উমাটুমনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিশ্বনাথ ঘাট থেকে উমাটুমনির এক মনোমোহনীয় দৃশ্য

উমাটুমনি বা উমাবন, ব্রহ্মপুত্র নদীর বিশ্বনাথ ঘাটের বুঢ়ীগাং নদী ও ব্রহ্মপুত্রর ব-চেড়া সোঁতার সংগমস্থলে অবস্থিত একটা প্রাকৃতিক নদী দ্বীপবিশ্বনাথ চারিআলি শহর থেকে দক্ষিণে ৬ কি: মি: দূরে এই উমাটুমনি বা উমাবন অবস্থিত।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

উমাটুমনির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অত্যন্ত অনুপম। পুরানো পুঁথি 'পীঠমালা তন্ত্র' মতে, উমাতুমনিতে ২২টি পবিত্র থান থাকলেও বর্তমানে উক্ত সংখ্যক থান দেখা যায় না। এখানে ১৭৪১ সালে আহোম স্বর্গদেউ শিব সিংহের স্থাপন করা উমা মন্দির আছে। ভগবান শিবের নটরাজরূপে সতীর মৃতদেহ নিয়ে তাণ্ডবনৃত্য করার সময়ে সতীর বাম বাহু ও স্তন পড়ে বলে কিম্বদন্তিতে আছে। কথিত আছে, হরকে পতিরূপে পাবার জন্য উমা এখানে তপস্যা করেছিলেন বলে এর নাম 'উমাবন' হয়। উমার তপস্যা করা স্থানে দেবালয় আছে। এখানে উমা ভাগবতী, মহেশ্বর শিবের দেবালয়, নাঙ্গলেশ্বর দেবালয়, সিদ্ধেশ্বর দেবালয়আছে

চক্রেশ্বর নামে খ্যাত উমাটুমনীর মধ্যে অবস্থিত চক্রেশ্বর শিলা।

আহোম যুগে বিশ্বনাথ তীর্থক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে যখন নগর গড়ে উঠেছিল তার নাম ছিল সলা নগর বা সলা বাসর। ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে থাকা সলাটুমনি বা উমা টুমনির কোঠটি বিশ্বনাথ শহরের দ্বিতীয় অংশ। পশ্চিম অংশ বাদ দিয়ে গোটা দ্বীপটিকে ঘিরে একটা ট্রাপিজিয়াম আকৃতির কোঠ আছে। অন্যদিকে, এর অভ্যন্তরে 'ব' বর্ণের মতো অন্য একটা গড় গভীর পরিখাসহ উত্তর-দক্ষিণে আছে। জানামতে ১৫৩১ সালে বিদেশী আক্রমণ প্রতিহত করতে কনসেং বরপাত্রর হতুয়া চুহুংমুং স্বর্গদেউ এই কোঠ বাঁধিয়ে দেন। এখানেই ১৫৩২ সালে তিনদিন তিনরাত যুদ্ধ করে অসমীয়া সৈন্য বিদেশী আক্রমণ প্রতিহত করেছিল।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ড: নিত্যানন্দ গগৈ, তুলসী ফুকন ও শিবনাথ বরঠাকুর; বিশ্বনাথ-লহরি (স্মৃতিগ্রন্থ:বিশ্বনাথ উৎসব), প্রকাশ:২০০৬