উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম
জন্ম(১৯৫৬-০৩-৩১)৩১ মার্চ ১৯৫৬
কোকড়াঝাড় জেলা, আসাম, ভারত
মৃত্যু১ মে ১৯৯০(1990-05-01) (বয়স ৩৪)
মুম্বাই
পেশালেখক, ছাত্রনেতা
ভাষাবোড়ো
শিক্ষাগুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবোড়োফা

উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম (৩১ মার্চ ১৯৫৬ - ১ মে ১৯৯০) একজন ভারতীয় বড়ো সামাজিক কর্মী এবং অল বড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন।[১]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

ব্রহ্মর জন্ম ভারতের আসামের কোকড়াঝাড় জেলার একটি ছোট জনপদ দোতমার বোরাগাড়ি গ্রামে। তিনি ছিলেন শ্রী মংলারাম ব্রহ্ম এবং শ্রীমতি লেফশ্রী ব্রহ্মর পুত্র। তিনি তাদের পঞ্চম এবং সর্বকনিষ্ঠ শিশু। শৈশবে তাকে "থোপেন" বলা হত। তিনি দারিদ্র্যের মাঝে বড় হয়েছেন।

১৯৬৩ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন, দোতমা হাই স্কুল, কোকরাঝাড় হাই স্কুল এবং ১৯৭৩ সালে ব্রহ্ম স্বামীজির নির্দেশনায় শক্তি আশ্রম উচ্চ এবং কারিগরী বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৭৫ সালে, তিনি গণিতে লেটার মার্ক নিয়ে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি কটন কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় অনার্স সহ বিএসসি লাভ করেন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তারপর ১৯৮১ সালে তার এমএসসি ডিগ্রির জন্য গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নথিভুক্ত হন। ব্রহ্ম গোসাইনিচিনার নেহরু ভোকেশনাল হাই স্কুলে বিজ্ঞানের স্নাতক শিক্ষক হিসাবেও কাজ করেছিলেন এবং সেই সময়কালে কোকড়াঝাড় সরকারি কলেজে বিএ-তে অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি ১৯৮৫ সালে তার বিএ এবং ১৯৮৬ সালে তার এমএসসি অর্জন করেন।

ব্রহ্ম ১৯৭৮-৭৯ সালে গোয়ালপাড়া জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮১-১৯৮৩ সময়কালে অল বোডো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এবং ১৯৮৬ সাল থেকে সভাপতি ছিলেন। এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও কল্যাণের জন্য কাজ করেছিলেন, যা তার সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে বলে বিশ্বাস করতেন। তার নেতৃত্বে, ABSU ছাত্রদের রাজনৈতিক পরিপক্কতা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে তার এজেন্ডার অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছিল।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

বোডোফায় শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন মণিশঙ্কর আইয়ার

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১ মে ১৯৯০ সালে মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে ব্রহ্ম মারা যান। তার মৃতদেহ কোকরাঝাড়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর ৪ মে দোটমায় সমাহিত করা হয়। যে স্থানটিতে ব্রহ্মকে সমাহিত করা হয়েছিল সেটি এখন "থুলুঙ্গাপুরি" নামে পরিচিত।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

৮ মে ১৯৯০ সালে ব্রহ্মকে তার দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বড়োফা (বড়োদের অভিভাবক) উপাধি দেওয়া হয়েছিল। তার জীবন প্রতি বছর তার মৃত্যুবার্ষিকীতে উদযাপিত হয়, যাকে এখন বোডোফা দিবস বলা হয়।

তার দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে কোকরাঝাড়ে ব্রহ্মর একটি ২১-ফুট-উচ্চ (৬.৪ মি) ব্রোঞ্জের মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছিল।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sinha, S. P. (২০০৮)। Lost opportunities: 50 years of insurgency in the North-east and India's response। Lancer Publishers। পৃষ্ঠা 181। আইএসবিএন 978-81-7062-162-1। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-০২ 

2. বড়োফা উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্ম