ক্যাথরিন ওসলার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্যাথরিন ওসলার
এডওয়ার্ড এস. হার্পার কৃত প্রতিকৃতি
জন্ম
ক্যাথরিন কোর্টল্ড ওসলার

(১৮৫৪-০২-২৬)২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৪
ব্রিজওয়াটার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৬ ডিসেম্বর ১৯২৪(1924-12-16) (বয়স ৭০)
এজবাস্টন, ইংল্যান্ড
জাতীয়তাব্রিটিশ
দাম্পত্য সঙ্গীআলফ্রেড ওসলার

ক্যাথরিন ওসলার বা ক্যাথরিন কোর্টল্ড ওসলার; ক্যাথরিন কোর্টউল্ড টেলর (২৬শে ফেব্রুয়ারি ১৮৫৪ - ১৬ই ডিসেম্বর ১৯২৪) একজন ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক এবং ভোটাধিকার কর্মী ছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

ওসলার ১৮৫৪ সালে ব্রিজওয়াটারে উইলিয়াম এবং ক্যাথরিন টেলরের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[১] ক্যাথরিন ছিলেন তাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান। বার্মিংহাম উইমেন'স সাফ্রেজ সোসাইটি গঠনের সময় থেকেই তাঁর একতাবাদী বাবা-মা সেটির সভ্য ছিলেন। ১৮৮৫ সালে ওসলার এই সংস্থার কোষাধ্যক্ষ থেকে সেক্রেটারি হওয়ার সাথে সাথে সমিতিতে তাঁর পদোন্নতি হয়।[২]

ক্যাথরিন বিয়ে করেছিলেন আলফ্রেড ওসলারকে। আলফ্রেড বার্মিংহামের 'এফ অ্যাণ্ড সি ওসলার'-এর পারিবারিক ফার্ম চালাতেন। এই ফার্ম সূক্ষ্ম ক্রিস্টালের নকশা করা এবং তার থেকে ক্রিস্টালের জিনিস তৈরির জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের অনেক জায়গায় বড় বড় দালানে পাওয়া ঝাড়বাতিগুলি এর একটি উদাহরণ। আলফ্রেড ওসলার লিবারেল পার্টির সদস্য ছিলেন। ১৮৮৮ সালে মহিলা লিবারেল ফেডারেশন বার্মিংহামে একটি সম্মেলন করেছিল এবং ক্যাথরিন ওসলারকে এতে সভাপতিত্ব করতে বলা হয়েছিল।[৩] চার বছর পর নারীমুক্তি ইউনিয়ন বার্মিংহামে মিলিত হয় এবং ওসলারকে একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেখানে তিনি স্থানীয় সরকারে নারীদের সম্পৃক্ত করার জন্য তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা শোনান।[৪]

১৯০৩ সালে, তিনি বার্মিংহাম মহিলা ভোটাধিকার সোসাইটির সভাপতি হন।[২]

ওসলার জঙ্গি ভোটাধিকারীদের কর্মের বিরোধী ছিলেন এবং তিনি মহিলা সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়নের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে লিখেছিলেন। তবে কারাগারে ডব্লিউএসপিইউ জঙ্গিদের সাথে যেভাবে আচরণ করা হত তা তিনি অনুমোদন করেননি।[৩] ১৯০৯ সালে, তিনি বার্মিংহাম উইমেন'স লিবারেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, লিবারেল সরকারের ভোটাধিকার বন্দীদের জোর করে খাওয়ানোর নীতির প্রতি আপত্তি জানিয়ে।[২]

১৯১১ সালে, ওসলার নারী ভোটাধিকার সমিতির জাতীয় ইউনিয়নের (এনইউডব্লিউএসএস) কার্যনির্বাহী কমিটিতে যোগদান করেন।[১] ওসলার বার্মিংহামেও স্থানীয় সরকারে নারীদের ভূমিকা প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় সক্রিয় ছিলেন।[১]

১৯১৯ সালে, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে ওসলারের কাজের জন্য বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি তাঁকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে। ওসলার ১৯২৪ সালে এজবাস্টনে মারা যান। স্থানীয় শিল্পী এডওয়ার্ড হার্পারের করা তাঁর একটি প্রতিকৃতি একটি স্থানীয় গ্যালারিতে বসানো হয়েছিল এবং সেটি এখন সেখানেই রয়েছে।[১]

তাঁর নাম এবং ছবি (এবং অন্যান্য ৫৮ জন নারী ভোটাধিকার সমর্থকদের) ২০১৮ সালে উন্মোচিত লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে মিলিসেন্ট ফসেটের মূর্তির পাদমূলে রয়েছে[৫][৬][৭]

কাজ[সম্পাদনা]

  • নারীদের ভোট কেন দরকার, ১৯১০

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Elizabeth Crawford, ‘Osler, Catherine Courtauld (1854–1924)’, Oxford Dictionary of National Biography, Oxford University Press, Sept 2013 accessed 20 November 2017
  2. "Catherine Osler | Great British - bringing you closer to our history makers"great-british.co.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. "Catherine Osler"Spartacus Educational (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭ 
  4. "Suffrage Stories: 'From Frederick Street to Winson Green': The Birmingham Women's Suffrage Campaign"Woman and her Sphere (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. "Historic statue of suffragist leader Millicent Fawcett unveiled in Parliament Square"। Gov.uk। ২৪ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৮ 
  6. Topping, Alexandra (২৪ এপ্রিল ২০১৮)। "First statue of a woman in Parliament Square unveiled"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৮ 
  7. "Millicent Fawcett statue unveiling: the women and men whose names will be on the plinth"। iNews। ২৪ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৫