ওমেন্স রয়্যাল এয়ার ফোর্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রথম বিশ্বযুদ্ধচলাকালীন সময় ডব্লিউআরএএফের সদস্যবহনকারী একটি সামরিক লরি

নারীদের রাজকীয় বিমান বাহিনী (ওমেন্স রয়্যাল এয়ার ফোর্স বা সংক্ষেপে ডব্লিউআরএএফ) ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর নারী শাখা ছিল। এটির অস্তিত্ব ছিল দুটি পর্যায়ে, একটি ১৯১৮ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত আরেকটি ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত।

প্রথম 'নারীদের রাজকীয় বিমান বাহিনী' ছিল ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর একটি সাহায্যকারী বাহিনী যেটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯১৮ এ। নারীদের রাজকীয় বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বিমান বাহিনীকে মেকানিক প্রদান করা, আর পুরুষদেরকে শুধু কমব্যাটে (যুদ্ধে) মনোযোগ দেওয়ানো। যদিও এই সংগঠনটিতে অনেক নারী ঢুকেছিল, এবং নারীরা স্বেচ্ছায় গাড়ি চালক, মেকানিক ও যুদ্ধের অন্যান্য চাহিদা মেটাচ্ছিল। প্রথম নারীদের রাজকীয় বিমান বাহিনী ১৯২০ সালে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বেঁচে যাওয়া নারীদের রাজকীয় বিমান বাহিনীর সদস্য 'গ্লেডিস পাওয়ার্স' ২০০৮ সালে মারা যান এবং 'ফ্লোরেন্স গ্রীন্স' ২০১২ সালে মারা যান।

১৯৪৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নামটি পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয় (নারীদের রাজকীয় বিমান বাহিনী নামটি) 'নারীদের সাহায্যকারী বিমান বাহিনী' সংগঠনটির ক্ষেত্রে যেটি ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নারীদের রাজকীয় বিমান বাহিনী এবং ব্রিটিশ বিমান বাহিনী বহু দশক পরে কাছে আসা শুরু করে, নারীদের জন্য অনেক ট্রেড উন্মুক্ত হতে শুরু করে, এবং দুটি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে মিলে যায় ১৯৯৪ সালে, এভাবে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে নারীদের পূর্ণ সংযুক্তি নিশ্চিত হয় এবং নারীদের রাজকীয় বিমান বাহিনী গলে যায়।[১][২][৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. World's last' WWI veteran dies, BBC News, 7 February 2012
  2. 108-year-old woman emerges as Britain's oldest first World War veteran, Nick Britten, Daily Telegraph, 16 January 2010
  3. An honorary rank held only by Princess Alice, Duchess of Gloucester, who held it as a rank (until 1968) and later an appointment throughout the WRAF's existence. On 1 April 1994 her title changed to Air Chief Commandant for Women, RAF, by which time she held the rank of Air Chief Marshal.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]