ওয়েস্টমিন্‌স্টার প্রাসাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওয়েস্টমিন্‌স্টার প্রাসাদ, ওয়েস্টমিন্‌স্টার অ্যাবি এবং সেন্ট মার্গারেট্‌স চার্চ
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
সন্ধ্যার সময় ওয়েস্টমিন্‌স্টার প্রাসাদ, বামে ভিক্টোরিয়া টাওয়ার এবং টেম্‌স নদীর তীরে অবস্থিত ঘড়ি টাওয়ার যা বিগ বেন নামে পরিচিত।
মানদণ্ডসাস্কৃতিক: ১, ২, ৪
সূত্র৪২৬
তালিকাভুক্তকরণ১৯৮৭ (১১তম সভা)

ওয়েস্টমিন্‌স্টার প্রাসাদ লন্ডনের একটি প্রাসাদ যা হাউজ অফ পার্লামেন্ট নামেও পরিচিত। এই প্রাসাদে যুক্তরাজ্যের আইনসভার দুই কক্ষের (হাউজ অফ লর্ডস এবং হাউজ অফ কমন্‌স) রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে একসাথে বসেন। লন্ডনের অধীনে স্বায়ত্তশাসনপ্রাপ্ত নগরী ওয়েস্টমিন্‌স্টারে টেম্‌স নদীর উত্তর কূল ঘেঁষে এই প্রাসাদটি অবস্থিত। হোয়াইট হল-এর সরকারি দালানসমূহের বেশ নিকটেই এর অবস্থান।

এই প্রাসাদ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আইনসভা তথা সংসদ হিসেবে স্বীকৃত। প্রাসাদের নকশা অত্যন্ত জটিল। বর্তমানে এই দালানে ১,২০০টি কক্ষ, ১০০টি সিঁড়ি এবং প্রায় তিন কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ প্রশস্ত বারান্দা রয়েছে। প্রাসাদের অভ্যন্তরের ওয়েস্টমিন্‌স্টার হলের রয়েছে বিশেষ ঐতিহাসিক গুরুত্ব। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে এখানে বর্তমান সরকারি কাজকর্মের সূচনা ঘটে। বর্তমানে এখানে বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, যেমন: লাইং ইন স্টেট এবং জুয়েল টাওয়ার। কয়েক শতাব্দী ধরে এই প্রাসাদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনার দায়িত্ব ছিল রাণীর প্রতিনিধি লর্ড গ্রেট চেম্বারলেইনের। ১৯৬৫ সালে রাজপরিবারের সাথে চুক্তি করার মাধ্যমে এর পরিচালনার ভার আইনসভার দুই কক্ষের কাছে সমর্পণ করা হয়। অবশ্য বেশ কিছু আনুষ্ঠানিক কক্ষ এখনও লর্ড গ্রেট চেম্বারলেইন নিয়ন্ত্রণ করেন।

১৮৩৪ সালে আগুন লাগায় প্রাসাদের অনেকাংশ পুড়ে গিয়েছিল।[১] বর্তমানের আইনসভার কক্ষগুলো পরবর্তী ৩০ বছর ধরে নির্মাণ করা হয়। এই নির্মাণকাজের স্থপতি ছিলেন স্যার চার্লস ব্যারি (১৭৯৫ - ১৮৬০) এবং তার সহযোগী অগাস্টাস ওয়েলবি পুজিন (১৮১২ - ১৮৫২)। ওয়েস্টমিন্‌স্টার হল এবং সন্নিহিত সেন্ট স্টিভেন্‌স চ্যাপেলের নকশা এই পুনর্নির্মাণ কাজে অনুসৃত হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Architecture of the Palace: The Great Fire of 1834"। UK Parliament। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]