এ. বি. এম. খায়রুল হক
মাননীয় প্রধান বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হক | |
|---|---|
| ১৯তম বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি | |
| কাজের মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ – ১৭ মে ২০১১ | |
| পূর্বসূরী | বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীম |
| উত্তরসূরী | বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন |
| আইন কমিশনের চেয়ারম্যান | |
| কাজের মেয়াদ ২৩ জুলাই ২০১৩ – ১৩ আগস্ট ২০২৪ | |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ১৮ মে ১৯৪৪[১] দক্ষিণ আড়াইপাড়া, মাদারীপুর জেলা। |
| নাগরিকত্ব | |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
| বাসস্থান | ঢাকা |
| প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লিংকনস্-ইন |
| পেশা | আইন |
| জীবিকা | আইনবিদ |
| ধর্ম | ইসলাম |
বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হক (জন্ম: ১৮ মে ১৯৪৪) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ, আইনজীবী এবং দেশটির ১৯-তম প্রধান বিচারপতি।[২] তিনি বাংলা ভাষায় রায় প্রদান করে উচ্চ আদালতে বাংলা প্রচলনে ভূমিকা রাখার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।[৩]
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
[সম্পাদনা]খায়রুল হক ১৯৪৪ সালের ১৮ মে তারিখে মাদারীপুর জেলার রাজৈরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রফিকুল হক।
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]খায়রুল হক আইন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে এলএল.বি ডিগ্রি এবং যুক্তরাজ্যের লিংকনস্-ইন থেকে বার-অ্যাট-ল' ডিগ্রি লাভ করেন।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৭০ সালে জেলা জজ আদালতে আইন পেশায় যুক্ত হওয়া খায়রুল হক হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে নিবন্ধিত হন ১৯৭৬ সালে। দীর্ঘ পঁচিশ বছর হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ওকালতি করার পর ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান, এবং পরবর্তীকালে তিনি ২০১০ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।[১]
২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করীমের অবসর গ্রহণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের ১৯-তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে এ. বি. এম. খায়রুল হককে নিয়োগ প্রদান করেন এবং তিনি ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন[১] ও ২০১১ সালের ১৭ মে তারিখে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন।[৪]
২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[৫]
২০২৫ সালের ২৪ জুলাই সকালে তাঁকে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।[৬][৭] দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক এই বিচারপতির বিরুদ্ধে অন্তত দুটি মামলা রয়েছে।[৮]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 "বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এবিএম খায়রুল হক"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ মোজাম্মেল হোসেন বাংলাদেশের ২০তম প্রধান বিচারপতি।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বাস্তবায়ন করতে হবে"। দৈনিক ইনকিলাব। ২২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৯।
- ↑ "দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন মো. মোজাম্মেল হোসেন"। ১৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২৪ জুলাই ২০২৫)। "সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ঢাকায় আটক"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক গ্রেপ্তার"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক গ্রেপ্তার"। www.ajkerpatrika.com। ৩ জুলাই ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৫।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার"। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি - বাংলাপিডিয়া হতে প্রাপ্ত নিবন্ধ।
- বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি যেভাবে নির্বাচন করা হয়।