উপ-সুমেরু অঞ্চল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উপ-সুমেরু অঞ্চলের বিশ্ব বিস্তরণ মানচিত্র।

উপ-সুমেরু অঞ্চল হলো প্রকৃত সুমেরু অঞ্চলের ঠিক দক্ষিণের একটি অঞ্চল যা উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এবং আলাস্কা, কানাডা, আইসল্যান্ড, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উত্তরাংশ, সাইবেরিয়া, সেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং কেয়ারনগর্ম জুড়ে বিস্তৃত। সাধারণভাবে, স্থানীয় আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে উপ-সুমেরু অঞ্চল ৫০° উত্তর অক্ষাংশ হতে ৭০° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে পড়ে। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম এবং উদ্ভিজ বৈশিষ্ঠ্য তাইগার ন্যায়।

গ্রীষ্ম এবং শীতে এই অক্ষাংশে দিবাভাগে সূর্যালোকের পরিমানে ব্যাপক তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, গ্রীষ্মকালীন সৌরাবর্তনের নিকটবর্তী সময়ে, উপ-সুমেরু এলাকাটিতে পূর্ণ রাত্রীকালীন সময়েও গৌধুলীর অবস্থা বিরাজ করে; কেননা, এখানে তখন সূর্য অস্ত যায় না (পৃথিবীল কৌণিক অবস্থানের কারণে, এ সময় সূর্য ১৮ ডিগ্রির নীচে অবস্থান করতে পারে না)। মূলতঃ অক্ষাংশের এই পরিসরের মধ্যে নিশাচর মেঘ সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়।

জলবায়ু ও মৃত্তিকা[সম্পাদনা]

কানাডার উপ-সুমেরু অঞ্চলের উদ্ভিজ্জ।

উপ-সুমেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা বছরে কমপক্ষে এক মাস এবং সর্বোচ্চ তিন মাস সময়কাল ১০° সেন্টিগ্রেড (৫০° ফারেনহাইট)-এর বেশি থাকে। শিতল বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বিধায় এখানে বৃষ্টিপাত কম হয়। সাধারণতঃ উষ্ণ মাসগুলিতে বৃষ্টিপাত বেশি হয়ে থাকে; গ্রীষ্মে সর্বাধিক বৃষ্টির ধরন উত্তর আমেরিকায় মাঝারি থেকে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে ভারী হয়ে থাকে। উপ-সুমেরু অঞ্চল প্রায়শই তাইগা বনাঞ্চলের বৈশিষ্ট্য দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যদিও যেখানে শীতকাল তুলনামূলকভাবে মৃদু হয়, যেমন উত্তর নরওয়েতে, বিস্তৃত পাতার বন দেখা যেতে পারে — যদিও কিছু ক্ষেত্রে মাটি প্রায় সারা বছর ধরে যেকোনো গাছের বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য খুব বেশি জল-পূর্ণ থাকে এবং বৃহত্‌ পরিসরে বিস্তৃত গাছপালা হলো বিভিন্ন জাতের ঘাস ও গুল্মলতা। উপ-সুমেরু অঞ্চলএ সাধারণত বৃহৎ স্থলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাত্র কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এল্ক, মুজ, ভাল্লুক, রেইনডিয়ার এবং নেকড়ে

কৃষি প্রধানত পশুপালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যদিও কিছু এলাকায় বার্লি চাষ করা যায়। কানাডা এবং সাইবেরিয়া খনিজে, বিশেষতঃ নিকেল, মোলিবডেনাম, কোবাল্ট, সীসা, জিংক এবং ইউরেনিয়ামে সমৃদ্ধ; বিপরীতে গ্র্যান্ড ব্যাংকস এবং ওখোৎস্ক সাগর মৎস্যসম্পদে সমৃদ্ধ বিশ্বের অন্যতম দুটি স্থান এবং অসংখ্য ছোট শহরের খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহের জন্য সহায়ক।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  • Ritter, Michael E. (২০০৬)। "The Physical Environment: an Introduction to Physical Geography"। Archived from the original on ২৫ মে ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২১  |অধ্যায়= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)