বিষয়বস্তুতে চলুন

ইরানের মন্ত্রিসভা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইরানের মন্ত্রিসভা (ফার্সি: هیئت‌دولت ایران, প্রতিবর্ণীকৃত: Heyatedovlat-e Iran) ইরানের রাষ্ট্রপতির দ্বারা নির্বাচিত এবং নেতৃত্বাধীন সরকারী কর্মকর্তা, মন্ত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি আনুষ্ঠানিক সংস্থা। এর গঠন সংসদে ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে। ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের সংবিধান অনুযায়ী একজন রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্যদের বরখাস্ত করতে পারেন, তবে তা লিখিতভাবে করতে হবে এবং নতুন নিয়োগকারীদের আবার সংসদ দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। তেহরানে মন্ত্রিসভা সাপ্তাহিক শনিবার বৈঠক করে। পরিস্থিতির প্রয়োজনে অতিরিক্ত বৈঠক হতে পারে। রাষ্ট্রপতি তাদের সভাপতিত্ব করেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনেই সংসদীয় সিদ্ধান্ত ব্যতীত মন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি এবং রাষ্ট্রপতিদের মতো মন্ত্রিসভার সদস্যদের বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন। (উদ্ধৃতি প্রয়োজন)

প্রাক-বিপ্লব

[সম্পাদনা]

১৬৯৯ সাল থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত ইরানের মন্ত্রিসভা উজিরে আজমদের নেতৃত্বে ছিল যারা ইরানের শাহ দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিল।

১৯০৫ সালের পারস্যের সাংবিধানিক বিপ্লবের ফলে ১৯০৬ সালের পারস্য সংবিধান তৈরি হয় এবং ইরানী সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদস্যরা সাধারণ জনগণ থেকে নির্বাচিত হন। উজিরে আজমের পদ বিলুপ্ত করা হয় এবং ইরানের প্রধানমন্ত্রী দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। সংবিধানে বলা হয়েছে যে সকল প্রধানমন্ত্রীকে অনুমোদন ও অপসারণের জন্য সংসদে ভোটের সাপেক্ষে থাকতে হবে।

১৯০৭ থেকে ১৯৫১ সময়কালে সমস্ত প্রধানমন্ত্রী ইরানী সংসদের আস্থা ভোটের সাপেক্ষে শাহ কর্তৃক নির্বাচিত হন। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্যরা নিজেদের মধ্যে (সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অধিষ্ঠিত দলের প্রধান) আস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন। শাহ রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে, তারপর সংসদীয় গণতন্ত্রের ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতি অনুসারে সংসদের নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করেন। ১৯৫৩ সালের ইরানের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেগকে অপসারণের পর, এই প্রথাটি বিলুপ্ত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ১৯৫১ সালের আগে কার্যকর প্রক্রিয়ায় ফিরে আসে।

রাষ্ট্রপতি রুহানি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন, ১ অক্টোবর ২০১৫

বিপ্লব-পরবর্তী

[সম্পাদনা]

১৯৭৯ সালের ইরানী বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শাহের অবস্থান অপসারণ করা হয় এবং কার্যকরভাবে ইরানের রাজতন্ত্রের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটে। ইরানের নতুন ইসলামী সংবিধানে বলা হয়েছে যে ইরানের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ ইরানের মন্ত্রিসভাকে মনোনীত করবেন, যা ইরানের সংসদে আস্থা ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হবে। ১৯৮৯ সালের সাংবিধানিক সংশোধনী কার্যকরভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদের অবসান ঘটিয়েছে এবং এর ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেছে।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]