কলাতলী মোড়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কলাতলী মোড় (ডলফিন মোড়শার্ক মোড় নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের কক্সবাজারের একটি স্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এন১ থেকে এন১১০ মহাসড়ক ধরে এখানে যাওয়া যায়। এটি ডলফিনের ঝর্ণা থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তীরে ১৭০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি পর্যটকদের জন্য শহরের প্রবেশদ্বার।[১] কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ এখান থেকে শুরু হয় যা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে নিয়ে যায়।[২] ২০১০ সালে এখানে একটি হাঙ্গরের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এটি ডলফিন ভাস্কর্য হিসেবে পরিচিত হওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।[৩] এছাড়া কলাতলীতে হাঙরের ভাস্কর্য দেখে কেউ কেউ সাগরের পানিতে হাঙর আছে মনে করে সেখানে গোসল করা থেকে বিরত থাকেন। এসব দিক বিবেচনা করে, কক্সবাজার জেলা কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে হাঙরের ভাস্কর্যটিকে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নতুন ভাস্কর্য দ্বারা প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।[৪] কলাতলী মোড়ে দিকে রাস্তাটি ঢালু হওয়ায় এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আহমদ, তোফায়েল (৬ অক্টোবর ২০১৬)। "কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার বদলে যাচ্ছে"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  2. "মেরিন ড্রাইভ: পাহাড় আর সমুদ্রের মেলবন্ধন"যায়যায়দিন। ২১ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  3. "হাঙরের ভাস্কর্যে নামকরণ ডলফিন মোড়, বিভ্রান্তিতে পর্যটকরা"ঢাকা পোস্ট। ২৫ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  4. আলমগীর, সায়ীদ (২ এপ্রিল ২০১৯)। "হাঙ্গর-ডলফিন সরিয়ে কলাতলী মোড়ে বসছে 'বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য'"জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ 
  5. হিরু, ওমর ফারুক (১০ জানুয়ারি ২০২২)। "কলাতলী মোড়ে নানা অব্যবস্থাপনা, ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা"সারাবাংলা.নেট। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২