খসড়া:যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয়
অবস্থান
<mapframe>: JSON সামগ্রীটি বৈধ GeoJSON+simplestyle নয়। নিচের তালিকাটি JSON স্কিমা অনুযায়ী এটি ব্যাখ্যা করার সমস্ত প্রচেষ্টা দেখায়। সবগুলোই ভুল নয়।
  • /0/query: The property query is required
  • /0/ids: The property ids is required
  • /0: Failed to match at least one schema
  • /0/title: The property title is required
  • /0/service: Does not have a value in the enumeration ["page"]
  • /0: Failed to match exactly one schema
  • /0/geometries: The property geometries is required
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["GeometryCollection"]
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["MultiPolygon"]
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["Point"]
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["MultiPoint"]
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["LineString"]
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["MultiLineString"]
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["Polygon"]
  • /0/coordinates: The property coordinates is required
  • /0/geometry: The property geometry is required
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["Feature"]
  • /0/features: The property features is required
  • /0/type: Does not have a value in the enumeration ["FeatureCollection"]
  • /1/query: The property query is required
  • /1/ids: The property ids is required
  • /1: Failed to match at least one schema
  • /1/title: The property title is required
  • /1/service: Does not have a value in the enumeration ["page"]
  • /1: Failed to match exactly one schema
  • /1/geometries: The property geometries is required
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["GeometryCollection"]
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["MultiPolygon"]
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["Point"]
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["MultiPoint"]
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["LineString"]
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["MultiLineString"]
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["Polygon"]
  • /1/coordinates: The property coordinates is required
  • /1/geometry: The property geometry is required
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["Feature"]
  • /1/features: The property features is required
  • /1/type: Does not have a value in the enumeration ["FeatureCollection"]
স্থানাঙ্ক২৫°৩১′২২.৩″ উত্তর ৮৯°৪৮′৫২.১″ পূর্ব / ২৫.৫২২৮৬১° উত্তর ৮৯.৮১৪৪৭২° পূর্ব / 25.522861; 89.814472
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনউচ্চ বিদ্যালয়
শ্রেণী
৬ষ্ঠ - ১০ম
ভাষাবাংলা

যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয় কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা হতে ছয় কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে।[১]এই সুদীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয়ের অসংখ্য কৃতি ছাত্র দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। দেশের শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্ক্রতি ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরের এমন ক্ষেত্র পাওয়া যাবেনা যেখানে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রের সরব পদচারনা নেই।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রারম্ভিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম। প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়েছিল এ অঞ্চলের শিক্ষার এক যুগ সন্ধিক্ষণে। রৌমারী থানা তথা ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব পাড়ে গন মানুষের উচ্চ শিক্ষার কোন প্রতিষ্ঠান সে সময় ছিল না। বৃটিশ আমলে রৌমারীর একটি গ্রাম ফলুয়ার চরে প্রচুর মানুষের বসবাস থাকার সুবাদে সেখানে একটি জুনিয়র মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল।[২]কিন্তু কালের বিবর্তনে করালগ্রাসী প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের মুখে ফলুয়ার চর গ্রামের অধিকাংশই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এক পর্যায়ে উক্ত মাদ্রাসা ঘরটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। সে সময় চাক্তাবাড়ী গ্রাম নিবাসী স্বনামধন্য জনাব মৌলভী তাজউদ্দিন আহাম্মদ উক্ত মাদ্রাসায় দায়িত্বরত ছিলেন। ফলুয়ার চরের গ্রামের কেউই মাদ্রাসার ঘরটি রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনাব মৌলভী তাজউদ্দিন আহাম্মদ সাহেব, চাক্তাবাড়ী গ্রামের জনাব আলহাজ্ব বাহার উল্লা মন্ডল, জনাব ময়েজ উদ্দিন মোল্লা, কাশিয়া বাড়ী গ্রামের ইয়ার মাহমুদ মন্ডলসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সহিত আলোচনা করে নদী ভাঙ্গনের মুখ হতে ফলুয়ার চর জুনিয়র মাদ্রাসা ঘরটি ভেঙ্গে নিয়ে এসে জনাব মোঃ এনায়েত উল্লা দেওয়ানী সাহেবের সম্মতিক্রমে তাঁর দেয়া জমিতে যাদুর চর জুনিয়র মাদ্রাসা নাম করণে উত্তোলন করেন। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত জুনিয়র মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্য জনাব মোঃ ইলিম উদ্দিন সরকার সাহেবকে সভাপতি করে একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। মাদ্রাসাটি চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে আর্থিক সংকটের কারনে শিক্ষকগনের বেতন প্রদান, আসবাবপত্রের অভাব এবং ঘরের প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করা যাচ্ছিল না। মাদ্রাসার সমস্যা সমাধান ও আর্থিক সংকট নিরসনের জন্য জনাব মৌলভী তাজউদ্দিন আহাম্মদ, আলহাজ্ব বাহার উল্লা মন্ডল, জনাব ময়েজ উদ্দিন মোল্লা, জনাব ইয়ার মাহমুদ মন্ডল ও জনাব আকবর আলী ব্যাপারী'র সমন্বয়ে একটি পরামর্শ সভা করেন।

পরামর্শ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ, সাহেবকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় জনাব মৌলভী তাজউদ্দিন আহাম্মদ সাহেবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যানুরাগী মিয়া জনাব রজব আলী মন্ডলকে (জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ এর বাবা) সম্মত করে আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেবকে মাদ্রাসার দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশনা দেয়ার মতামত আদায় করেন। সেই মোতাবেক জনাব রজব আলী মন্ডল সাহেব জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেবকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করার নির্দেশ প্রদান করেন।

স্থানীয় বিদ্যানুরাগী জনাব মৌলভী তাজউদ্দিন আহাম্মদ জনাব আলহাজ্ব বাহার উল্লা মন্ডল, জনাব ময়েজ উদ্দিন মোল্লা (চাক্তাবাড়ী), জনাব ইয়ার মাহমুদ মন্ডল (কাশিয়াবাড়ী), জনাব আব্দুল জব্বার পন্ডিত, জনাব সমেস উদ্দিন পন্ডিত (কোমড় ভাঙ্গি), জনাব আকবর আলী ব্যাপারী (চরের গ্রাম), জনাব একেন্দালী মন্ডল, জনাব আফাজ উদ্দিন মন্ডল, জনাব আইজ উদ্দিন মন্ডল (গোলাবাড়ী), জনাব আলহাজ্ব কিসমত উল্লা মন্ডল (যাদুর চর নূতন গ্রাম) ও জনাব এনায়েত উল্লা দেওয়ানীসহ (যাদুর চর পূর্বপাড়া) গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় যাদুর চর জুনিয়র মাদ্রাসার পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ যাদুর চর হাই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মহাপরিকল্পনা ও অভীষ্ঠ লক্ষ নিয়ে আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেব ১৯৪৬ ইং সনে মাদ্রাসাটির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন।

জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেব দায়িত্ব গ্রহন করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সদ্য পাশ করা জনাব রুস্তম আলী দেওয়ান সাহেবকে (ডাবল এম.এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট গোল্ড মেডেলিস্ট) যাদুর চর হাই মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট এর পদে নিয়োগ দান করেন। আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেব সুপারিনটেনডেন্টসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য জনাব এনায়েত উল্লা দেওয়ানীসহ বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ ও জমির মালিকগণের নিকটে এক বিশাল অভিযান পরিচালনা করেন। সেই অভিযানে যথেষ্ট পরিমান নগদ টাকাসহ যাদুর চর হাই মাদ্রাসার নামে দানসূত্রে ও ক্রয়সূত্রে প্রায় ১৪/১৫ একর জমি সংগৃহিত হয় যে জমিগুলো যাদুর চর হাই স্কুলের নামে এখনও আছে।

মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে উক্ত কমিটি যাদুর চর হাই মাদ্রাসার ঘর নির্মানের জন্য (১৫০) একশত পঞ্চাশ হাত দৈর্ঘের 'E' প্যাটার্নের একটি বিশাল ঘর নির্মানের ভিত্তি করেন। ঘর নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় শাল কাঠ সংগ্রহের নিমিত্তে জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেবের নেতৃত্বে জনাব মৌলভী তাজউদ্দিন আহাম্মদ, জনাব ইয়ার মাহমুদ মন্ডল, জনাব আলহাজ্ব বাহার উল্লা মন্ডল, জনাব আলহাজ্ব কিসমত উল্লা মন্ডল সাহেবগণ পূর্ব পাকিস্তান ও ভারতের বর্ডার রক্ষীগনের সম্মতিক্রমে বাইসাইকেল যোগে মানকার চরের পাহাড় অঞ্চলে গমন করে পাকা গাছের মজবুত ও সুঠাম সাইজের সমুদয় খুঁটি, পাইপ, ধন্না, রুয়া, বাতি ইত্যাদির কাঠ সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠান স্থলে জমায়েত করেন যাহা অত্যন্ত কঠিন ও দূরহ কাজ ছিল। সংগৃহিত কাঠ দ্বারা ১৫০ হাত 'E' প্যাটার্নের একটি বিশাল ঘরের পূর্ণ কাঠামো চিলমারী থেকে আনিত মিস্ত্রীর নেতৃত্বে দাড় করান। ঘরের কাঠামো সম্পন্ন হওয়ার পর টিনের ছাউনি করা নিয়ে আবারও আর এক দফা সমস্যা হয়। ছাউনির টিন অথবা টিন সংগ্রহের অর্থ কোনোটাই সে সময় ম্যানেজিং কমিটির হাতে ছিল না।

এমতাবস্থায় রৌমারী ও চিলমারী থানার বিশাল এলাকার জোদ্দার প্রান গোপাল পাল বাবু (পাল বাবু) জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেবকে তার জোদ্দারী কাচারী সেরেস্তায় ডেকে নিয়ে যান এবং তার সাথে পূর্বের গভীর ঘনিষ্টতা ও সুসম্পর্কের কারনে জমিদার বাবু চিলমারিস্থ জোদ্দার বাড়ীর সমস্ত টিনের ঘর ও বাউন্ডারির সকল টিন জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেবের নামে নিঃশর্তে লিখিতভাবে হস্তান্তর করে দেন এবং পরবর্তীতে তিনি ভারতে চলে যান।

পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম মহুকুমা প্রশাসক সাহেবের সহায়তা নিয়ে প্রান গোপাল পাল বাবুর টিনের ঘরসহ সকল টিন সংগ্রহ করে যাদুর চর হাই মাদ্রাসার অসমাপ্ত চালের ছাউনির কাজগুলি সমাপ্ত করেন। যাদুর চর হাই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য এবং এর সকল ব্যয় যাতে সাবলীলভাবে নির্বাহ করা যায়, সেজন্য জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেব স্থানীয় কর্তিমারী হাটটি জমজমাটভাবে লাগানোর সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে কর্ত্তিমারী হাটটি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে এর আয় শিক্ষা কার্যক্রম ও জমি ক্রয়সহ যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয় নির্মানের কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে স্বচ্ছল করার প্রয়াস গ্রহন করেন।

তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ[সম্পাদনা]

যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সে সময়কার ম্যানেজিং কমিটি উচ্চ শিক্ষিত যোগ্য ব্যক্তিবর্গকে সময়ে সময়ে স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত করেন।

এছাড়াও সহকারী শিক্ষক হিসেবে অনেক যোগ্যতম শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন। জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেব যাদুর চর হাই মাদ্রাসাটিকে পরবর্তীতে হাই স্কুলে রুপান্তরের সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহন করেন যার ফলে হাই মাদ্রাসাটি হাই স্কুলে রুপান্তরিত হয়ে অত্র এলাকায় একমাত্র উচ্চ শিক্ষার একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি তৎকালীন রৌমারী থানায় অদ্বিতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলাকার মানুষের শিক্ষিত হওয়ার দ্বার উন্মোচন করে। যার কারনে সে সময়ের রংপুর জেলার তৃতীয় শ্রেনীর ভূগোল বইয়ে যাদুর চরের শিক্ষিত লোকের বসবাসের ইতিহাস লিপিবদ্ধ আছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ বিদ্যালয়টি পরিচালনার সাথে জড়িত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্ট/প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিম্নে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ দায়িত্ব পালন করেছেন:

(১) যাদুর চর মাদ্রাসার প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট জনাব রুস্তম আলী দেওয়ান (ডাবল এম.এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট গোল্ড মেডেলিস্ট)। যিনি তিন বৎসর দায়িত্ব পালন করে পরবর্তীতে নরসিংদী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হিসেবে দীর্ঘদিন থাকার পর শান্তাহার ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু ও ফার্সি বিভাগে দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে অবসর গ্রহন করেন।

(২) জনাব হাবিবুল্লাহ বাহার (বীরভূম ভারত): তিনি স্বল্পদিন দায়িত্ব পালন করে চলে যান।

(৩) জনাব ইব্রাহিম আকন্দ (এম.এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট): অত্র প্রতিষ্ঠানের চাকুরী শেষে তিনি তদানীন্তন রেডিও পূর্ব পাকিস্তানের ডাইরেক্টর হন এবং রংপুর রেডিও সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন।

(৪) জনাব শরাফত আলী খান (এম.এ ফার্স্ট ক্লাস- কুমিল্লা): দুই পর্যায়ে দীর্ঘদিন সুপারিনটেনডেন্ট-এর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি তার দেশে একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। বাকি সময় সেখানে চাকুরীরত ছিলেন।

(৫) জনাব আবু বকর মিয়ানজী (এম.এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট গোল্ড মেডেলিস্ট, চট্টগ্রাম): দীর্ঘদিন সুপারিনটেনডেন্ট এবং পরবর্তীতে যাদুর চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা সরকারী কলেজের চাকুরীতে যোগ দেন এবং তার পরে বিচার বিভাগের চাকুরিতে যোগ দিয়ে এক সময় কুড়িগ্রাম জেলা দায়রা জজের দায়িত্ব নিয়ে সেখানে চাকুরী শেষে ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান।

(৬) জনাব হাবিবুর রহমান (এম.এ, পাবনা): পরবর্তীতে তিনি গফরগাঁও ডিগ্রী কলেজে প্রিন্সিপালের দায়িত্বে চলে যান।

(৭) জনাব মোঃ হাসান আলী (এম.এ, সিলেট)ঃ যাদুর চর হাই স্কুলের চাকুরী শেষে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে সচিব পদে চাকুরী পেয়ে চলে যান।

(৮) জনাব মোঃ আব্দুচ্ছাত্তার, এম.এস.সি।

(৯) জনাব মোঃ রুস্তম আলী, বি.এ, বিএড।

(১০) জনাব মোঃ আব্দুস সাত্তার, এম.এস.সি।

সহকারী শিক্ষক হিসেবে অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ লাভ করে অত্র এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়নে অনেক অবদান রেখে গেছেন। যাদুর চর হাই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর হতেই জুনিয়র মাদ্রাসার প্রাইমারী অংশটুকু প্রাইমারী স্কুল আকারে পূর্ব দিকে স্থানান্তরিত হয়। যা এখন যাদুর চর সরকারী প্রাথমিকভাবে নামে সকলের কাছে পরিচিত।

পাঠদানে উল্লেখযোগ্য সহকারী শিক্ষকমন্ডলী[সম্পাদনা]

জনাব রুস্তম আলী দেওয়ান (বি.এস.সি, বিএড), জনাব সাদেক হোসেন (বি.এ, বিটি), জনাব মতিউর রহমান, জনাব আব্দুস সাত্তার, জনাব মাওলানা সফিউল্লা (এম.এম), জনাব মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ, মোঃ শামসুল হক, মোঃ শাহাব উদ্দিন, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ নাজিম উদ্দিন, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ নবাব আলী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ শামছুল মৌলভী, আকছুদুর রহমান, মোঃ ইলিম উদ্দিন মন্ডল প্রমুখ।

যাদুর চর হাই মাদ্রাসার নিয়োগকৃত প্রথম সুপারিনটেনডেন্ট হলেন জনাব রুস্তম আলী দেওয়ান। জনাব হাবীবুল্লা বাহার, জনাব ইব্রাহিম আকন্দ, জনাব সরাফত আলী খান সাহেব পর্যায়ক্রমে মাদ্রাসায় চাকুরী করে গেছেন। এদের মধ্যে সরাফত আলী খান সাহেব ম্যানেজিং কমিটির পরামর্শক্রমে রৌমারীর শ্যামলাল মারোয়ারীর গুদাম ঘর এবং ডাক বাংলা নিলামে কিনে সেগুলো দিয়ে যাদুর চর হাই মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট সাহেবের থাকার জন্য একটি সুন্দর বাসভবন এবং বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য একটি গ্যালারী ক্লাসরুম নির্মান করেন। জনাব সরাফত আলী খান সাহেব নির্মিত সেই কোয়ার্টারে স্বস্ত্রীক বসবাস শুরু করেন এবং পরবর্তী সুপারিনটেনডেন্ট ও হেড মাস্টারগণ ঐ নির্মিত কোয়ার্টারে বসবাস করে গেছেন।

জনাব আবু বকর মিয়ানজী সাহেব সুপারিনটেনডেন্ট থাকাবস্থায় যাদুর চর হাই মাদ্রাসাটি হাই স্কুলে রুপান্তারিত হয় এবং সে সময় হাই স্কুলটিতে একটি সমৃদ্ধশালী বিজ্ঞানাগারসহ প্রচুর বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরপুর করেন।

কর্তিমারী হাটটি যেহেতু যাদুর চর হাই মাদ্রাসা/ হাই স্কুলের উন্নয়নে আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, সে সময় কিছু অর্থ লিঙ্গু বহিরাগত লোক কর্ত্তিমারী হাটটি তাদের আয়ত্ত্বে নেয়ার অপচেষ্টা করেছেন যাহা জনাব আলহাজ্ব মনছুর আহাম্মদ সাহেব শক্তভাবে প্রতিহত করে হাটটির আয় স্কুলের উন্নয়নে লাগিয়েছেন।

আশির দশকে বিদ্যালয়টির পড়াশোনার মানে বেশ ঘাটতি পরে। বিদ্যালয়ের লেখা-পড়ার মানের অবনতির পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও অনিয়মিত হয়ে পরে। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেন জনাব মোঃ আজিজুর রহমান। তিনি দায়িত্ব নিয়েই কর্তিমারী হাটটি স্কুলের নামে ডেকে হাটের আয় থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেন এবং স্কুলের লেখাপড়ার মানোন্নয়নে যথাযাধ্য চেষ্টা করেন।

শিক্ষা কার্যক্রম ও পদ্ধতি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://www.dailyjanakantha.com/national/news/117699
  2. বিদ্যালয়ের ইতিকথা, লেখক: মোঃ আজিজুর রহমান (ব্যাচ ১৯৬৫)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]