কলুব্রিডি
কলুব্রিডি সময়গত পরিসীমা: ওলিগোসিন থেকে বর্তমান | |
---|---|
কাস্পিয়ান হুইপ সাপ (Coluber caspius) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Squamata |
উপবর্গ: | Serpentes |
পরিবার: | Colubridae ওপেল, ১৮১১ |
কলুব্রিডি (ইংরেজি: Colubridae) বা কলুব্রিড (Colubrid) হচ্ছে সাপের একটি পরিবার। এটি সাপের পরিবারগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ পরিবার। পৃথিবীর সাপের প্রজাতির দুই-তৃতীয়াংশ কলুব্রিডি পরিবারভুক্ত বা কলুব্রিড। অ্যান্টার্কটিকা ব্যতীত পৃথিবীর সকল মহাদেশেই কলুব্রিডি পরিবারভুক্ত সাপ দেখা যায়।[১]
নামকরণ
[সম্পাদনা]কলুব্রিডি বা কলুব্রিড শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ ‘কলুবার’ (coluber) থেকে।
বিবরণ
[সম্পাদনা]বেশিরভাগ কলুব্রিড সাপ নির্বিষ বা বিষের কার্যক্ষমতা খুবই কম যা এখন পর্যন্ত মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে জানা যায় না। তবে কিছু সাপ যথেষ্ট বিষধর, এবং তা মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ ধরনের গণগুলোর মধ্যে আছে বোইগা, এশীয় গণ র্যাবডোফিস ইত্যাদি। এছাড়াও বুমস্ল্যাং ও টুইগ সাপের মতো কলুব্রিডও মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে জানা যায়।[১][২]
কিছু কলুব্রিডকে ওফিসথোগ্লিফিউয়াস হিসেবে বিবৃত করা হয়। কারণ এদের বিষদাঁত তুলনামূলকভাবে ওপরের চোয়ালের বেশ পেছন দিকে অবস্থিত। এজন্য এ ধরনের সাপকে শিকারকে বিষপ্রয়োগের জন্য তাকে মুখে ভেতরে নিয়ে তারপর পেছনের বিষদাঁতের সাহায্যে দংশন করতে হয়। এটি ছোট শিকারের ক্ষেত্রে সহজ হলেও বড় শিকারকে দংশনের ক্ষেত্রে এটি তুলনামূলকভাবে কঠিন। ওফিসথোগ্লিফিউয়াস দন্তবিন্যাসের প্রমাণ সাপের জীবন পরিক্রমায় কমপক্ষে দুইবার পরিলক্ষিত হয়।[২] এটি ঐসব ভাইপার ও এলাপিড থেকে ভিন্ন, কারণ সেগুলোর বিষদাঁত-ই ওপরের চোয়ালের সামনের দিকে অবস্থিত।[১][২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Bauer, Aaron M. (১৯৯৮)। Cogger, H.G. & Zweifel, R.G., সম্পাদক। Encyclopedia of Reptiles and Amphibians। San Diego: Academic Press। পৃষ্ঠা 188–195। আইএসবিএন 0-12-178560-2।
- ↑ ক খ গ Bruna Azara, C. 1995. Animales venenosos. Vertebrados terrestres venenosos peligrosos para el ser humano en España. Bol. SEA, 11: 32-40