কটকের যুদ্ধ (১৭৪২)
কটকের দ্বিতীয় যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪২–১৭৪৩) | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
মারাঠা সাম্রাজ্য | বাংলা | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
ভাস্কর পণ্ডিত মীর হাবিব[১] | শেখ মাসুম পানিপথী † | ||||||||
শক্তি | |||||||||
অজ্ঞাত, তবে বাংলার চেয়ে বেশি[১] | অজ্ঞাত | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
অজ্ঞাত | অজ্ঞাত |
কটকের দ্বিতীয় যুদ্ধ ১৭৪২ সালে বর্তমান ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কটকে বাংলার নবাব কর্তৃক নিযুক্ত উড়িষ্যার শাসনকর্তা শেখ মাসুম পানিপথী এবং মারাঠাদের মধ্যে সংঘটিত হয়[১]। যুদ্ধে মারাঠারা জয়লাভ করে এবং শেখ মাসুম নিহত হন[১]। মারাঠারা কটক দখল করে নেয়[২]।
পটভূমি[সম্পাদনা]
১৭৪২ সালে ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে ৪০,০০০ মারাঠা অশ্বারোহী সৈন্য বাংলা আক্রমণ করে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে লুটতরাজ শুরু করে[১][২]। তারা এমনকি বাংলার তদানীন্তন রাজধানী মুর্শিদাবাদেও হানা দেয়[২]। বাংলার নবাব আলীবর্দী খান কাটোয়ার যুদ্ধে মারাঠাদের মূল ঘাঁটিতে আক্রমণ করেন[৪] এবং তাদেরকে পরাজিত করে বাংলা থেকে বিতাড়িত করেন। পরাজিত মারাঠারা পশ্চাৎপসরণ করে এবং উড়িষ্যা প্রদেশে প্রবেশ করে[১]।
যুদ্ধের ঘটনাবলি[সম্পাদনা]
মারাঠারা উড়িষ্যার রাজধানী কটকের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় উড়িষ্যার প্রাদেশিক শাসনকর্তা ছিলেন শেখ মাসুম পানিপথী। তিনি সসৈন্যে মারাঠা আক্রমণকারীদের বাধাদানের জন্য অগ্রসর হন। কিন্তু কটকের নিকটে সংঘটিত যুদ্ধে তিনি পরাজিত ও নিহত হন[১]। এরপর বিজয়ী মারাঠা বাহিনী কটকসহ সমগ্র উড়িষ্যা জুড়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে[১][২]।
ফলাফল[সম্পাদনা]
মারাঠাদের হাতে শেখ মাসুমের পতনের সংবাদ পেয়ে নবাব আলীবর্দী স্বয়ং সসৈন্যে উড়িষ্যার দিকে অগ্রসর হন। তার আগমনের সংবাদ পেয়ে মারাঠারা ভয় পেয়ে যায় এবং পশ্চাৎপসরণের সিদ্ধান্ত নেয়[১]। ১৭৪২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আলীবর্দী উড়িষ্যা থেকে মারাঠাদের সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন[১][২]।
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম, (বাংলাদেশের ইতিহাস), আলীবর্দী ও মারাঠা আক্রমণ, পৃ. ২৯৪
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Forgotten Indian history: The brutal Maratha invasions of Bengal"।
- ↑ Jacques, Tony. Dictionary of Battles and Sieges. Greenwood Press. p. 516. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩১৩-৩৩৫৩৬-৫.
- ↑ মারাঠা আক্রমণ। "ঐতিহাসিক পটভূমিকা"। ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪.০১.১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)