থাকেন। সঙ্গতটোলা সহ বাংলাদেশের পাঁচটি গুরুদুয়ারা ‘গুরুদুয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি বাংলাদেশ’ (আরইজিডি) এবং ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের সাম্পারদাই কার সেবা নামক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের যৌথ সহযোগীতায় পরিচালিত হয়। ভারতের শিখ ধর্মীয় সংগঠন ‘কারসেবা সারহালি’ থেকে গুরুদুয়ারাসমূহ পরিচালনার জন্য অর্থপ্রদান করা হয়।[২]