কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ ও ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ ও ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টার
ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বার
প্রতিষ্ঠাতা(গণ)চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠিত২০১৫
প্রধানঅধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুল আবছার খান
অবস্থান
দরিয়ানগর, কক্সবাজার
,
বাংলাদেশ
ওয়েবসাইটhttps://cvasu.ac.bd/office/coastal-biodiversity-marine-fisheries-and-wildlife-research-centre

কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ ও ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টার হল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় আউটরিচড ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসটি কক্সবাজার জেলার দরিয়ানগর এলাকায় অবস্থিত।[১] এই ক্যাম্পাসের আয়তন ৫ একর।[২] এই ক্যাম্পাসটি বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম আউটরিচ ক্যাম্পাস।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ ও ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ সেন্টার - এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের আয়তন মাত্র ৭ একর হওয়ায় সেখানে অন্য কোন ইন্সটিটিউট স্থাপন করা সম্ভব না। তাই মূল ক্যাম্পাসের বাইরে নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্তে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর জন্য ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেও সংশোধন আনা হয়। ২০১৬ সাল থেকে এই ক্যাম্পাস চালু হয়। সিভাসুর মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের আওতায় এই ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৫ সালে কক্সবাজারে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম আউটরিচ ক্যাম্পাসের জন্য দরিয়ানগর এলাকার ঝিলংজা মৌজার ৫ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দেয়। জমির মূল্য বাবদ পরিশোধ করা হয় দুই কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ২৬২ টাকা।[২][৩] ক্যাম্পাসটি নির্মাণ করতে প্রাথমিকভাবে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পুরো ক্যাম্পাসটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৬ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর স্থানীয় মানুষজনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ভবিষ্যৎ-এ এই ক্যাম্পাসের জন্য নির্মিত মসজিদ, মেডিকেল সেন্টার স্থানীয় মানুষদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।[৪]

ক্যাম্পাস[সম্পাদনা]

এই ক্যাম্পাসে গবেষকদের জন্য একটি রিসার্চ ডরমিটরি আছে। এছাড়া একটি মেরিন রিসার্চ হ্যাচারিও রয়েছে। এখানে মূলত বিদেশী প্রযুক্তির সাহায্যে তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, ভেটকিসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছগুলো চাষ করা হবে। ২০২২ সালের ৪ জুন এই হ্যাচারির উদ্বোধন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনী[১]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

উৎস[সম্পাদনা]

  1. "কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা নেই: দীপু মনি"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৪ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২৩ 
  2. "কক্সবাজার ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু"। প্রথম আলো। ৬ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২৩ 
  3. "চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হচ্ছে কক্সবাজারে"। জাগো নিউজ। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২৩ 
  4. "ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হচ্ছে কক্সবাজারে"। কালের কন্ঠ। ৪ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২৩