ই. গায়ত্রী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইছাম্পতি গায়ত্রী
প্রাথমিক তথ্য
উদ্ভবঅন্ধ্র প্রদেশ, ভারত
ধরনভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গিত, চলচ্চিত্র সঙ্গিত
পেশাবীণা বাদক
বাদ্যযন্ত্রবীণা

ইছাম্পতি গায়ত্রী (নী গায়ত্রী বসন্ত শোবা), বীণা গায়ত্রী নামে পরিচিত (জন্ম: ৯ নভেম্বর ১৯৫৯)[১] সনাতন কার্নাতীয় সংগীতের একজন বীণা বাদক। তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী, জে.  জয়ললিতা দ্বারা ২০১৩ সালের নভেম্বরে তামিলনাড়ু সংগীত ও চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।[২][৩]

ই. গায়ত্রী ২০০২ সালে সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন, ১৯৮৪ সালে তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষে ডাঃ এমজিআরের কাছ থেকে কালাইমামণি পুরস্কার পান এবং ২০১১ সালে মাদ্রাজ ইস্ট এর রোটারি ক্লাব থেকে একটি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী, জে. জয়ললিতা, ই. গায়ত্রীকে তামিলনাড়ুর চেন্নাই, থিরুভাইয়ারু, মাদুরাই আর কইম্বাটুরে অবস্থিত সরকারি সঙ্গিত কলেজসমূহের অনরারি ডিরেক্টর বানান ২০১১ সালে। ২০১৭ সালে ওয়ার্ল্ড তামিল ইউনিভার্সিটি ই. গায়ত্রীকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে সম্মানিত করে।তিনি ভালোভাবেই একজন সফল নারী হিসেবে তার পরিশ্রমের প্রতিদান পান।

ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

ই. গায়ত্রী ১৯৫৯ সালের নভেম্বরের ৯ তারিখ কমলা আসওয়াতামা নামে একজন বীণা বিদুষী এবং তেলুগু চলচ্চিত্র জগতের চলচ্চিত্র সংগীত পরিচালক জি. আসওয়থামার নিকট জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তাঁর বাবা তাঁর নাম গায়ত্রী বসন্ত শোবা রেখেছিলেন।

গায়ত্রী প্রথমে তার পিতা-মাতার অধীনে সঙ্গিত শিখেন। পরবর্তীতে সংগীতা কলানিধি টি. এম. থায়াগারাজন[৫] নামক একজন কার্নাতীয় কণ্ঠশিল্পী ও সুরকারের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন।গায়ত্রী তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ৯ বছর বয়সে যখন শ্রী পার্থসারথী স্বামী সভা, ত্রিপলিকান তাকে ১৯৬৮ সালে তাদের সেন্ট ত্যাগরাজ উৎসবের অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সময় যেতে যেতে গায়ত্রী ভারত এবং বিদেশের বিভিন্ন পুরস্কার ও উপাধি অর্জন করে নেন।[৬] গায়ত্রী বহু অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন এবং সেগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। ২০১১ সালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী, জে. জয়ললিতা, তামিলনাড়ু সরকারী সংগীত কলেজসমূহের (চেন্নাই, তিরুভাইয়ারু, মাদুরাই এবং কোয়েম্বাটুরে) সম্মানিত পরিচালক হিসাবে তাকে নিযুক্ত করেন। ২০১৭ সালে ওয়ার্ল্ড তামিল ইউনিভার্সিটি ই. গায়ত্রীকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে সম্মানিত করে। স্পষ্টত জে. জয়ললিতা তার ক্যারিয়ারের সফলতার পিছনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন।

এসব ছাড়াও তিনি বিদেশে, যেমন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় অভিনয় করেছেন। তিনি সুরকার এ. আর. রহমান-এর 'জানা গানা মানা' সংগীত ট্র্যাকে ভারতের বহু নামী শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি যেসব পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছেন তা নিম্নরুপঃ

  • ১৩ বছর বয়সে All India Radio দ্বারা Senior Grade পুরস্কৃত; প্রতিভা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে বাছাই ছাড়া, ১৯৭৩ এ।
  • 'Kalaimamani', তামিলনাড়ু প্রদেশ পুরস্কার ড. এম. জি. আর. থেকে ১৯৮৪ সালে।
  • 'Sangeet Natak Akademi' award ২০০২ সালে ড. আব্দুল কালাম থেকে.[৭]
  • 'Kumara Gandharva' award ১৯৯৯ সালে মধ্য প্রদেশ সরকার থেকে.
  • Sangeetha Kalasikhamani, ২০০১ সালে The Indian Fine arts Society, Chennai থেকে।[৮]
  • 'Sangeetha Kalasarathy', ২০০৯ সালে Sri Parthasarathy Swami Sabha থেকে.[৪]
  • 'Lifetime Achievement' award ২০১১ সালে Rotary East Chennai থেকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Vice - Chancellor"। Tamil Nadu Music and Fine Arts University। ২ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৫ 
  2. "Gayathri is music varsity V-C"The Hindu। ২১ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৫ 
  3. "Vice Chancellor: University will have unique approach towards music"B. VijayalakshmiDeccan Chronicle। ২২ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৫ 
  4. Balasubramanian, V. (১৭ ডিসেম্বর ২০০৯)। "On a nostalgic November evening"The Hindu 
  5. "Gayathri Echampati"indiamusicinfo.com। ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  6. "On a nostalgic November evening"The Hindu। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৫ 
  7. "Sangeet Natak Akademi Puraskar (Akademi Awards)"। Sangeet Natak Akademi। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. "Sangeetha Kala Sikhamani' conferred on Gayathri"। The Hindu। ১৯ ডিসেম্বর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]