ইন্দোনেশিয়া–ফিজি সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইন্দোনেশিয়া-ফিজি সম্পর্ক
মানচিত্র Fiji এবং Indonesia অবস্থান নির্দেশ করছে

ফিজি

ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়া-ফিজি সম্পর্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিজির মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৭৪ সালে এই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই সময় প্রাথমিকভাবে নিউজিল্যান্ড এর রাজধানী ওয়েলিংটন -এ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের মাধ্যেমেই ফিজি বিষয়ক কূটনৈতিক এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করা হত। পরবর্তীতে, ২০০২ সালের ২২ আগস্ট, প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে, ফিজির রাজধানী সুভাতে ইন্দোনেশিয়া তাদের দূতাবাস স্থাপন করে।[১] এর ৯ বছর পর, ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল, ফিজিও ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় তাদের দূতাবাস স্থাপন করে।[২]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ২০০৭ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৬ মিলিয়ন (৩.৬ কোটি) মার্কিন ডলারের[৩] তা সত্ত্বেও, ইন্দোনেশিয়া, ফিজিকে এই ক্ষেত্রে গুরুত্বের সাথেই দেখে। ইন্দোনেশীয় কর্মকর্তাদের মতে, ইন্দোনেশিয়া, ফিজিকে, দক্ষিণ-প্রশান্ত অঞ্চলের বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করে। ইন্দোনেশিয়ান সেন্টার ফর স্ট্যাটিস্টিকস এর মতে, এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রচুর বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং এই বাণিজ্য ঘাটতি ফিজির ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে, এই দুই দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, প্রতি বছরই ইন্দোনেশিয়ার উদ্বৃত্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০০৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ১৮.৬৩ মিলিয়ন (১.৮৬৩ কোটি) মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয় ১৮.৭৪ মিলিয়ন (১.৮৭৪ কোটি) মার্কিন ডলার। ২০০৮ সালে তার আরও বেড়ে হয় ২৩.২৩ মিলিয়ন (২.৩২৩ কোটি) মার্কিন ডলার। [১]

ফিজি, তাদের দৈনন্দিন চাহিদার পণ্যসামগ্রীর জন্য বৈদেশিক আমদানির উপর নির্ভরশীল। কারণ এসকল পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হয় হয় না। এসকল ক্ষেত্রে ফিজি মূলত অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এর সাথে বাণিজ্য করত। ইন্দোনেশিয়া পরবর্তীতে এই জায়গা নেয়ার চেষ্টা করে। ফিজিতে, ইন্দোনেশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে, কাগজ, টেক্সটাইল, আঁশ, ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি, গৃহস্থালির সামগ্রী, আসবাবপত্র, খাদ্য, কফি, শ্যাম্পু, সাবান, ডিটারজেন্ট, প্লাস্টিক, রাসায়নিক দ্রব্য, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশ, কৃষিজ যন্ত্রপাতি প্রভৃতি।[১]

সমন্বয়, শিক্ষা এবং সাহায্য[সম্পাদনা]

প্রারম্ভিকভাবে, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি ছিল বাণিজ্য খাত। তবে পরবর্তীতে এই দুই দেশ তাদের এই সম্পর্কের দিকটিকে অন্যান্য খাতে নেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়। অন্যান্য খাতের মধ্যে রয়েছে, পর্যটন, ব্যবসা এবং শিক্ষা খাত। ফিজি তাদের বহু শিক্ষার্থীকে ইন্দোনেশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য পাঠিয়েছে।[৩] ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি, ইন্দোনেশিয়া সরকার, সুভার, নাসোভায় পূর্বপরিকল্পিত, আঞ্চলিক পুলিশ একডেমি গঠনের লক্ষ্যে ৫.২৮ লক্ষ মার্কিন ডলার সহায়তা দান করে। ফিজি ভিত্তিক এই একাডেমিতে মেলেনেশীয়ো দেশগুলোর পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hubungan dan Kerja Sama Bilateral RI-Fiji" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস, সুভা। ৩০ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৮, ২০১৪ 
  2. "Welcome to the Fiji Embassy"ফিজি দূতাবাস, জাকার্তা 
  3. "Fiji opens embassy in Indonesia to boost bilateral ties"। জিনহুয়ানেট। এপ্রিল ৬, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৮, ২০১৪ 
  4. উনাইসি ভেসিকুলা (জানুয়ারি ৮, ২০১৪)। "Indonesia Gives Funds For Proposed Police Academy In Fiji"। প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টার। এপ্রিল ২৯, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৮, ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]