কুষ্টিয়া জেলা কারাগার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কুষ্টিয়া জেলা কারাগার (ইংরেজি: Kusthia District Jail) বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার একটি জেলা কারাগার। কারাগাটি ১৯৬৮ সালের কুষ্টিয়া শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] বর্তমানে কারাগাটি বাংলাদেশ জেল কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেলা কারাগার
Kusthia District Jail
মানচিত্র
স্থানাঙ্ক২৩°৫৩′৪৫″ উত্তর ৮৯°০৭′৩৬″ পূর্ব / ২৩.৮৯৫৯৭০৭° উত্তর ৮৯.১২৬৬৫১৬° পূর্ব / 23.8959707; 89.1266516
অবস্থাচালু
খোলা হয়১৯৬৮; ৫৬ বছর আগে (1968)[১]
ব্যবস্থাপকবাংলাদেশ জেল
রক্ষীসর্বমোট কারারক্ষী ২১০ জন[১]
  • সর্ব প্রধান কারারক্ষী ০২ জন
  • প্রধান কারারক্ষী ১০ জন
  • সহকারী প্রধান কারারক্ষী ১৫ জন
  • সাধারণ কারারক্ষী ১৭৬ জন
  • মহিলা কারারক্ষী ০৭ জন
সড়কের ঠিকানারাম চন্দ্র রায় চৌধুরী রোড
শহরকুষ্টিয়া
ডাককোড৭০০০
দেশ বাংলাদেশ
ওয়েবসাইটprison.kushtia.gov.bd

সাংঘাঠনিক কাঠামো[সম্পাদনা]

০১ জন জেল সুপারের অধীনে ০৩টি বিভাগ রয়েছে।

  1. সাধারণ বিভাগ
  2. চিকিৎসা বিভাগ
  3. উৎপাদন বিভাগ

সাধারণ বিভাগ[সম্পাদনা]

  1. জেল সুপার ০১ জন
  2. ডেপুটি জেলার ০২ জন
  3. সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর ০১ জন
  4. সর্বপ্রধান কারারক্ষী ০২ জন
  5. প্রধান কারারক্ষি ১০ জন
  6. কারারক্ষী পদ সংখ্যা ১৭৬ জন
  7. কারা সহকারী কাম-কম্পিউটার ০২ জন
  8. সহকারী প্রধান কারারক্ষি ১৫ জন
  9. মেট্রন ০১ জন
  10. সহকারী মেট্রন ০২ জন
  11. সহকারী সার্জন ০২ জন
  12. কারা শিক্ষাক ০১ জন
  13. বাবুর্চি ০১ জন
  14. পরিচ্ছন্নতা কর্মী ০৫ জন

চিকিৎসা বিভাগ[সম্পাদনা]

  1. সহকারী সার্জন ০১ জন
  2. ডিপ্লোমা নার্স ০১জন
  3. ফার্মাসিস্ট ০২ জন
  4. গাড়ি চালক ০১জন

উৎপাদন বিভাগ[সম্পাদনা]

  1. হিসাবরক্ষক ০১ জন
  2. টেইলার ০১ জন

সেবার তালিকা[সম্পাদনা]

  1. আদালত হতে আগত বন্দীদের প্রসঙ্গে
    1. প্রত্যেক দিন আদালত হতে আগত বন্দীদের শ্রেণী বিন্যাস করা যথাযথ আবাসনের ব্যবস্থা করা।
    2. অসুস্থ বন্দীদের তাৎক্ষনিকভাবে যথাযথ চিকিৎসা প্রদানের নিমিত্তে হাসপাতালে ভর্তি করা।
    3. নির্ধারিত তারিখে বিচারাধীন বন্দীদেরকে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজিরা নিশ্চিত করা‌
    4. কোন বন্দীর হাজিরার তারিখ নির্দিষ্ট না থাকলে আদালতের সাথে যোগাযোগ করতঃ হাজিরার তারিখ সংগ্রহপূর্বক আদালতে হাজিরার ব্যবস্থা করা।
    5. নবাগত বন্দীদের আদালত হতে আসার সময় তাদের সাথে রক্ষিত টাকা পয়সা ও অন্যান্য মূল্যাবান দ্রব্যাদি যথাযথ হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করা।
    6. অসহায় ও অসচ্ছল বন্দীদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে সরকারী কৌসুলী নিয়োগের মাধ্যমে যথাযথ আইনী সহায়তা প্রদান করা হয়।
    7. দন্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের সুবিচার প্রাপ্তিতে উচ্চ আদালতে আপীল দাখিলের ব্যাপারে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগের লক্ষ্যে কারা কর্তৃপক্ষ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা।
  2. বন্দীদের সাথে দেখা সাক্ষাত সংক্রান্ত
    1. আত্মীয়-স্বজনরা হাজতী বন্দীর সাথে ১৫ দিন অন্তর অন্তর একবার করে দেখা করতে পারে।
    2. আত্মীয়-স্বজনরা কয়েদী বন্দীর সাথে মাসে একবার দেখা করতে পারে।
    3. ডিটেন্যু ও নিরাপদ হেফাজতী বন্দীদের সাথে দেখা করতে হলে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের অনুমতি প্রয়োজন।
    4. দেখা-সাক্ষাৎ সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) জন এক সাথে একজন বন্দীর সাথে দেখা করতে পারবে ;
    5. বন্দীদের সাথে দেখা করার জন্য কোন প্রকার টাকা পয়সা লেন-দেন নিষিদ্ধ। যদি কেউ টাকা দাবী করে তাহলে জেল সুপার/জেলারকে অবহিত কর।
    6. মোবাইল, মদ, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ধারালো অস্ত্র, টাকা-পয়সা, রান্না করা খাবার ইত্যাদি নিয়ে সাক্ষাত-কক্ষে প্রবেশ করা যাবে না ;
    7. বন্দীদের সাথে সাক্ষাৎ-প্রার্থীদের দেখা-সাক্ষাৎ প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করা।
    8. বন্দীদের সাথে তার কৌসুলীর দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ প্রদান করা।
    9. বন্দীদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য জেল সুপার বরাবরে আবেদন করতে হবে। যারা আবেদনপত্র লিখতে সক্ষম নন তাদের সহায়তা করার জন্য রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত কর্মচারীর স্লিপের মাধ্যমে দেখা করার সুযোগ পাবে।
    10. নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বা পরে দূর-দূরান্ত থেকে আগত সাক্ষাৎ-প্রার্থীদের সাথে বন্দীদের সাক্ষাতের জন্য সাধারণতঃ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুমতি প্রদান করা।
    11. কারাগারে আটক বন্দী অথবা কারো সম্বন্ধে কোন তথ্য জানতে চাইলে কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষীর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
    12. সাক্ষাৎ-প্রার্থীদের সহজে এবং ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহের লক্ষ্যে প্রত্যেক কারাগারে ১টি করে ক্যান্টিন/দোকান চালু করা হয়েছে এর ফলে আগত সাক্ষাৎ-প্রার্থীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করে বন্দীদের সরবরাহ করতে পারেন। এতে একদিকে যেমন কারাগারে অবৈধ দ্রব্যাদি প্রবেশ করতে পারে না, অন্যদিকে সাক্ষাৎ-প্রার্থীরা সহজলভ্য ও সতেজ জিনিস ক্রয় করতে পারেন। এখানে আরো উল্লেখ্য যে, আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক দূর-দূরান্ত থেকে বন্দীদের আনীত খাবার বাসী হয়ে যায় যা খেলে বন্দীরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
    13. সাক্ষাৎ-প্রার্থী কর্তৃক বন্দীদের জন্য দেয় মালামাল যথাযথভাবে ও যত্নসহকারে বন্দীর নিকট পৌঁছানো নিশ্চিত করা।
  3. বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা
    1. প্রত্যেক কারাগারে বন্দীদের সাথে আগত সাক্ষাৎ-প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার রয়েছে।
    2. বিশ্রামাগারে পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক পাখা, পানি এবং টয়লেটের সুব্যবস্থা রয়েছে।
    3. অফিসে কোন প্রয়োজনীয় সংবাদ পৌঁছাতে হলে প্রধান ফটকের বাইরে রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষীর মাধ্যমে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছ।
    4. পিসিতে টাকা জমাদান পদ্ধতি
    5. কারাগারে আটক বন্দীদের ব্যক্তিগত তহবিলে (পি.সি.) অর্থ জমা রাখার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
    6. কেউ কারাগারে আটক বন্দীদের পিসিতে টাকা জমা করতে চাইলে তিনি মোবাইল বিকাশ ও ডাকযোগে মানি অর্ডার করতে পারবেন।
    7. ব্যক্তিগতভাবেও বন্দীর আত্মীয়-স্বজন পিসিতে অর্থ জমা দিতে পারবেন।
    8. রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষীর সহযোগিতায় এই অর্থ জমা দেয়া যাবে। অর্থ জমাদানের ব্যাপারে কোন প্রকার বাড়তি ফি প্রদান করতে হয় না।
  4. ওকালতনামা স্বাক্ষর প্রসঙ্গে
    1. ওকালতনামা স্বাক্ষরের ব্যাপারে অবৈধ অর্থের লেনদেন রোধের জন্য প্রত্যেক কারাগারে প্রধান ফটকের সামনে ওকালতনামা দাখিলের জন্য বাক্স রাখা হয়েছে।
    2. নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর বাক্স খুলে ওকালতনামা স্বাক্ষরান্তে বন্দীর কৌসুলী/আত্মীয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
    3. ওকালতনামায় বন্দীর স্বাক্ষরের জন্য কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না। যদি কেউ এ ব্যাপারে কোন অর্থ দাবী করে তাহলে তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষী অথবা সরাসরি জেল সুপার/জেলর-এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
  5. জামিন/মুক্তি প্রসঙ্গে
    1. আদালত হতে প্রাপ্ত মুক্তি/জামিন আদেশে মুক্তিযোগ্য বন্দীদের তালিকা প্রধান ফটকের সামনে নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হয়।
    2. মুক্তিযোগ্য বন্দীদের নাম লাউড স্পিকারের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়, যাতে করে বাইরে অপেক্ষমান আত্মীয়-স্বজন সহজে বন্দীর মুক্তির বিষয়টি জানতে পারে।
    3. যে সব বন্দীর মুক্তি/জামিন আদেশে ভুল পরিলক্ষিত হয় তাদের নামের তালিকা বাইরে টানিয়ে দেয়া হয় এবং বিষয়টি লাউড স্পিকারের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। যাতে করে বন্দীর আত্মীয়-স্বজন অহেতুক দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা না করে চলে যেতে পারে‌
  6. বন্দীদের সাথে আচরণ প্রসঙ্গে
  7. চিকিৎসা ব্যবস্থা
  8. প্রশিক্ষণ
  9. বন্দীদের কল্যাণমূলক কার্যক্রম প্রসঙ্গে

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

দাপ্তরিক ওয়েবসাইট

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "একনজরে"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন-কুষ্টিয়া জেলা কারাগার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০৪