কর্ম (১৯৩৩-এর চলচ্চিত্র)
| কর্ম | |
|---|---|
 চলচ্চিত্রে দেবিকা রাণী ও হিমাংশু রায়ের চুম্বন দৃশ্য | |
| পরিচালক | জে. এল. ফ্রীয়ার হান্ট |
| রচয়িতা | রুপার্ট ডাউনিং |
| কাহিনিকার | দেওয়ান শরর |
| শ্রেষ্ঠাংশে | |
| সুরকার | আর্নস্ট ব্রডহার্স্ট |
| মুক্তি |
|
| স্থিতিকাল | ৬৮ মিনিট[১]:১৫৭ |
| দেশ | |
| ভাষা | ইংরেজি, হিন্দি |
কর্ম (হিন্দি: कर्म; ইংরেজি: Karma) ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি দ্বিভাষী চলচ্চিত্র।
কাহিনী[সম্পাদনা]
চলচ্চিত্রটির বিষয়বস্তু পিতার অমতে প্রতিবেশী রাজ্যের রাজপুত্রের সাথে একজন রাজকন্যার প্রণয়। রাজকন্যার চরিত্রে দেবিকা রাণী ও রাজপুত্রের চরিত্রে হিমাংশু রায় অভিনয় করেন।
চলচ্চিত্র নির্মাণ[সম্পাদনা]
চলচ্চিত্র নির্মাতা হিমাংশু রায়ের আগের চলচ্চিত্রগুলির মতো কর্ম চলচ্চিত্রটিও ভারত, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রযোজিত হয়। সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রটি ভারতে অভিনয় করা হয়। এই চলচ্চিত্রে হিমাংশু রায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। তিনি তার স্ত্রী দেবিকা রাণীকে এই চলচ্চিত্রে মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ করে দেন। কর্ম একজন ভারতীয় দ্বারা নির্মিত প্রথম ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র এবং প্রথমদিকের চুম্বন দৃশ্যসম্বলিত ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি।[২] এই চলচ্চিত্রে হিমাংশু এবং দেবিকার চুম্বন প্রায় চার মিনিট ধরে দৃশ্যায়িত করা হয়,[৩]:২২৯ এবং ২০১৪ সালের হিসাব মতো দীর্ঘ আশি বছর পরেও ভারতীয় চলচ্চিত্রে দীর্ঘতম চুম্বন দৃশ্যের রেকর্ড এই চলচ্চিত্রের কুক্ষিগত।[৪][৫][৬] দেবিকা রাণী এই চলচ্চিত্রে হিন্দি ও ইংরেজিতে একটি দোভাষী গান গেয়েছেন[২], যা বলিউডের প্রথম ইংরেজি গান হিসেবে গণ্য করা হয়।[৭]:৪২[৮]
মুক্তি[সম্পাদনা]
হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি ১৯৩৩ সালের মে মাসে লন্ডনে প্রথম দেখানো হয়। উইন্ডসর এ রয়েল পরিবারের জন্য একটি বিশেষ পরিবেশনার পাশাপাশি, এই ছবিটি সমগ্র ইউরোপে সমাদৃত হয়।[৯] লন্ডনের সংবাদমাধ্যম দেবিকার অভিনয়ের প্রশংসা করায় তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাত লাভ করেন।[১০] দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এক সমালোচক দেবিকা রাণীর "সৌন্দর্য" এবং "কমনীয়তা" উল্লেখ করে তাকে প্রথম শ্রেণীর উদীয়মান তারকা আখ্যা দেন।[৯] ইংল্যান্ডে সাফল্য সত্ত্বেও ১৯৩৪ সালে ভারতে "নাগিন কি রাগিণী" নামে হিন্দিতে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। যাইহোক, এটি সমালচকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে যা পরবর্তীতে তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অন্যতম প্রধান নায়িকার আসনে বসায়।[১০]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ McFarlane, Brian (১৯৯৯)। Lance Comfort। Manchester University Press। আইএসবিএন 978-0-7190-5484-6।
- ↑ ক খ "Karma 1933"। The Hindu। ১০ জানুয়ারি ২০০৯। ৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৪। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "hindu" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ Jaikumar, Priya (২০০৬)। Cinema at the End of Empire: A Politics of Transition in Britain and India। Duke University Press। আইএসবিএন 0-8223-3793-2।
- ↑ Barrass, Natalie (১৪ এপ্রিল ২০১৪)। "In bed with Bollywood: sex and censorship in Indian cinema"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Dasgupta, Priyanka (৩০ এপ্রিল ২০১২)। "India's longest kissing scene clips in Paoli film"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "100 Years of Cinema: History of the kiss – sexually liberated 1930s to prudish 21st century"। IBNLive। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Ranchan, Vijay (২০১৪)। Story of a Bollywood Song। Abhinav Publications। GGKEY:9E306RZQTQ7। ৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Chakravarty, Riya (৩ মে ২০১৩)। "Indian cinema@100: 40 Firsts in Indian cinema"। NDTV। ৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৪।
- ↑ ক খ "Pathbreaker by Karma"। The Hindu। ১০ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ ক খ Varma, Madhulika (২৬ মার্চ ১৯৯৪)। "Obituary: Devika Rani"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৪।
আরো পড়ুন[সম্পাদনা]
- Patel, Bhaichand (২০১২)। Bollywood's Top 20: Superstars of Indian Cinema। Penguin Books Limited। আইএসবিএন 978-81-8475-598-5।
- Saran, Renu (২০১৪)। Encyclopedia of Bollywood–Film Actresses। Diamond Pocket Books Pvt Ltd। আইএসবিএন 978-93-5083-691-0।
- Purohit, Vinayak (১৯৮৮)। Arts of Transitional India Twentieth Century। Popular Prakashan। আইএসবিএন 978-0-86132-138-4।