উপিন্দরজিত কাউর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উপিন্দরজিত কাউর
এমএলএ, পাঞ্জাব
কাজের মেয়াদ
১৯৯৭ - ২০১২
পূর্বসূরীগুরমৈল সিং (রাজনীতিবিদ)
উত্তরসূরীনভতেজ সিং চীমা
সংসদীয় এলাকাসুলতানপুর
কারিগরি শিক্ষা ও শিল্প প্রশিক্ষণ বিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৯৭ -২০০২
উত্তরসূরীরাজিন্দর কাউর ভট্টল
বিদ্যালয় শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২০০৭ -২০১০
পূর্বসূরীহরমন দাস জোহর
উত্তরসূরীসেওয়া সিং সেখওয়ান
অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
অক্টোবর ২০১০-মার্চ ২০১২
পূর্বসূরীমনপ্রীত সিং বাদল
উত্তরসূরীপারমিন্দর সিং ধিন্দসা
ব্যক্তিগত বিবরণ
রাজনৈতিক দলশিরোমণি অকালি দল
বাসস্থানকাপুরথালা, পাঞ্জাব, ভারত
ধর্মশিখধর্ম

ড. উপিন্দরজিত কাউর একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তিনি এখন শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

প্রথম জীবন[সম্পাদনা]

ড. কাউরের বাবা এস.আত্মা সিং ছিলেন পাঞ্জাব বিধানসভার এক মন্ত্রী, এবং এর সঙ্গে তিনি ছিলেন অকালি দল এক বড় নেতা এবং তার মায়ের নাম বিবি তেজ কাউর। উপিন্দরজিত কাউর দুবার স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভ করেছেন, একবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর (এমএ) এবং পরে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চন্ডীগড় থেকে পাঞ্জাবীতে স্নাতকোত্তর (এমএ)। এরপর তিনি পাতিয়ালার পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন।

শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ক অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়া তিনি কাপুরথালা জেলার, সুলতানপুর লোধি শহরের গুরু নানক খালসা কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবেও কাজ করেছেন। তিনি দুটি বই লিখেছেন - একটি হল 'ডেভলপমেন্ট অফ থিয়োরি অফ ডিমান্ড' এবং অপরটি 'শিখ রিলিজিয়ন অ্যন্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট'।[১] অর্থনৈতিক উন্নয়নে অ-অর্থনৈতিক কারণগুলির কি কি ভূমিকা হতে পারে, তা নিয়ে লেখা তার দ্বিতীয় বইটি। এটি, বিশেষতঃ, অর্থনৈতিক উন্নয়নে ধর্মের কি ভূমিকা হতে পারে তা নিয়ে লেখা। তিনি তার মূল গবেষণামূলক কাজ 'দ্য প্লেস অ্যান্ড স্ট্যাটাস অফ উইমেন ইন শিখ সোসাইটি'র জন্য ড. গান্দা সিং স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালে তিনি অকালি দলের হয়ে, সুলতানপুর নির্বাচনী ক্ষেত্র থেকে, প্রথম বারের জন্য পাঞ্জাব বিধান সভায় নির্বাচিত হন। [২] তিনি প্রকাশ সিং বাদলের সরকারি মন্ত্রিসভায় মন্ত্রি পরিষদে নির্বাচিত হন এবং তার হাতে অনেকগুলি দপ্তরের ভার দেওয়া হয়, এগুলি হল - কারিগরি শিক্ষা ও শিল্প প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক এবং পর্যটন, গৃহ এবং নগর উন্নয়ন দপ্তর।[৩] তিনি সুলতানপুর থেকে ২০০২ সালে ও পুনরায় ২০০৭ সালে নির্বাচিত হন।[৪][৫][৬] ২০০৭ সালে তিনি আবার মন্ত্রিপরিষদে মন্ত্রী হিসাবে স্থান পেয়েছিলেন এবং শিক্ষা, বেসামরিক বিমান পরিবহন, নজরদারি এবং বিচার বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০১০ সালের অক্টোবরে মনপ্রীত সিং বাদলের অপসারণের পর তিনি অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন।[৭] তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী।[৮] তিনি বিধানসভার নানা কমিটির সদস্য হয়েছেন, এর মধ্যে আছে সরকারি আয় ব্যয়ের হিসাব রক্ষক কমিটি (পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি), আনুমানিক সরকারি আয় ব্যয়ের হিসাবের কমিটি (এস্টিমেট কমিটি), পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটি (পিইউসি), হাউস কমিটি ইত্যাদি। ২০১২ সালের পাঞ্জাব নির্বাচনে তিনি সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী ছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৭২।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sikh Religion and Economic Development
  2. Punjab election 1997
  3. Upinderjit Kaur Bio[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Punjab Assembly Election 2002 Results"। ৫ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  5. Punjab Assembly Elections-2002 winners
  6. "Punjab Assembly Election 2007 Results"। ৮ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৩ 
  7. "Upinderjit Kaur is Punjab's new finance minister"। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  8. Upinderjit Kaur becomes first woman Finance Minister of Punjab[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. [১]