ইরাভান তোরণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইরাভান তোরণ
শুশা, আজারবাইজান
ধরনদূর্গ তোরণ
সাইটের ইতিহাস
নির্মিত১৮-শ শতাব্দী
উপকরণপ্রস্তর

ইরাভান তোরণ[১] বা খালফালি তোরণ[২] ( আজারবাইজানি: İrəvan qapısı অথবা Xəlfəli qapısı, আর্মেনীয়: Երևանի դարպաս or Խալֆալի դարպաս, ফার্সি: دروازه ایروان or دروازه خلفعلی) শুশা দুর্গের তিনটি প্রধান ফটকের মধ্যে একটি, যা শুশার পশ্চিম অংশে অবস্থিত।[৩] অন্য দুটি ফটক হল: গানজা তোরণ ও আঘোঘলান তোরণ।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

শুশা দুর্গের তিনটি প্রধান ফটক ছিল: গানজা, ইরাভান এবং আঘোঘলান। এই তোরনগুলির নাম প্রায়ই ঐতিহাসিক উত্সগুলিতে উল্লেখ করা হয়। ১৯ শতকে আঁকা নগরের সকল সাধারণ পরিকল্পনাগুলিতেও নির্দেশিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৮৭১ সালে প্রকাশিত কাভকাজ সংবাদপত্রের ২৫তম সংখ্যার একটি বিবরণ উল্লেখযোগ্য: “অবিখের ব্যারোমেট্রিক গণনা অনুসারে, শহরের উত্তর-পূর্ব অংশ, যেখানে আঘঘলান এবং এলিজাভেটপোল তোরণ অবস্থিত, ৩৮৮৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অংশটিকে "শুশা শিলা" বলা হয় এবং যার উপরে ইরাভান তোরণ স্থাপন করা হয়েছে, এটি ৪৭০৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।[৫] ১৯ শতকের ৬০-এর দশকে, এই তোরণগুলি শুশার জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যা "Иллюстрация" সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ দ্বারা প্রমাণিত। নিবন্ধ অনুসারে, আঘোঘলান এবং ইরাভান তোরণ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল, গানজা তোরণ ছিল ওয়াগন যাতায়াতের জন্য। কিছু উতসে চতুর্থ তোরণের অস্তিত্বের কথাও থাকলেও সেটির স্থান এবং নাম পাওয়া যায়নি।[১]

পানাহ আলী খানের সময় নির্মিত দুর্গের ফাটকটিকে ইরাভান বা খালফালি বলা হয়, কারণ তোরণ থেকে বের হওয়া রাস্তা নিকটস্থ খালফালি গ্রামে এবং আরও পরে ইরাভান (ইয়েরেভান) পর্যন্ত প্রলম্বিত ছিল।[৬] শুশা দুর্গের অন্যান্য ফটকের মতো এই ফাটকটিও ১৯ শতকে শহরের সাধারণ পরিকল্পনায় চিহ্নিত ছিল।[৭]

স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

গানজা ফাটকের বিপরীতে, ইরাভান তোরণকে আরও ঐতিহ্যগতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল - এটি একটি সূক্ষ্ম খিলান আকারে নকশা করা হয়েছিল এবং প্রতিসাম্যভাবে অবস্থিত দুই স্তরের যুদ্ধের টাওয়ার দিয়ে উভয় পাশে সুরক্ষিত ছিল।[৭]

১৯ শতকের অঙ্কন এবং শুশার সাধারণ পরিকল্পনায়, এই টাওয়ারগুলির সংখ্যা ১ এবং ২,[৭] সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত। যেহেতু ইরাভান তোরণ শহরের দুর্গের পশ্চিম পরিধি ছিল,[৮] তোরণ থেকেই টাওয়ারগুলির গণনা শুরু হয়েছিল। যদিও বর্তমানে তোরণের ধ্বংসাবশেষ টিকে আছে, সারা আশুরবেইলি, যিনি ১৯৩০ এর দশকে শুশা অভিযানের অংশ হিসাবে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন, উল্লেখ করেছেন যে তিনি তোরণের খিলানগুলি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।[৯]

তোরণের নকশা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মির্জা ইউসুফ কারাবাঘি (২০০৬)। Tārīkh-i Sāfī / Truthful History (পিডিএফ)। Şərq-Qərb nəşriyyatı। পৃষ্ঠা ৩৫। 
  2. নাজিম মেমেদভ (২০১৬)। Azərbaycan Respublikasının Şuşa şəhərinin tarixi (পিডিএফ)। আভ্রপা। পৃষ্ঠা ২১৩। 
  3. চিঙ্গিজ কাজার (২০১৯)। Köhnə Şuşa (পিডিএফ)। Şərq-Qərb। পৃষ্ঠা ৫৯। 
  4. "Şuşa qalası" (আজারবাইজানী ভাষায়)। heydaraliyev-centers.az। নভেম্বর ৯, ২০২০। ডিসেম্বর ৫, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২ 
  5. K., Никитин (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৮৭১)। "Корреспонденция Кавказа" (পিডিএফ)Кавказতিবি‌লিসি। পৃষ্ঠা ২। 
  6. আভালভ ১৯৭৭, পৃ. ৩৪।
  7. আভালভ ১৯৭৭, পৃ. ৩৫।
  8. Khalilzadeh Flora (২০১৩)। Ruhumuzun ünvanı Şuşa (পিডিএফ)। Zərdabi LTD। পৃষ্ঠা ১০। 
  9. সারা আশুরবেইলি (১৯৩৪)। Архитектура Шуши и ее ближащих окрестностей। পৃষ্ঠা ১২। 

গ্রন্থসূত্র[সম্পাদনা]