উম্মে মাহজান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উম্মে মাহজান

أم محجن
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
খারকা[১]
মৃত্যু
ধর্মইসলাম
জাতিসত্তাআবিসিনীয়

উম্মে মাহজান (আরবি: أم محجن) একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী সাহাবা ছিলেন। তিনি মসজিদে নববী ঝাড়ু দিতেন। তার মৃত্যু ও দাফনের পর নবী মুহাম্মাদ তার কবরে গিয়ে জানাজার নামাজ আদায় করেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

বিভিন্ন হাদিসে তার কথা নাম উল্লেখ না করে বলা হয়েছে।

সহীহ বুখারীতে আয়িশা বর্ণিত হাদিসে এক কৃষ্ণাঙ্গ দাসীর কথা পাওয়া যায়, যিনি প্রায়ই আবৃত্তি করতেন, "সেই হারের দিনটি আমার প্রতিপালকের আশ্চর্য ঘটনা বিশেষ/ জেনে রাখুন সে ঘটনাটি আমাকে কুফরের শহর হতে মুক্তি দিয়েছে।" আয়িশা তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে, তিনি যে আরব পরিবারে কাজ করতেন, সে পরিবারের একটি মেয়ে গলায় লাল চামড়ার উপর মূল্যবান পাথর খচিত হার পরে বাইরে যায় এবং সেটি হারিয়ে ফেলে। তখন একটি চিল হারটিকে গোশতের টুকরা মনে করে নিয়ে যায়। গোত্রের লোকেরা হারটি খুঁজে না পেয়ে সেই দাসীর উপর সন্দেহ করে এবং তাকে কঠোরভাবে তল্লাশি করতে থাকে। এমন সময় চিলটি উড়ে যেতে যেতে হারটি ফেলে দেয় এবং তাদের সামনেই তা পড়ে। তখন সেই দাসী বলেন, "তোমরা তো এর জন্যই আমার উপর দোষ চাপিয়েছিলে। তোমরা আমার সম্পর্কে সন্দেহ করেছিলে অথচ আমি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ। এই তো সেই হার!" এরপর তারা তাকে মুক্ত করে দেয় এবং তিনি নবী মুহাম্মাদের কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন। তার জন্য মসজিদে নববীতে একটা তাঁবু তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল।[২]

আবু হুরাইরাহ থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা মসজিদে নববীতে ঝাড়ু দিতেন। নবী মুহাম্মাদ তাকে বেশ কিছুদিন দেখতে না পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সাহাবীরা বলেন যে তিনি মারা গিয়েছেন। নবী তাকে খবর না দেওয়ার কারণ জানতে চান। বর্ণনাকারীর মতে, সাহাবীরা সম্ভবত বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেননি। নবী সাহাবীদেরকে সেই মহিলার কবর দেখিয়ে দিতে বললে সাহাবীরা তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। নবী মুহাম্মাদ সেখানে নামাজ (জানাজা) আদায় করেন।[৩][৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আলো ঝলমলে কবর"বাংলানিউজ২৪.কম। ১০ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২ 
  2. "হাদিস নং ৪৩৯"সহীহ বুখারীতাওহীদ পাবলিকেশন। hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২ 
  3. "হাদিস নং ১৩৩৭"সহীহ বুখারীতাওহীদ পাবলিকেশন। hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২ 
  4. "হাদিস নং ২১০৪"সহীহ মুসলিমহাদীস একাডেমী। hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২