ঈশিতা মালব্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঈশিতা মালব্য
ব্যক্তিগত তথ্যাদি
জন্মমুম্বাই, ভারত
বাসস্থানমণিপাল, ভারত

ঈশিতা মালব্য হলেন ভারতের প্রথম পেশাদার মহিলা সার্ফার[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে ঈশিতার সঙ্গে একজন জার্মান বিনিময় (বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের মধ্যে বিনিময় কার্যক্রম) ছাত্রের দেখা হয়েছিল, তার পরেই তিনি সার্ফিং শুরু করেন। তিনি বর্তমানে শাকা সার্ফ ক্লাব নামে একটি সার্ফ ক্লাব পরিচালনা করেন এবং সেইসাথে ভারতের উপকূলীয় কর্ণাটকে ক্যাম্প নামলোহা নামে একটি ক্যাম্প চালান।[১] শিবিরটি, অস্ট্রেলিয়ান লাইফ সেভিং সোসাইটি এবং রাষ্ট্রীয় লাইফ সেভিং সোসাইটির সাথে, জুনিয়র লাইফ গার্ডদের প্রশিক্ষণের জন্য "নিপারস প্রোগ্রাম" প্রতিষ্ঠা করেছে।[২]

ঈশিতা, তাঁর উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্ধু এবং প্রেমিক, তুষার পাথিয়ানের সাথে, কোঙ্কন উপকূলে অবস্থিত কোডি বেংরে গ্রাম থেকে সার্ফ ক্লাব চালান।[১][৩] ২০১৪ সাল পর্যন্ত, তিনিই একমাত্র ভারতীয় যিনি রক্সি সার্ফওয়্যারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।[৪]

ঈশিতা বলেছেন যে তাঁর আকাঙ্ক্ষা হল ভারতীয় উপকূলরেখাকে একটি আন্তর্জাতিক সার্ফিং গন্তব্য হিসাবে সবার সামনে তুলে ধরা।[৫]

২০১৯ সালে, তিনি এশিয়ার জন্য ফোর্বস ৩০ অনূর্ধ্ব ৩০ তালিকাভুক্ত হন।[২]

ছায়াছবি[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে, সার্ফ ক্লাব দ্য ইন্ডিয়া সার্ফ স্টোরি নামে একটি ভিডিও আপলোড করেছিল। এটি ছিল ভারতে সার্ফিংয়ের উৎপত্তি সম্পর্কে তেরো মিনিটের একটি তথ্যচিত্র। ভিডিওটির বেশিরভাগ ছবি ২০১৩ সালে ওড়িশায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া সার্ফ ফেস্টিভালে তোলা হয়েছিল। তথ্যচিত্রটি আট মাস সময় ধরে একটু একটু করে আকার নিয়েছে। ধার করা সরঞ্জাম নিয়ে ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টায় স্বল্প বাজেটে এটি তৈরি করা হয়েছিল।[৬]

২০১৪ সালে, ঈশিতা এবং অন্যান্য মহিলা সার্ফারদের জীবনের উপর ভিত্তি করে বিয়ন্ড দ্য সারফেস নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। ঈশিতার জীবন বর্ণনাকারী আরেকটি তথ্যচিত্র সহ-নির্মাণ করেছিল স্টোরিটেলার ফর গুড অ্যাণ্ড দ্য ব্রাউন গার্লস সার্ফ গোষ্ঠী।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ঈশিতার জন্ম বোম্বেতে (বর্তমানে মুম্বাই ) এবং তিনি মণিপালের মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।[৮] ২২ বছর বয়সে, তিনি তাঁর সার্ফিং ক্লাব, শাকা সার্ফ ক্লাব শুরু করতে স্থায়ীভাবে কর্ণাটকের মনিপালে চলে আসেন।[৯] সাংবাদিকতায় তাঁর ডিগ্রি আছে।[৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Goldwell, Will (৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Surfing in India: catching waves from coast to coast"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৪ 
  2. "30 Under 30 Asia 2019: Entertainment & Sports"Forbes (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৩ 
  3. Shenoy, Sonali (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "For whom the surf rolls"The New Indian Express। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৪ 
  4. Reddy, Sujata (৯ এপ্রিল ২০১৪)। "Ishita Malaviya, India's first professional female surfer, shares her secrets"Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৪ 
  5. "India's first female surfer"Vogue India। ২ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৪ 
  6. Majumdar, Rashmika (৪ জানুয়ারি ২০১৪)। "Riding the high wave"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৪ 
  7. Prasad, Trinaa (৪ জুন ২০১৪)। "Riding the Waves: The Inspiring Tale of India's First Female Surfer"NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৪ 
  8. George Ramsay। "India's first professional female surfer is changing her country's perception of the ocean"CNN। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২২ 
  9. Shenoy, Sonali (১৫ আগস্ট ২০১১)। "Surge high with India's first mermaid"। Chennai। The New Indian Express। ১৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]