আঘোঘলান তোরণ
আঘোঘলান তোরণ | |
---|---|
Ağoğlan qapısı Muxtar qapısı Şuşakənd qapısı | |
শুশা, আজারবাইজান | |
স্থানাঙ্ক | ৪৬°৪৪′৫৮″ উত্তর ৩৯°৪৫′৫৫″ পূর্ব / ৪৬.৭৪৯৪৪° উত্তর ৩৯.৭৬৫২৮° পূর্ব |
ধরন | দূর্গ তোরণ |
সাইটের ইতিহাস | |
নির্মিত | ১৭৫০ |
উপকরণ | পাথর |
আঘোঘলান তোরণ (আজারবাইজানি: Ağoğlan qapısı),[১] মুখতার তোরণ ( আজারবাইজানি: Muxtar qapısı) অথবা শুশিকেন্ড তোরণ (আজারবাইজানি: Şuşakənd qapısı) নামেও পরিচিত, আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের শুশা দুর্গের চারটি প্রবেশদ্বারের একটি।[২][৩]
বর্ণনা
[সম্পাদনা]খানাত যুগে নগর উন্নয়নে মধ্যযুগীয় ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে, সুসা দুর্গের প্রাচীরে চারটি তোরণ নির্মিত হয়েছিল। প্রধান ফটকটি আজারবাইজানের গাঞ্জার রাস্তার দিকে উত্তরমুখী ছিল ফলে এর নামকরণ করা হয়েছে গানজা তোরণ। পশ্চিমের তোরণটি ইরানি ইরাভান খানাতসহ পশ্চিমাঞ্চলের মুখোমুখি ছিল এবং তাই একে ইরাভান তোরণ ডাকা হয়। অন্য দুটি তোরণ আশেপাশের উচ্চভূমির গ্রামগুলির জন্য খোলে৷ সুসার অভ্যন্তরীণ দুর্গটি গানজা তোরণের কাছে একটি চূড়ায় অবস্থিত ছিল।[৪]
পানাহ আলী খানের শাসনামলে শুশা নগরের সাথে শুশিকেন্ড ও মুখতার গ্রামের সংযোগের জন্য অঘোঘলান তোরণ থেকে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯ শতকের সকল রুশ ভাষার পাঠ্যে, শুশা শহরের দক্ষিণের ফাটককে 'আগোগলান তোরণ' হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯ শতকে, শুশা কারাগার এই তোরণের কাছে দুর্গের নীচের অংশে নির্মিত হয়েছিল। কারাগার নির্মাণের সময়, দুর্গের দেয়াল এবং প্রতিরক্ষা টাওয়ারের কিছু অংশ কারাগারের দেয়াল হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।[৫][৬]
শুশা দুর্গের অন্যান্য ফটকের মতো এই ফাটকটিও ১৯ শতকে শহরের সাধারণ পরিকল্পনায় চিহ্নিত ছিল।[৫] ১৮৪৬ সালে প্রকাশিত "কাফকাজ তাকভিমি" এর সাথে সংযুক্ত একটি সড়ক মানচিত্র অনুসারে, শুশা দুর্গটি এই তোরণের মধ্য দিয়ে যাওয়ার রাস্তা দিয়ে আঘোঘলান দুর্গের সাথে সংযুক্ত ছিল। সূত্রে উল্লেখিত এই ফাটকের আরেকটি নাম তোপখানা তোরণ।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দুর্গ এবং শহরটি নাগোর্নো-কারাবাখ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অংশ ছিল; যা পরে ১৯৯২ সালের ৮ মে সুসার যুদ্ধের পরে স্বঘোষিত আর্টসাখ প্রজাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে আসে। ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর আজারবাইজানীয় সশস্ত্র বাহিনী ৩ দিনের দীর্ঘ যুদ্ধের পরে শহরটি পুনরুদ্ধার করে।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Карта к дорожнику Кавказского края. (১৮৪৫)। Кавказский календар на 1846 год।
- ↑ "ДРЕВНИЙ ГАРАБАГ"। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১০।
- ↑ War Against Azerbaijan – Targeting Cultural Heritage। Ministry of Foreign Affairs, Republic of Azerbaijan। ২০০৭। আইএসবিএন 978-9952-8091-4-5।
- ↑ Очерки Закавказья. "Иллюстрация" (т. VII সংস্করণ)। ১৮৬১। পৃষ্ঠা 257।
- ↑ ক খ Авалов, Э. В. (১৯৭২)। "О некоторых особенностях архитектуры оборонительных сооружений Шуши"। Изв. АН Азерб. ССР сер. Лит. Яз. и Иск. (2)।
- ↑ Nersesov (Qarabaği), Mirzə Yusif (২০০৬)। Tarixi-Safi (পিডিএফ) (Qarabağnamələr. II kitab সংস্করণ)। Bakı: Şərq-Qərb nəşriyyatı। পৃষ্ঠা 35।
- ↑ "Karabakh Foundation - Shusha"। ৪ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১০।
- ↑ "Ministry of Culture - Shusha city"। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১০।