ইসলামি শিল্পের জাদুঘর, দোহা
متحف الفن الإسلامي | |
স্থাপিত | ২২ নভেম্বর ২০০৮ |
---|---|
অবস্থান | দোহা, কাতার |
স্থানাঙ্ক | ২৫°১৭′৪৩″ উত্তর ৫১°৩২′২১″ পূর্ব / ২৫.২৯৫২৮° উত্তর ৫১.৫৩৯১৭° পূর্ব |
ধরন | শিল্পকলা জাদুঘর |
মালিক | কাতার জাদুঘর |
ওয়েবসাইট | www |
ইসলামি শিল্পের জাদুঘর (আরবি: متحف الفن الإسلامي, মাসহাফ আল ফান আল-ইসলামি) কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত একটি জাদুঘর। এই জাদুঘরটি স্থপতি আই. এম. পাই নকশা করেছেন।
সুবিধাদি
[সম্পাদনা]ইসলামী শিল্পের যাদুঘরের মূল ভবনের পেছনে একটি ২৮০,০০০ বর্গমিটার বিশিষ্ট পার্ক রয়েছে। পাঁচতলা বিশিষ্ট এই জাদুঘরে রয়েছে একটা উপহারের দোকান, পাঠাগার, শ্রেণীকক্ষ এবং একটি ২০০-আসন বিশিষ্ট থিয়েটার।[১] নামায পরা ও ওযু করার জন্য জাদুঘরে রয়েছে বিশেষ স্থান। এছাড়া জাদুঘরে আছে রেস্টুরেন্ট, যেখানে আরবি খাবারের পাশাপাশি ফরাসি, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়।
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]জাদুঘরটির স্থাপত্য প্রাচীন ইসলামী স্থাপত্য দ্বারা প্রভাবিত। তথাপি এর রয়েছে অনন্য স্থাপনাশৈলী। এই স্থাপনা শৈলীর ভবন এই অঞ্চলে এটাই প্রথম। জাদুঘরে ইসলামী শিল্পকলার বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়া গবেষণা ও পড়ার জন্য আছে পাঠাগার। সাবিহা আল খেমির ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।[২]
মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট ৪৫,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত। স্থানটি আসলে একটা কৃত্রিক উপদ্বীপ, এখান থেকে দোহা উপসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত দেখা যায়। জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ ২০০৬ সালে শেষ হয়, কিন্ত পরবর্তীকালে কয়েকবার জাদুঘরের অভ্যন্তরীণ নকশায় পরিবর্তন করা হয়।[৩] তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ সালের ২২ নভেম্বরে জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বরে।[৪][৫]
জাদুঘরটির স্থপতি ছিলেন আম. এম. পাই। এসময় তার বয়স ছিল ৯১ বছর। নকশা করার পূর্বে আই. এম. পাই প্রায় ছয় মাস ধরে মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করেন মুসলিম স্থাপত্য ও ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য।[৬] এছাড়া তিনি ইসলামিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে পড়ালিখা করেন। জাদুঘরের জন্য প্রস্তাবিত সবগুলো স্থানকে অগ্রাহ্য করে আই. এম. পাই কাতার কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নতুন স্থানের আবেদন জানান। এর কারণ ছিল এমন একটি স্থানে জাদুঘরটি নির্মাণ করা যাতে জাদুঘরের উপরে ভবিষ্যতে স্থাপনা দখলের সম্ভাবনা না থাকে। পরবর্তিতে জাদুঘরটি দোহা উপসাগরের উপর নির্মিত হয়। এর পাশে নির্মাণ করা হয় একটি পার্ক। পাই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন লুভর জাদুঘর নকশায় তার সহকারী প্রতিষ্ঠান উইলমোট এন্ড অ্যাসোসিয়েটসকে এই কাজে নিয়োগ দেবার জন্য। অনুমতি পাবার পরে এই কাজে আরোক নিযুক্ত হয় ভবনের আলো নকশাকারী প্রতিষ্ঠান আইসোমেট্রিক্ত লাইটিং + ডিজাইন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক নকশা প্রতিষ্ঠান এভি কনসালটেন্টস। কাঠামোগত নকশার জন্যে কাজ করেছে লেসলি এ. রবার্টসন অ্যাসোসিয়েটস।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ মোহাম্মদ হাসান আল-কুউয়ারি, মরিয়ম খুলাইফি, জানিলা আব্দুল্লাহ ও সসন আল-হাদ্দাদ (২০১৩)। "دليـل المؤسسات الثقافية في قطر (কাতারের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরি)" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। সংস্কৃতি, শিল্প ও ঐতিহ্য মন্ত্রণালয়। পৃষ্ঠা ১৭–১৮। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ The Museum of Islamic Art homepage. mia.org.qa। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৪।
- ↑ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২২ নভেম্বর ২০০৮ কাতারের আমির দ্বারা খোলা হয়েছিল। জাদুঘরের অভ্যন্তরীণ গ্যালারী স্পেসগুলো উইলমোট অ্যাসোসিয়েটসের জেএম উইলমোটের নেতৃত্বে একটি দল ডিজাইন করেছিল। "Qatar's Islamic Art Museum to open Nov. '08" (ইংরেজি ভাষায়)। কুয়েত সংবাদ অ্য়াজেন্সি। ২৩ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Islamic Art Museum opens" (ইংরেজি ভাষায়)। গালফ দৈনিক সংবাদ। ২৩ নভেম্বর ২০০৮। ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০০৮।
- ↑ "Pei's Doha museum reflects splendor of Islamic art" (ইংরেজি ভাষায়)। International Herald Tribune। ২৩ নভেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০০৮।
- ↑ "Doha's Islamic Arts Museum :: Qatar Visitor"। www.qatarvisitor.com। ১৫ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯।