একাতেরিন গাবাশভিলি
একাতেরিন গাবাশভিলি ( জর্জীয়: ეკატერინე გაბაშვილი জন্মনাম: একাতেরিন তারখনিশভিলি (თარხნიშვილი) (১৬ জুন ১৮৫১ - ৭ আগস্ট ১৯৩৮) ছিলেন জর্জিয়ার একজন লেখক, নারীবাদী এবং জনসাধারণের ব্যক্তিত্ব যিনি নারী মুক্তির পক্ষে সামাজিক সংস্কারের আহ্বান জানান।
জীবনী
[সম্পাদনা]১৮৫১ সালের ১৬ জুন জন্মগ্রহণকারী একাতেরিন তারখনিশভিলি গোরিতে একটি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যা তখন ইম্পেরিয়াল রাশিয়া তথা রুশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। তিনি রেভাজ তারখনিশভিলি এবং সোপিও বাগরাটন-দাভিতাশভিলির মেয়ে ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর, তিনি শহরের সেরা স্কুলে পড়াশোনা করেন। এটি ছিল ম্যাডাম ফ্যাভার পরিচালিত একটি বেসরকারি বোর্ডিং স্কুল। ১৭ বছর বয়সে, তিনি কৃষক শিশুদের শিক্ষার জন্য নিবেদিত একটি বেসরকারি স্কুল খোলেন, কারণ তিনি কৃষকদের অবস্থার কারণে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি ১৯ বছর বয়সে আলেক্সান্দ্রা গাবাশভিলিকে বিয়ে করে। তিনি মোত ১১ টি সন্তানের জননী।[১]
তার লেখা জর্জিয়ান ভাষায় প্রকাশিত নারী মুক্তির উপর দুটি কাজ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল: হ্যারিয়েট টেলর মিলের দ্য এনফ্র্যাঞ্চাইজিমেন্ট অফ উইমেন এবং ফ্যানি লেওয়াল্ডের ফার আনডি ওয়াইরডাই ফ্রাউয়েন। এর ফলে, তিনি তিবলিসি, কুতাইসি, গোরি এবং খোনিতে নারী বৃত্ত স্থাপনের মাধ্যমে জর্জিয়ান নারীদের একত্রিত করার বিষয়ে যাত্রা শুরু করেন। এছাড়াও তিনি প্রাসঙ্গিক নারী সাহিত্যের প্রকাশনা এবং অনুবাদের উপর মনোনিবেশ করেন। ১৮৯৭ সালে তিনি একটি মহিলা পেশাদার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যার ফলে সারা দেশে গার্লস স্কুল হয়।[১]
গাবাশভিলি জর্জিয়ানদের মধ্যে সোসাইটি ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ লার্নিং-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৮৯০ সালে আনাস্তাসিয়া তুমানিশভিলি-সেরেতেলির সাথে একত্রে জেজিলি নামে একটি জার্নাল প্রতিষ্ঠা করেন, যা শিশু সাহিত্য প্রকাশ করে, যা জর্জিয়ার এই ঘরানার প্রতি আগ্রহ কে উৎসাহিত করে।[২]
প্রকাশনা
[সম্পাদনা]তিনি গ্রামের স্কুলশিক্ষক এবং কৃষক জীবনের দুঃখ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি আবেগপ্রবণ উপন্যাস এবং গল্প রচনা করেছিলেন। তার উপন্যাস লাভ অ্যাফেয়ার ইন বিগ খেভা এবং সর্টিং মেইজ সেদিনের সামাজিক রীতিনীতিকে বিপর্যস্ত করে, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং রোমান্টিক ভালবাসার আহ্বান জানায়।[১]
১৯০০-এর দশকে তিনি আত্মজীবনী লেখার উদ্দেশ্যে তিনি কথাসাহিত্য লেখা পরিত্যাগ করেন। গাবাশভিলি প্রথম জর্জিয়ান নারীবাদী এবং নারী অধিকার কর্মীদের একজন হিসেবেও পরিচিত। ১৯৫৮ সালে গাবাশভিলির একটি উপন্যাস অবলম্বনে এবং টেঙ্গিজ আবুলাদজে এবং রেভাজ চখেইদজে পরিচালিত ম্যাগদানাস লুরজা (মগদানার গাধা) চলচ্চিত্রটি কান ও এডিনবার্গে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার লাভ করে।[২]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- জর্জিয়ান নারী লেখকদের তালিকা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ Barkaia, Maia; Waterston, Alisse (২০১৭)। Gender in Georgia: Feminist Perspectives on Culture, Nation, and History in the South Caucasus। Berghahn Books। পৃষ্ঠা 21–। আইএসবিএন 978-1-78533-676-8।
- ↑ ক খ Mikaberidze, Alexander। "Gabashvili, Catherine. Dictionary of Georgian National Biography"। ২০০৮-০৪-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-২৮।