ইয়াঙ্গুন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়
ရန်ကုန်နည်းပညာတက္ကသိုလ် | |
নীতিবাক্য | စက်မှုတတ်မျိုး ပြည့်အကျိုး |
---|---|
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ১৯২৪ |
রেক্টর | ড. মিন্ত থিন[১] |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৮৯ (২০০৭)[১] |
শিক্ষার্থী | ১,৫০০ |
স্নাতক | প্রায় ১,০০০ |
স্নাতকোত্তর | ৩২৯ (২০০৭)[১] |
অবস্থান | |
অধিভুক্তি | আশিয়ান ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক, জিএমএসএআরএন |
ওয়েবসাইট | www |
উপাধি | |
---|---|
ইয়াঙ্গুন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: Yangon Technological University; সংক্ষেপেঃ YTU; বর্মী: ရန်ကုန်နည်းပညာတက္ကသိုလ် [jàɴɡòʊɴ nípjɪ̀ɴɲà tɛʔkəθò]) ইয়াঙ্গুনের গয়গনে অবস্থিত মায়ানমারের সেরা প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯২৪ সালে রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ প্রকৌশল বিভাগ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া[২] এবং এর পুরাতন নাম রেঙ্গুন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আরআইটি) হিসাবেই অধিক পরিচিত ওয়াইটিইউ দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন এবং বৃহত্তম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও মায়ানমারে প্রকৌশল শিক্ষা দানকারী সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রকৌশল বিভাগে প্রায় ৮,০০০ শিক্ষার্থীকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। এছাড়াও ওয়াইটিইউ আসিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্ক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রকৌশল শিক্ষা উন্নয়ন নেটওয়ার্ক (AUN/SEED-Net) এবং বৃহত্তর মেকং উপ-অঞ্চল শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্ক (GMSARN) এর সদস্য।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯২৪ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশিক যুগে রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রকৌশল বিভাগ হিসাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্ভব ঘটে। প্রথমাবস্থায় এই বিভাগটির অবস্থান ছিলো ইয়াঙ্গুনের পুরাতন শহরতলীতে অবস্থিত রেঙ্গুন জেনারেল হাসপাতালের বর্ধির চত্ত্বরে এবং মাত্র দুই জন প্রভাষক ও ১৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়।[২] ১৯২৭ সালে এটি একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসাবে মর্যাদা লাভ করে, যখন একে বর্মা তেল কোম্পানি (Burmah Oil Company)-এর নামানুসারে বিওসি প্রকৌশল ও খনিবিদ্যা কলেজ (BOC College of Engineering and Mining) হিসাবে নামকরন করা হয় এবং চার মাইল উত্তরে এটিকে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৩৮ সালে সংযুক্ত বিষয় হিসাবে যন্ত্র ও বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিষয়টির অন্তর্ভূক্তির পূর্ব পর্যন্ত পুরকৌশল বিভাগই ছিল এখান হতে একমাত্র শিক্ষা দানকারী বিষয়।[১][২]
১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কলেজটি রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৯৪৮ সালে বার্মার স্বাধীনতা লাভের পর এই কলেজটিতে ১৯৫৪ সালে খনিবিদ্যা, রাসায়নিক প্রকৌশল, ধাতুবিদ্যা এবং স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগ এবং ১৯৫৫ সালে বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগ খোলা হয়।
১৯৬১ সালে কলেজটি রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বার্মা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (BIT) নামধারণ করে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক নির্মিত গাইগোনের বর্তমান ভবন এলাকায় স্থানান্তরিত হয়।[২] ১৯৬৪ সালে, বিআইটিকে রেঙ্গুন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (RIT) হিসাবে নামকরণ করা হয় এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো যে, এটিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।[১][৩] রেঙ্গুনন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃৃক প্রদত্ত বিজ্ঞানে স্নাতক (প্রকৌশল) এবং বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (প্রকৌশল) ডিগ্রির পরিবর্তে আরআইটি প্রকৌশলে স্নাতক এবং প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান শুরু করে তখন থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিগত বছরগুলিতে বর্তমানে ১১টি বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করছে। কেবল ১৯৯৭ সাল হতে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদাণ শুরু করা হয়েছে।
১৯৯০ সালে পুনরায় এর নামকরণ করা হয় ইয়াঙ্গুন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (YIT) এবং এটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেয়া হয়। ১৯৯৭ এটি বর্তমান নাম ইয়াঙ্গুন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (YTU) হিসাবে নথিভূক্ত হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Dr. Mya Mya Oo (2008-01-04). "Activities of COEs in Myanmar". Yangon Technological University. Retrieved on 2008-11-23. [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ ঘ "History of RIT"। ২০০৮-০৪-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-১৩।
- ↑ Dr. Sayne Lei Shwe. "Technology and State Development". Ministry of Science and Technology. Retrieved on 2008-09-13. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। Archived from the original on ২০১১-০৬-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইউএসএ ওয়াইআইটি এ্যালমনাই
- সিংগাপুর ওয়াইআইটি এ্যালমনাই
- Myanmar Engineering Society
- আরআইটি এ্যালমনাই
- ইয়াঙ্গুন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে - অফিসিয়াল সাইট।