উপদেশামৃত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

উপদেশামৃত[১] বা উপদেশের অমৃত[২] রূপ গোস্বামী দ্বারা রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গৌড়ীয় বৈষ্ণব আধ্যাত্মিক পাঠ্য। উপদেশামৃত সম্পূর্ণরূপে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন[৩] এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ যিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য। প্রভুপাদ উপদেশামৃতের প্রতিটি অনূদিত শ্লোকের বিস্তারিত ভাষ্য বা তাৎপর্যও প্রদান করেছেন।

উপদেশামৃত গ্রন্থে, প্রভুপাদ লিখেছেন "কৃষ্ণভাবনা আন্দোলন শ্রীল রূপ গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব বা বাঙালি বৈষ্ণবরা অধিকাংশই শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর অনুসারী যাদের মধ্যে বৃন্দাবনের ষড় গোস্বামী প্রত্যক্ষ শিষ্য। তাই শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর গেয়েছেন:

রূপ-রঘুনাথ-পদে হ-ইবে আকুতি কবে হাম বুঝব সে যুগল-পিরীতি

'যখন আমি গোস্বামীদের লিখিত সাহিত্য বুঝতে আগ্রহী হব, তখন আমি রাধা এবং কৃষ্ণের চিন্ময় প্রেমময় বিষয়গুলি বুঝতে সক্ষম হব।

উপদেশামৃতের সমস্ত শ্লোক : (এ.সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ দ্বারা অনুবাদিত-বঙ্গানুবাদ : সুভগ স্বামী মহারাজ)

(১)

বাচো বেগং মনসঃ ক্রোধবেগং

জিহ্বাবেগমুদরোপস্থবেগম্

এতান্বেগান্যো বিষহেত ধীরঃ

সর্বামপীমাং পৃথিবীং স শিষ্যাৎ

অনুবাদ:

১) যে সংযমী ব্যক্তি বাক্যের বেগ, ক্রোধের বেগ, জিহ্বার বেগ, মনের বেগ, উদর এবং উপস্থের বেগ-এই ষড় বেগ দমন করতে সমর্থ, তিনি সমগ্র পৃথিবী শাসন করতে পারেন।

(২)

অত্যাহারঃ প্রয়াসশ্চ প্রজল্পো নিয়মাগ্রহঃ

জনসঙ্গশ্চ লৌল্যং চ ষড়ভির্ভক্তির্বিনশ্যতি

অনুবাদ:

২) প্রয়োজনের অতিরিক্ত আহার গ্রহণ বা প্রয়োজনাধিক অর্থ সঞ্চয়, পার্থিব সম্পদ লাভের জন্য অত্যধিক প্রচেষ্টা করা, কৃষ্ণ-বিহীন অনাবশ্যক গ্রাম্য কথন, পারমার্থিক জীবনে উন্নতি লাভের জন্য প্রয়াস না করে শুধুমাত্র শাস্ত্রের নিয়ম-নীতিগুলি অনুসরণ করার জন্যই তাদের অনুশীলন করার প্রচেষ্টা বা শাস্ত্রের নির্দেশ অমান্য পূর্বক ব্যক্তিগত খেয়াল বা ইচ্ছানুসারে কার্য-সম্পাদন করার প্রচেষ্টা, কৃষ্ণভাবনাবিমুখ জড়বিষয়ী লোকের সঙ্গ করা, পার্থিব বিষয় লাভ করার বাসনায় ব্যাকুল হওয়া কোন ব্যক্তি যখন উপরোক্ত ছয়টি দোষের দ্বারা আবদ্ধ হয়ে পড়ে, তখন তার পারমার্থিক জীবন বিনাশপ্রাপ্ত হয়।

(৩)

উৎসাহান্নিশ্চয়াদ্ধৈর্যাত্তত্তৎকর্মপ্রবর্তনাৎ

সঙ্গত্যাগাৎসতো বৃত্তেঃ ষড়ভির্ভক্তিঃ প্রসিধ্যতি

অনুবাদ:

৩) ভক্তিযোগে ভগবানের শ্রীপাদপদ্মে সেবাকার্য সম্পাদন করার অনুকূলে ছ'টি প্রধান নিয়ম বা বিধি বর্তমান আছে। যথা, সেবাকার্যে উৎসাহ, দৃঢ় বিশ্বাস বা সংকল্প, ধৈর্য ধারণ, নববিধা ভক্তির বিধি অনুসারে সেবাকার্য সম্পাদন, আসক্তি ও অসৎসঙ্গ ত্যাগ, পূর্বতন আচার্যবর্গের পদাঙ্ক অনুসরণ। এই ছয়টি বিধি অনুসারে পারমার্থিক জীবন-যাপন করলে ভক্তিযোগে অবশ্যই সিদ্ধিলাভ করা যাবে।

(৪)

দদাতি প্রতিগৃহ্নাতি গুহ্যমাখ্যাতি পৃচ্ছতি

ভুঙ্‌ক্তে ভোজয়তে চৈব ষড়বিধং প্রীতিলক্ষণম্

অনুবাদ:

৪) ভগবদ্ভক্তকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রীতিপূর্বক দান, তার নিকট হতে কোন দ্রব্য প্রতিগ্রহণ, নিজের মনের কথা ভক্তের নিকট ব্যক্ত করা এবং তার নিকট হতে ভজন বিষয়ক গুহ্য তথ্যাদি জিজ্ঞাসা করা, ভক্ত প্রদত্ত প্রসাদ গ্রহণ এবং ভক্তকে প্রীতিপূর্বক প্রসাদ ভোজন করান-ভক্তসঙ্গে প্রীতি বিনিময়ের এই ছয়টি প্রধান লক্ষণ।

(৫)

কৃষ্ণেতি যস্য গিরি তং মনসাদ্রিযেত

দীক্ষাস্তি চেৎপ্রণতিভিশ্চ ভজন্তমীশম্

শুশ্রুষয়া ভজনবিজ্ঞমনন্যমন্য-

নিন্দাদিশূন্যহৃদমীপ্সিতসঙ্গলব্ধ্যা

অনুবাদ:

৫) যে ভগবদ্ভক্ত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দিব্যনাম কীর্তন করেন, তাঁকে মনে মনে আদর করা উচিত এবং যিনি দীক্ষিত হয়ে শ্রীবিগ্রহের সেবায় রত আছেন, তাঁর উদ্দেশ্যে সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করা উচিত। আর যে শুদ্ধ ভক্ত নিরন্তর ভগবদ্ভজনে প্রকৃত উন্নত, যার হৃদয় অন্যের নিন্দাদি হতে সম্পূর্ণ মুক্ত তাঁর সঙ্গ করা উচিত এবং তাঁর অনুগত হয়ে তাঁর সেবা করা উচিত।

(৬)

দৃষ্টেঃ স্বভাবজনিতৈর্বপুষশ্চ দোষৈর্

ন প্রাকৃতত্বমিহ ভক্তজনস্য পশ্যেৎ

গঙ্গাম্ভসাং ন খলু বুদ্বুদ্‌ফেনপঙ্কৈর্

ব্রহ্মদ্রবত্বমপগচ্ছতি নীরধর্মৈঃ

অনুবাদ:

৬) তার আসল কৃষ্ণভাবনাগত অবস্থানে অবস্থিত হওয়ায়, একজন শুদ্ধ ভক্ত দেহের সাথে পরিচয় করে না। এই ধরনের ভক্তকে বস্তুবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। প্রকৃতপক্ষে, একজন ভক্তের একটি নিচু পরিবারে জন্মগ্রহণকারী দেহ, একটি খারাপ শরীর, একটি বিকৃত শরীর, বা একটি অসুস্থ বা দুর্বল শরীরকে উপেক্ষা করা উচিত। সাধারণ দৃষ্টি অনুসারে, একজন শুদ্ধ ভক্তের শরীরে এই ধরনের অপূর্ণতাগুলি বিশিষ্ট মনে হতে পারে, কিন্তু এই ধরনের অপূর্ণতা সত্ত্বেও, একজন শুদ্ধ ভক্তের শরীরকে কলুষিত করা যায় না। এটি ঠিক গঙ্গার জলের মতো, যা কখনও কখনও বর্ষাকালে বুদবুদ, ফেনা এবং কাদায় পূর্ণ থাকে। গঙ্গার জল দূষিত হয় না। যারা আধ্যাত্মিক জ্ঞানে অগ্রসর তারা জলের অবস্থা বিবেচনা না করেই গঙ্গায় স্নান করবেন।

(৭)

স্যাৎকৃষ্ণনামচরিতাদিসিতাপ্যবিদ্যা-

পিত্তোপতপ্তরসনস্য ন রোচিকা নু

কিন্ত্বাদরাদনুদিনং খলু সৈব জুষ্টা

স্বাদ্বী ক্রমাদ্ভবতি তদ্গদমূলহন্ত্রী

অনুবাদ:

৭) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নাম, গুণ, লীলাদি এবং কর্মসমূহ দিব্য মধুর রসে রসান্বিত। যদি ভগবদ-বিমুখ ব্যক্তির জিহ্বা অবিদ্যারূপ পাণ্ডুরোগের (Jaundice) দ্বারা আক্রান্ত থাকার ফলে সে মধুর ভগবৎ-তত্ত্বের স্বাদ আস্বাদন করতে পারে না, কিন্তু পরম আশ্চর্যের বিষয় এই যে, প্রত্যহ যদি সে পরম নিষ্ঠা বা যত্নের সঙ্গে মধুর হরিনাম কীর্তন করে, তা হলে স্বাভাবিকভাবেই সে (জিহ্বায়) এক মধুর রসের আস্বাদন লাভ করবে এবং এইভাবে তার রোগ ক্রমে ক্রমে সমূলে বিনাশ প্রাপ্ত হবে।

(৮)

তন্নামরূপচরিতাদিসুকীর্তনানু-

স্মৃত্যোঃ ক্রমেণ রসনামনসী নির্যোজ্য

তিষ্ঠন্ব্রজে তদনুরাগিজনানুগামী

কালং নয়েদখিলমিত্যুপদেশসারম্

অনুবাদ:

৮) সমগ্র উপদেশ সমূহের সারাংশ হল এই যে, প্রত্যেকের শ্রীভগবানের দিব্য নাম, রূপ, গুণ, লীলা আদি উত্তমরূপে নিরন্তর কীর্তন ও স্মরণ করে সময়ের সদ্ব্যবহার করা উচিত। এই উপায়ে মন ও জিহ্বা ক্রমে ক্রমে ভগবৎ-সেবায় নিয়োজিত হবে। এইভাবে ব্রজধামে (গোলোক বৃন্দাবন ধাম) বাসপূর্বক কৃষ্ণভক্তের আনুগত্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করা উচিত, এবং ভগবানের ভক্তি সেবায় নিমগ্ন তাঁর প্রিয় ভক্তের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলা উচিত।

(৯)

বৈকুণ্ঠাজ্জনিতো বরা মধুপুরী তত্রাপি রাসোৎসবাদ্

বৃন্দারণ্যমুদারপাণিরমণাত্তত্রাপি গোবর্ধনঃ

রাধাকুণ্ডমিহাপি গোকুলপতেঃ প্রেমামৃতাপ্লবনাৎ

কুর্যাদস্য বিরাজতো গিরিতটে সেবাং বিবেকীং ক

অনুবাদ:

৯) মথুরা নামক দিব্য স্থান ঐশ্বর্যময় অপ্রাকৃত জগৎ বৈকুণ্ঠ অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ, কারণ শ্রীভগবান স্বয়ং সেখানে আবির্ভূত হয়েছিলেন। আবার বৃন্দাবনের অরণ্য মথুরা মণ্ডল অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেখানে রাসলীলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, এবং গোবর্ধন পর্বত বৃন্দাবন-অরণ্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, কারণ তা শ্রীভগবানের চিন্ময় হস্তের দ্বারা উত্তোলিত হয়েছিল এবং সেখানে ভগবান নানাবিধ প্রেমময় লীলা-বিলাস সাধন করেছিলেন এবং এই সবের ঊর্ধ্বে পরম রমণীয় রাধাকুণ্ড হল সর্বোত্তম স্থান, তার কারণ তা গোকুলরাজ শ্রীকৃষ্ণের অমৃতোপম প্রেমের বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। সুতরাং এমন কোন বিবেকী ব্যক্তি কি কোথাও আছেন যিনি গোবর্ধন পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত এমন পরম রমণীয় রাধাকুণ্ডের সেবা করতে অভিলাষী নন?

(১০)

কর্মিভ্যঃ পরিতো হরেঃ প্রিয়তয়া ব্যক্তিং যযুর্জ্ঞানিন-

স্তেভ্যো জ্ঞানবিমুক্ত-ভক্তিপরমাঃ প্রেমৈকনিষ্ঠাস্তুতঃ।

তেভ্যস্তাঃ পশুপালপঙ্কজদৃশস্তাভ্যোঽপি সা রাধিকা

প্রেষ্ঠা তদ্বদিয়ং তদীয়সরসী তাং নাশ্রয়েৎ কঃ কৃতী ॥ ১০ ॥

১০) শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, সকল প্রকার সৎকর্মনিরত পুণ্যবান কর্মীর তুলনায় চিদান্বেষী জ্ঞানী ব্যক্তি শ্রীহরির প্রিয়। ঐ সকল জ্ঞানী ব্যক্তির মধ্যে যাঁরা অপেক্ষাকৃত উন্নত এবং যাঁরা তাঁদের উন্নত জ্ঞানের মাধ্যমে মুক্তির স্তর লাভ করেছেন, তাঁরা ভগবানের ভক্তি-সেবা লাভ করতে পারেন। তিনি অন্যান্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত শ্রেষ্ঠ এবং যিনি প্রকৃত কৃষ্ণপ্রেম লাভ করেছেন তিনি ঐ মুক্তি প্রাপ্ত জ্ঞানী ব্যক্তিদের তুলনায় শ্রেষ্ঠ। কিন্তু ব্রজনারীগণ (গোপীগণ) ভক্তির অনন্য স্তরে অধিষ্ঠিতা, কারণ তাঁরা কৃষ্ণগতপ্রাণা। ঐ ব্রজনারীগণের বা গোপীদের মধ্যে আবার শ্রীমতী রাধারাণী হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণের অতি প্রিয়। গোপীদের মধ্যে প্রিয়তম এই গোপীটির মতো (শ্রীমতী রাধারাণীর মতো) তাঁর কুণ্ডও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে নিগূঢ়ভাবে প্রিয়। সুতরাং এমন কে আছেন যিনি রাধাকুণ্ডের এমন অপ্রাকৃত ভাবময় পরিবেশে আশ্রয় গ্রহণ করে রাধাগোবিন্দের 'অষ্টকালীয়' ভজন না করবেন? বাস্তবিকপক্ষে যাঁরা রাধাকুণ্ডের তীরে রাধাকৃষ্ণের ভজন-সাধন করেন, তাঁরা পরম সৌভাগ্যবান।

(১১)

কৃষ্ণস্যোচ্চৈঃ প্রণয়বসতিঃ প্রেয়সীভ্যোঽপি রাধা

কুণ্ডং চাস্যা মুনিভিরভিতস্তাদৃগেব ব্যধায়ি।

যৎ প্রেষ্ঠেরপ্যলমসুলভং কিং পুনর্ভক্তিভাজাং

তৎ প্রেমেদং সকৃদপি সরঃ স্নাতুরাবিষ্করোতি ॥ ১১ ॥

১১) শ্রীমতী রাধারাণী শ্রীকৃষ্ণের ব্রজভূমির প্রেমময়ী গোপবালিকাগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠা এবং তাঁর সরোবরও তাঁরই মতো শ্রীকৃষ্ণের অতি প্রিয়। শাস্ত্রে মুনিগণ এইরূপে বর্ণনা করেছেন। এমন কি এই রাধাকুণ্ড মহান্ মুনিগণেরও দুর্লভ বস্তু। সুতরাং সাধারণ ভক্তের নিকট তা প্রকৃতই দুর্লভ। সুতরাং কেউ যদি সেই পবিত্র সরোবরে একবার অবগাহন করেন, তা হলে তাঁর অন্তরে ভগবৎ প্রেমের উদয় হবে।

[৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Narayana Maharaja, Sri Srimad Bhaktivedanta (২০০৩)। Sri Upadesamrta: The Ambrosial Advice of Sri Rupa Gosvami (Second Printing August 2003 5,000 Copies সংস্করণ)। Gaudiya Vedanta Publications। আইএসবিএন 81-86737-09-X। ২৮ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. Prabhupada, His Divine Grace A. C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada (১৯৭৫)। The Nectar of Instruction: An Authorized Enghlish Presentation of Srila Rupa Gosvami's Sri Upadesamrta (পিডিএফ) (Second Printing (1976) 100,000 copies সংস্করণ)। Bhaktivedanta Book Trust। আইএসবিএন 0-912776-85-4 
  3. Narayana Maharaja, Sri Srimad Bhaktivedanta (২০০৩)। Sri Upadesamrta: The Ambrosial Advice of Sri Rupa Gosvami (Second Printing August 2003 5,000 Copies সংস্করণ)। Gaudiya Vedanta Publications। পৃষ্ঠা xi। আইএসবিএন 81-86737-09-X। ২৮ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  4. Prabhupada, His Divine Grace A. C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada (১৯৭৫)। The Nectar of Instruction: An Authorized Enghlish Presentation of Srila Rupa Gosvami's Sri Upadesamrta (পিডিএফ) (Second Printing (1976) 100,000 copies সংস্করণ)। Bhaktivedanta Book Trust। পৃষ্ঠা vii। আইএসবিএন 0-912776-85-4 
  5. ইংরেজি অনুবাদ এ.সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। বঙ্গানুবাদঃ সুভগ স্বামী মহারাজ। শ্রীউপদেশামৃত। ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট।