কুঞ্জরানী দেবী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুঞ্জরানী দেবী
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামনামীরাকপাম দেবী কুঞ্জরানী
জন্ম (1968-03-01) ১ মার্চ ১৯৬৮ (বয়স ৫৬)
উচ্চতা১৬৩ সেমি।
ওজন৪৭.৩০ কেজি (১০৪.৩ পা)
ক্রীড়া
দেশ India
ক্রীড়াভারোত্তোলন
ওজনের শ্রেণিবিন্যাস৪৮ কেজি
পদকের তথ্য
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
মহিলাদের ভারোত্তোলন
কমনওয়েলথ গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০২ ম্যাঞ্চেস্টার মহিলাদের ৪৮ কেজি
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০০৬ মেলবোর্ন মহিলাদের ৪৮ কেজি
বিশ্ব ওয়েট লিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপস
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৮৯ ম্যানচেস্টার ৪৪ কেজি
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৯১ ডোনওশিনগেন ৪৪ কেজি
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৯২ ভার্না ৪৪ কেজি
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৯৪ ইস্তাম্বুল ৪৬ কেজি
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৯৫ ওয়ারশ ৪৬ কেজি
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৯৬ গুয়াংঝো ৪৬ কেজি
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৯৭ চিয়াং মাই ৪৬ কেজি
এশিয়ান গেমস
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ১৯৯০ বেইজিং ৪৪ কেজি
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ১৯৯৪ হিরোশিমা ৪৬ কেজি

কুঞ্জরানী দেবী (ইংরেজি: Nameirakpam Kunjarani Devi), (জন্ম ১ মার্চ ১৯৬৮) একজন ভারতীয় ভারোত্তোলক। ১৯৯৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ইভেন্টগুলিতে একজন নিয়মিত উপস্থিতি, বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপস বহু পদক জিতেছেন। ভারত সরকার তার ক্রীড়ায় অবদানের জন্য তাকে সম্মানসূচক পদ্মশ্রী দ্বারা সন্মানিত করে।[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

১ মার্চ, ১৯৬৮ সালে, কুঞ্জরানী দেবী মণিপুরের ইম্ফলের কৈরাং মায়াই লিকাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন, ইম্ফলের সিনেমাম সিনশং রেসিডেন্ট হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকে তিনি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আগ্রহী হন। তিনি ইম্ফলের মহারাজা বুদ্ধ চন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন। এতদিনে তার প্রথম পছন্দ ভারোত্তোলন হয়ে ওঠে। তিনি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স যোগদান করেন। তিনি পুলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তার কৃতিত্বের ছাপ রাখেন এবং ভারতীয় পুলিশ দলের নেতৃত্ব দেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৮৫, ন্যাশনাল ওয়েটলিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপ, ভারত[সম্পাদনা]

১৯৮৫ সালের শুরুতে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে কুঞ্জরানী ন্যাশনাল ওয়েটলিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। ৪৪ কেজি, ৪৬ কেজি এবং ৪৮ কেজির শ্রেণিতে জিতেছিলেন।[৩]

১৯৮৭, ন্যাশনাল ওয়েটলিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপ, তিরুবনন্তপুরম, ভারত[সম্পাদনা]

১৯৮৭ সালে তিরুবনন্তপুরম অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রতিযোগিতায় কুঞ্জরানী দুটি জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করেন। [৪]

১৯৮৯, বিশ্ব মহিলা ওয়েটলিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপ, ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে, ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত বিশ্ব মহিলা ওয়েটলিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে কুঞ্জরানী তিনটি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৪]

১৯৮৯, এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপ, ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে, সাংহাইয়ের অনুষ্ঠিত এশিয়ান ওয়েটলিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে কুঞ্জরানী একটি রৌপ্য এবং দুটি ব্রোঞ্জের পদক জিতেছিলেন। [৪]

১৯৯০, এশিয়ান গেমস, বেইজিং, চীন[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালে, বেইজিং অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে কুঞ্জরানী ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।[৪]

১৯৯১, এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপ, ইন্দোনেশিয়া[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালে, ইন্দোনেশিয়া অনুষ্ঠিত এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৬ কেজির শ্রেণিতে কুঞ্জরানী রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। [৪]

১৯৯২, এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপ, ভার্না, বুলগেরিয়া[সম্পাদনা]

১৯৯২ সালে, ভার্না, বুলগেরিয়াতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৪ কেজির শ্রেণিতে কুঞ্জরানী ১৪২.৫ মোট কেজি (স্নেচে ৬৫ কেজি এবং ক্লিন ও জার্কে ৭৭.৫ কেজি) উত্তোলন করে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৪]

১৯৯৪, এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপ, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালে, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৬ কেজির শ্রেণিতে কুঞ্জরানী ১৬৭.৫ মোট কেজি (স্নেচে ৭২.৫ কেজি এবং ক্লিন ও জার্কে ৯৫ কেজি) রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। [৪]

১৯৯৪, এশিয়ান গেমস, হিরোশিমা, জাপান[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালে হিরোশিমাতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে কুঞ্জরানী ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।[৪]

১৯৯৫, কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ, নাউরু[সম্পাদনা]

১৯৯৫ সালে, নাউরুতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৮ কেজির শ্রেণিতে কুঞ্জরানী স্বর্ণ পদক জিতেছেন।[৪]

১৯৯৫, এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপ, দক্ষিণ কোরিয়া[সম্পাদনা]

১৯৯৫ সালে, দক্ষিণ কোরিয়া অনুষ্ঠিত এশিয়ান ওয়েস্টলিফিং চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৬ কেজির শ্রেণিতে কুঞ্জরানী দুটি স্বর্ণ ও একটি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন।[৪]

২০০৬, কমনওয়েলথ গেমস, মেলবাের্ন, অস্ট্রেলিয়া[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে, মেলবাের্ন, অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে, মহিলাদের ৪৮ কেজির শ্রেণিতে কুঞ্জরানী স্বর্ণ পদক লাভ করেন।[৪]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

কুঞ্জরানী ৫০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পদক জিতেছেন। ১৯৯০ সালে, ভারত সরকার তাকে অর্জুন পুরস্কারের দ্বারা সন্মানিত করে। ১৯৯৬ সালে রাজিব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কারে সন্মানিত হন এবং একই বছর তিনি কে. কে. বিড়লা স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডও পান। ২০১১ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে। [১][২]

অবসরের পর[সম্পাদনা]

কুঞ্জরানী কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এ সহকারী কম্যান্ড্যান্ট পদে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে, গ্লাসগোতে কমনওয়েলথ গেমসে তিনি ভারতীয় মহিলা ভারোত্তোলেন দলের কোচ ছিলেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। নভেম্বর ১৫, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫ 
  2. "Nameirakpam Kunjarani Devi (1968 – Present)"www.indiaonline.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৮ 
  3. "Kunjarani Devi Birthday, Age, Family & Biography"www.celebrityborn.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৮ 
  4. "Nameirakpam Kunjarani Devi Biography"www.mapsofindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]