কাহ্নপাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাহ্ন পা

কাহ্নপাদ (আনু. ১০ম শতক) বা কাহ্ন পা বা কনহপা বা কাহ্নিল পা বা কৃষ্ণপাদ বা কৃষ্ণাচার্য্য চুরাশিজন বৌদ্ধ মহাসিদ্ধদের মধ্যে একজন ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের আদি নির্দশন চর্যাপদের কবিগোষ্ঠীর মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক ১৩টি পদের রচয়িতা।

পরিচয়[সম্পাদনা]

তিব্বতী ঐতিহ্যানুসারে, ব্রাহ্মণ বংশজাত নাথপন্থী ও পরে সহজিয়া মতে দীক্ষাপ্রাপ্ত আচার্য কৃষ্ণপাদ বা কাহ্ন পা বৌদ্ধ মহাসিদ্ধ জলন্ধরীপাদের শিষ্য ছিলেন। সহজপন্থী তান্ত্রিক কাহ্ন পা সিদ্ধাচার্য, মন্ডলাচার্য ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হন।[১] তিব্বতী বৌদ্ধ লামা তারানাথের মতে, বিদ্যানগর নামক স্থানে তাঁর বাসস্থান ছিল। সম্প্রতি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গবেষক প্রখ্যাত বৌদ্ধ ধর্মীয় অধ্যক্ষ জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়া “নেত্রকোণা: অতীত ও বর্তমান” শীর্ষক এক গবেষণামূলক রচনায় ভাষাবিচারে কাহ্নপাকে বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার কৃষ্ঠপুর গ্রামের সন্তান বলে দাবী করেছেন। কাহ্নপা সোমপুর মহাবিহারে সাধনা করতেন। তিনি হেবজ্র, যমান্তক প্রভৃতি বজ্রযান তন্ত্রসাধনার ওপর পঞ্চাশটির ওপর গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি চর্যাপদের তেরোটি পদ রচনা করেন। তবে কাহ্নপা রচিত ২৪তম পদটি পাওয়া যায়নি।[২]:৬০১,৬০২ পালরাজবংশের তৃতীয় রাজা দেবপালের রাজত্বকালে (আনু. ৯০০-৫০) তিনি বর্তমান ছিলেন।[১]

কাহ্নপার পদগুলো[সম্পাদনা]

চর্যাদের কবিদের মধ্যে সর্বাধিক পদ রচয়িতা কাহ্নপা পদসংখ্যা ১৩ টি। পদ নং ৭, ৯,১০,১১,১২,১৩,১৮,১৯,৩৬,৪০,৪২,৪৫ এবং ২৪ তম পদ পাওয়া যায়নি। ১৩ ও ১৮ নং পদে তার বিবাহের সংবাদ পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কাহ্নপা"বাংলাপিডিয়া। ২০১৪-০৫-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৫ 
  2. বাঙ্গালীর ইতিহাস : আদি পর্ব, নীহাররঞ্জন রায়, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, চতুর্থ সংস্করণ, অগ্রহায়ণ, ১৪১০ বঙ্গাব্দ, আইএসবিএন ৮১-৭০৭৯-২৭০-৩