কাসিনাধুনি বিশ্বনাথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাসিনাধুনি বিশ্বনাথ
২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে বিশ্বনাথ
জন্ম
কাশিনাধুনি বিশ্বনাথ

(১৯৩০-০২-১৯)১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০
মৃত্যু২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩(2023-02-02) (বয়স ৯২)
পেশা
  • চলচিত্র পরিচালক
  • অভিনেতা
  • গীতিকার
কর্মজীবন১৯৫১–২০২৩
উল্লেখযোগ্য কর্ম
চলচ্চিত্র
পুরস্কারপদ্মশ্রী (১৯৯২)
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (২০১৬)

কাসিনাধুনি বিশ্বনাথ ( তেলুগু: కాశీనాధుని విశ్వనాధ్ ); ১৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৩০ - ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) "কলাতপস্বী" নামে পরিচিত একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার এবং অভিনেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন তেলুগু সিনেমার অন্যতম সেরা চিত্রনাট্যকার,[১][২][৩] তিনি তার কাজের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং মূলধারার সিনেমার সাথে সমান্তরাল সিনেমার মিশ্রণের জন্য পরিচিত ছিলেন। [ক] তিনি ১৯৮১ সালে " ফ্রান্সের বেসানন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল" এ "প্রাইজ অফ দ্য পাবলিক" দিয়ে সম্মানিত হন।[৬] ১৯৯২ সালে, তিনি শিল্পকলার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য কর্তৃক রঘুপতি ভেঙ্কাইয়া পুরস্কার এবং বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পান। ২০১৭ সালে, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হন।[৭][৮][৯]

বিশ্বনাথ একজন অডিওগ্রাফার হিসেবে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন এবং ষাট বছরে তিনি পারফর্মিং আর্টস, ভিজ্যুয়াল আর্টস, নান্দনিকতা, মেলোড্রামা এবং কবিতার উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় থিম সহ বিভিন্ন ঘরানার ৫৩ টি ফিচার চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।[২][৩] বিশ্বনাথের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জাতপাত, বর্ণ, অক্ষমতা, লিঙ্গ বৈষম্য, দুর্ব্যবহার, মদ্যপান এবং আর্থ-সামাজিক জটিলতা[১০] প্রভৃতি বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে।[২][৩]

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

কাসিনাধুনি বিশ্বনাথ অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার রেপালে ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[১১] তার পিতামাতা ছিলেন কাসিনাধুনি সুব্রমণ্যম এবং কাসিনাধুনি সরস্বতী (সরস্বথাম্মা) এবং তার পূর্বপুরুষের শিকড় ছিলো পেদাপুলিভারু, অন্ধ্রপ্রদেশে[১২][১৩] কাসিনাধুনি ছিল তাঁর পারিবারিক নাম। বিশ্বনাথ গুন্টুর হিন্দু কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট অধ্যয়ন করেন এবং অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্ধ্র খ্রিস্টান কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।[১৪] তিনি মাদ্রাজের ভাউহিনি স্টুডিওতে একজন সাউন্ড রেকর্ডিস্ট হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন, যেখানে তার বাবাও কাজ করতেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তার কর্মজীবনের প্রথম দিকে, বিশ্বনাথ জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র যেমন মুগা মানাসুলু (১৯৬৪) এবং ডাক্তার চক্রবর্তী (১৯৬৪) এর সাথে আদুর্তি সুব্বা রাও এর সাথে যুক্ত ছিলেন।[২][৩] বিশ্বনাথ সুদিগুন্ডালু (১৯৬৮) চিত্রনাট্য রচনা করেন এবং আত্মা গৌরবম (১৯৬৫), ও সীতা কথা (১৯৭৪) এবং জীবন জ্যোতি (১৯৭৫) এর মতো কাজগুলি পরিচালনা করেন যা রাজ্য নন্দী পুরস্কার অর্জন করে এবং তাসকেন্তে এশিয়ান এবং আফ্রিকান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।[১৫]

হিন্দি সিনেমা[সম্পাদনা]

বিশ্বনাথ হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন যেমন সরগম (১৯৭৯), কামচোর (১৯৮২), শুভ কামনা (১৯৮৩), জাগ উঠা ইনসান (১৯৮৪), সুর সঙ্গম (১৯৮৫), সঞ্জোগ (১৯৮৫), ঈশ্বর (১৯৮৯), সঙ্গীত (১৯৯২) এবং ধনওয়ান (১৯৯৩)। এর মধ্যে কিছু চলচ্চিত্র (বিশেষ করে অভিনেত্রী জয়া প্রদা অভিনীত) বক্স অফিসে সুপার হিট হয়েছে।[১৬]

টেলিভিশন[সম্পাদনা]

বিশ্বনাথ কয়েকটি টেলিভিশন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন; এসভিবিসি টিভিতে শিব নারায়ণ তীর্থ হিসেবে, সান টিভিতে চেল্লাময় এবং ভেন্দার টিভিতে সূর্য্যবমসাম হিসেবে। তিনি জিআরটি জুয়েলার্সের মতো ব্র্যান্ডগুলিকে সমর্থন করেন এবং বিভিন্ন টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে উপস্থিত হন।[১৭]

ব্যক্তিগত জীবন এবং মৃত্যু[সম্পাদনা]

কাশিনাধুনী জয়লক্ষ্মীর সাথে বিশ্বনাথের বিয়ে হয়েছিল। অভিনেতা চন্দ্র মোহন, গায়ক এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম এবং গায়ক এসপি সাইলাজা ছিলেন তার চাচাতো ভাই।[১৮]

বিশ্বনাথ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদে ৯২ বছর বয়সে মারা যান।[১৯][২০][২১]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন বিশ্বনাথ

মন্তব্য[সম্পাদনা]

  1. Attributed to multiple sources:[২][৩][৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Vishwanath leaves a void too big to fill in Telugu cinema"The New Indian Express 
  2. "Dance, Movement & Spiritualities"। Intellect Ltd.। ২৬ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. Murthy, C. S. H. N. (১ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Inclusiveness through art films in Telugu: A modern to postmodern analysis of K. Viswanath's films": 413–438। ডিওআই:10.1386/dmas.1.3.413_1 
  4. "Arts / History & Culture : Celebrating a doyen"The Hindu। ২৬ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  5. Special Correspondent (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Director K. Viswanath to be feted"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  6. "K. Viswanath Film craft Page 6 DFF" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-০১ 
  7. "64th National Film Awards" (পিডিএফ)। Directorate of Film Festivals। পৃষ্ঠা 183। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৭ 
  8. "Director K Viswanath named for Dadasaheb Phalke award"Deccan Chronicle। ২৪ এপ্রিল ২০১৭। 
  9. "Difficult to Produce Another Talent Like K Viswanath: Kamal Haasan"। ২৫ এপ্রিল ২০১৭। 
  10. "The filmmaker with the midas touch: Remembering the legendary K Viswanath" – The Economic Times - The Times of India-এর মাধ্যমে। 
  11. Kumar, Asha Kiran (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "K Viswanath: National Award films directed by the ace filmmaker"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২১ 
  12. "Andhra Pradesh / Guntur News : Society needs good films, says K. Viswanath"The Hindu। ২৮ জুলাই ২০১০। ২৮ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  13. "Entertainment Hyderabad / Events : Viswanath felicitated"The Hindu। ৯ নভেম্বর ২০১২। ৯ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  14. "Reporter's Diary"The Hindu। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬। ২৬ মে ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  15. Collections। Update Video Publication। ১৯৯১। পৃষ্ঠা 387। 
  16. "K Viswanath to direct Hrithik"The Times of India। ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৩। 
  17. Archived at Ghostarchive and the Dream Merchants Ad Film Production House (১২ জানুয়ারি ২০১৩)। "Telugu Ads GRT Jewellers"। Archived from the original on ১৫ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩ – YouTube-এর মাধ্যমে। : Dream Merchants Ad Film Production House (১২ জানুয়ারি ২০১৩)। "Telugu Ads GRT Jewellers" – YouTube-এর মাধ্যমে। 
  18. "Viswanath vows to continue his mission"The Hindu। ১৭ এপ্রিল ২০১০। 
  19. The Times of India (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "Legendary director K Viswanath passes away"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  20. Arikatla, Venkat (২০২৩-০২-০৩)। "Kalatapaswi K Viswanath Breathed His Last"greatandhra.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-০২ 
  21. Chronicle, Deccan (২০২৩-০২-০৩)। "Noted director K. Viswanath dead"Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-০২