ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
| ঈশ্বরগঞ্জ বিশেশ্বরী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় | |
|---|---|
| অবস্থান | |
![]() | |
ঈশ্বরগঞ্জ বাজার, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা , ময়মনসিংহ জেলা বাংলাদেশ | |
| তথ্য | |
| ধরন | সরকারি (নতুন জাতীয়করণকৃত) [১] |
| প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯১৬ |
| বিদ্যালয় জেলা | ময়মনসিংহ |
| বিদ্যালয়ের প্রধান | একেএম মোস্তফা কামাল{ভারপ্রাপ্ত} |
| শ্রেণি | ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম |
| শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১২০০+ |
| ক্যাম্পাসের ধরন | মফস্বলে অবস্থিত |
| অ্যাথলেটিক্স | হ্যান্ডবল,ব্যাডমিন্টন,স্প্রিন্ট ও দেশীয় বিভিন্ন খেলাসমূহ |
| শিক্ষা বোর্ড | ময়মনসিংহ |
| ওয়েবসাইট | http://www.ibgphs.edu.bd |
ঈশ্বরগঞ্জ বিশেশ্বরী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি সরকারি বিদ্যালয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]উনিশ শতকে ঈশ্বরগঞ্জে মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
সেই সময় তৎকালীন শিক্ষানুরাগী আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাড়িনীকান্ত লাহিড়ী, বড়দারঞ্জন রায়, সতীশ চন্দ্র ঘোষসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় গৌরীপুরের জমিদার ব্রজেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী ঈশ্বরগঞ্জে নিজ পরগণার তহসিল অফিস পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনকালে স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও আদালতে কর্মরত আইনজীবীরা জমিদারের সঙ্গে সাক্ষাত করে তার স্মৃতিস্মারক হিসেবে আদালতের সামনে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমিদারের কাছে অনুরোধ জানান। জমিদার ইতিবাচক সাড়া দিয়ে তার মা বিশ্বেশ্বরী দেবীর নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের সম্মতি এবং এর জন্য ২.৮৮ একর জমি দান করেন। সেই সাথে তিনি প্রয়োজনীয় আর্থিক ব্যয় মেটানোর জন্য স্থানীয় নায়েবকে এককালীন এবং মাসিক অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দেন। এরপর ১৯১৬ [২] সালে কাঁচামাটিয়া নদীর তীরে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ও বিদ্যালয়টি জমিদারের মায়ের নাম অনুসারে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ‘বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়’।[৩]
প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বাবু কালী কিশোর গুহ রায় সহ সাত জন শিক্ষক, একজন অফিস সহকারী, একজন দপ্তরী ও একজন নৈশ প্রহরী নিয়ে বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। [৪]। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভালো ফলাফল করায় ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই বিদ্যালয়কে স্থায়ী মঞ্জুরি দান করে। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা বোর্ড স্থায়ী মঞ্জুরি অনুমোদন করে। ১৯৮০ সালে বিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকারের পাইলট স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হয়।
কৃতি শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সৈয়দ লুত্ফুল হক, কবি ও সাংবাদিক আব্দুল হাই মাশরেকী, বিশিষ্ট নাট্যকার ও কথা সাহিত্যিক বর্তমানে বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান, ঢাকা অ্যাপোলো হাসপাতালের চীফ কনসালটেন্ট ডা. মৃণাল কুমার সরকার।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আরও ৭৩টি হাইস্কুল জাতীয়করণ হচ্ছে"। ২৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদ্যাপন"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ তালুকদার, সাইফুল ইসলাম (৩ জানুয়ারী ২০১৭)। "শতবর্ষের ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়"। archive1.ittefaq.com.bd। ঈশ্বরগঞ্জ। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|তারিখ=এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) - ↑ "জাতীয় বাতায়ন"। ১৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২২।
