খালিদা জারার
খালিদা জারার | |
---|---|
ফিলিস্তিনি আইন পরিষদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০৬ – বর্তমান | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [১] | ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩
জাতীয়তা | ফিলিস্তিনি |
রাজনৈতিক দল | পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) |
দাম্পত্য সঙ্গী | গাসান জারার |
খালিদা জারার একজন ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ। তিনি পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এবং ফিলিস্তিনি আইন পরিষদ (পিএলসি) এর সদস্য। তিনি পিএলএলপি-এর তিনজন ডেপুটিদের মধ্যে একজন হিসেবে ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে পিএলসি-তে নির্বাচিত হন এবং তখন থেকেই একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ইউরোপ কাউন্সিলের ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি এবং বর্তমানে পিএলসি-এর প্রিজনার্স কমিটির প্রধান। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যোগদানের জন্য ফিলিস্তিনের আবেদনে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তারে কোনো অভিযোগ আনা ছাড়াই প্রশাসনিকভাবে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক আদালত "উস্কানি ও সন্ত্রাসে জড়িত থাকার" অভিযোগও দায়ের করেছে। উস্কানিমূলক অভিযোগটি ২০১২ সালে প্রকাশ্য বিবৃতি উল্লেখ করা হয়, যেখানে তিনি পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি দখলের সমালোচনা করেছিলেন।[২] আদালত তাকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেয়, তিনি ৬ জনের মধ্যে একজন ছিলেন, যাদের আন্তর্জাতিক প্রচারের পরে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১৯ সাল থেকে বিনা অভিযোগে আটকে থাকার পর, তাকে ২০২১ সালের মার্চ মাসে একটি ইসরায়েলি সামরিক আদালত একটি দরখাস্তের পরে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল, যেখানে তিনি নিজেকে পিএফএলপি সংগঠনের সদস্যপদের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন, কারণ ইসরায়েল সংগঠনটিকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মনে করে। শাস্তি শেষ সাথে সাথে তাকে ২০২১ সালের অক্টোবরে মুক্তি দেওয়া উচিত।[৩] তিনি রেকর্ডে বলেছেন, যে তার আবেদনে দর কষাকষির কারণ হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়ার ক্লান্তিকর দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি, ইসরায়েলের সামরিক আদালতে বিশ্বাসের অভাব ও হুমকি, যদি না তিনি অপরাধ স্বীকার করেন, তবে তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।[২]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
খালিদা জারার বহু বছর ধরে একজন মানবাধিকার কর্মী। তাকে ১৯৮৯ সালের ৮ মার্চ প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়, যখন তিনি আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য আটক হন। তিনি কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তিনি বন্দীদের সমর্থনে সক্রিয় ছিলেন এবং তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬৫ সাল পর্যন্ত রামাল্লায় প্রিজনার্স সমর্থন অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এনজিও অ্যাডামির-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং বোর্ড সদস্য ছিলেন। তিনি ইতিপূর্বে ইউএনআরডব্লিউএ-এর সাথেও কাজ করেছেন এবং ফিলিস্তিনি নারীদের সাথে কাজ করতে এবং নারীর অধিকারের পক্ষে কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Amira Hass, 'No exit: A Palestinian legislator trapped in the West Bank,' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ মে ২০১৫ তারিখে Haaretz 6 September 2010
- ↑ ক খ Born Without Civil Rights Israel’s Use of Draconian Military Orders to Repress Palestinians in the West Bank Human Rights Watch 17 December 2019
- ↑ "Israel sentences Palestinian lawmaker to two years in prison"। AP NEWS। ২০ এপ্রিল ২০২১।