কাঠুয়া ধর্ষণ মামলা
| ২০১৮ কাঠুয়া অপহরণ, গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা | |
|---|---|
২০১৮ সালের কাঠুয়া অপহরণ, গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আন্দোলন | |
| স্থান | কাঠুয়া, জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত |
| স্থানাংক | ৩২°২৩′০৬″ উত্তর ৭৫°৩১′০১″ পূর্ব / ৩২.৩৮৫° উত্তর ৭৫.৫১৭° পূর্ব |
| তারিখ | ১০ জানুয়ারি ২০১৮- ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ |
| লক্ষ্য | আসিফা বানু |
| হামলার ধরন | শিশু অপহরণ, গণধর্ষণ এবং হত্যা |
| আহত | যৌন নিপীড়ন (গণধর্ষণ) |
| ভুক্তভোগী | আসিফা বানু |
| অভিযুক্ত | সঞ্জি রাম দীপক খাজুরিয়া তিলক রাজ অরবিন্দ দত্ত পরবেশ কুমার বিশাল (সঞ্জি রামের ছেলে) একজন নাবালক (সঞ্জি রামের ভাগ্নে)[১][২] |
| অপরাধীগণ | ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক |
| কারণ | হীরানগর তহশিল থেকে বাকারওয়ালা যাযাবর মুসলিম সম্প্রদায়কে বিতাড়িত করা[৩] |
আসিফা বানু একজন কাশ্মীরি শিশু, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তখন তার বয়স ছিল মাত্র আট বছর।[৪] অপরাধীরা প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরবর্তীকালে এই ঘৃণ্য ঘটনাটি সংবাদ সমক্ষে। তখন থেকেই আসিফা বানুর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সুবিচারের জন্য ভারতে একটি জনমত তৈরি হয়। ২০১৯ সালের ১০ জুন মামলার রায় দেওয়া হয়।[৫] [৬]
২০১৯ সালের ১০ জুন দেওয়া মামলার রায়ে সাত আসামির মধ্যে ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছিল। দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালের অক্টোবরে, আদালত সাক্ষীদের মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য নির্যাতন ও বাধ্য করার অভিযোগে এই মামলার তদন্তকারী বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি) ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন (এফআইআর) গঠনের নির্দেশ দেয়।[৭]
ঘটনা
[সম্পাদনা]অভিযোগ
[সম্পাদনা]জম্মুর একজন সিনিয়র পুলিশ সুপার কর্তৃক দাখিলকৃত ৫,৬০০ শব্দের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয় যে, ২০১৮ সালের ১২ই জানুয়ারি মোহাম্মদ ইউসুফ হিরানগর থানায় তার আট বছর বয়সী মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১০ই জানুয়ারি দুপুর সাড়ে বারোটায় তার মেয়ে চারণরত ঘোড়াগুলোর দেখাশোনা করতে গিয়েছিল। দুপুর দুটোয় তাকে শেষবার দেখা যায়। বিকেল চারটায় ঘোড়াগুলো ফিরে এলেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে না পাওয়ায়, শেষ পর্যন্ত তার বাবা পুলিশের কাছে একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর) দায়ের করেন।[৮][৯]
উদ্ধার ও গ্রেপ্তার
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের ১৭ই জানুয়ারি, ভুক্তভোগির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। একই দিনে দুপুর ২:৩০ মিনিটে কাঠুয়া জেলা হাসপাতালে একদল চিকিৎসক ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ২০১৮ সালের ২২শে জানুয়ারি, মামলাটির তদন্ত ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং ক্রাইম হেডকোয়ার্টার্স, জম্মু ও কাশ্মীরে স্থানান্তর করা হয়।[৮][৯] পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়, যাদের মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্য।[১০] মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে চারজন পুলিশ অফিসার।[১১][১২] দুই পুলিশ অফিসারকে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা[১০] এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অর্থ গ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নিজেকে ১৫ বছর বয়সী বলে দাবি করে, যদিও একটি ডাক্তারি পরীক্ষায় পরে জানা যায় তার বয়স ১৯ বছর। সঞ্জি রাম নামের একজন অভিযুক্তকে পুলিশ অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে।[১৩] এই অপরাধে অভিযুক্ত সাতজন প্রাপ্তবয়স্কের বিরুদ্ধে ৯ই এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযুক্তদের রণবীর দণ্ডবিধি ৩০২, ৩৭৬, ২০১ এবং ১২০-বি ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হয়। বাকি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র তৈরির কাজ চলমান ছিল।[১৪]
তদন্তমূলক প্রমাণ
[সম্পাদনা]ময়নাতদন্তে মৃত মেয়েটির শরীরে ক্লোনাজিপামের উপস্থিতি পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের পরীক্ষায় জানা যায় যে ধর্ষণ ও হত্যার আগে মেয়েটিকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়। ফরেনসিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন সঞ্জি রাম মেয়েটিকে বেশ কয়েকদিন ধরে আটকে রাখে। মন্দির থেকে উদ্ধার হওয়া চুলের সাথে মেয়েটির চুলের মিল পাওয়া যায়। ফরেনসিক পরীক্ষায় বলা হয় যে বানুকে একাধিকবার বিভিন্ন পুরুষ ধর্ষণ করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়, সেইসাথে ভারী পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।
দিল্লি ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি ১৪টি আলামতের প্যাকেট পরীক্ষা করে, যাতে ছিল যোনি থেকে সংগৃহীত নমুনা, চুলের গোছা, চারজন অভিযুক্তের রক্তের নমুনা, মৃত মেয়েটির ভিসেরা (অভ্যন্তরীণ অঙ্গ), তার ফ্রক ও সালোয়ার, সাধারণ মাটি এবং রক্তের দাগযুক্ত মাটি। পরীক্ষায় দেখা যায়, যোনি থেকে নেওয়া নমুনা এবং অন্যান্য কিছু নমুনার ডিএনএ অভিযুক্তের ডিএনএর সাথে মিলে যায়। আসিফাকে যে মন্দিরে ধর্ষণ করা হয়েছিল, সেখান থেকে পাওয়া চুলের গোছা মেয়েটি এবং অভিযুক্ত উভয়ের চুলের সাথে মিলে যায়।[১৫]
পরবর্তী অবস্থা ও বিশ্লেষণ
[সম্পাদনা]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Temple at centre of tragedy: No one coming to mandir for days now - Times of India"। The Times of India। ১৩ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Kathua case: Charges of rape and murder framed against 7 accused"। The Economic Times। ৭ জুন ২০১৮।
- ↑ "'Rape-murder in Kathua meant to drive out Muslim tribe' - Times of India ►"। The Times of India। ১২ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "আসিফা বানু হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার সানিয়া"। কোলকাতা 24×7। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "আসিফা বানু ধর্ষণ , হত্যা"। OURISLAM24.COM। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "আসিফা বানু : আরো একটি পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড"। TDN Bangla। ১৯ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "In Fresh Twist to Kathua Rape-Murder, Court Orders Case Against SIT Members for 'Torturing' Witnesses"। News18। ২২ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৯।
- 1 2 "কাঠুয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড: জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটের সম্পূর্ণ বিবরণ - ফার্স্টপোস্ট"। www.firstpost.com। ১১ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৮।
- 1 2 "কাঠুয়া ধর্ষণ চার্জশিট: নৃশংসতা ও বর্বরতার বিবরণ"। দ্য কুইন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৮।
- 1 2 উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Outlookনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "কাঠুয়া ধর্ষণ মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার"। দ্য হিন্দু। ২১ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;IEনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;NYT2নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ আশিক, পীরজাদা (২০ জুন ২০১৭)। "কাঠুয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল"। দ্য হিন্দু। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "কাঠুয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলা: ফরেনসিক ল্যাব জানায়, যোনি স্যাম্পলের সঙ্গে অভিযুক্তের ডিএনএ মিলেছে"। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "কাঠুয়া ও উন্নাও মামলার পর 'নট ইন মাই নেম' প্রতিবাদ; সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে শত শত মানুষের মিছিল"। ১৫ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৮।
| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- ভারতে ধর্ষণ
- ভারতে যৌন অপরাধ
- ২০১৮-এ ভারতে খুন
- ভারতে গণধর্ষণ
- খুনের শিকার নারী
- মুসলিম নিপীড়ন
- ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ভারতীয় ব্যক্তি
- ২০১০-এর দশকে ধর্ষণ
- বালিকাদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা
- হিন্দুকৃত নিপীড়ন
- ভারতে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা
- কাঠুয়া জেলা
- জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন
- ভারতে শিশু যৌন নির্যাতন
- ভারতে হিন্দু অনুপ্রাণিত সহিংসতা