বিষয়বস্তুতে চলুন

ইথা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইথা
রেস্তোরাঁর ভিতরে অংশ
রেস্তোরাঁর তথ্য
স্লোগানসাগরের নিচে পৃথিবীর প্রথম রেস্তোরাঁ
প্রতিষ্ঠা১৫ এপ্রিল ২০০৫ (2005-04-15)
বর্তমান মালিককনরাড হোটেলস
খাবারের ধরনমালদ্বীভিয়-পশ্চিমা খাবার
পোষাক-রীতিআধুনিক
রাস্তার ঠিকানারাঙগালি দ্বীপ
রাজ্যআলিফ ধাল অ্যাটোল
দেশমালদ্বীপ
বসার ধারণক্ষমতা১৪
ওয়েবসাইটআনুষ্ঠানিক বাতায়ন

ইথা, মালদ্বীপের স্থানীয় ভাষা দিবেহীতে এর অর্থ মুক্তা। সমুদ্রতলদেশীয় রেস্তোরাঁ হিসেবে এটি, ২০০৫ সালের ১৫ই এপ্রিল এর যাত্রা শুরু করে। ইথা, রাঙগালি দ্বীপের লেগুন ও স্পন্দনশীল প্রবালপ্রাচীরের ঢেউয়ের মাঝে স্থাপিত। সমুদ্রে পানির নিচে ভোজনের পাশাপাশি ২৭০ ডিগ্রি প্যানারমিক দৃশ্য দেখার উপযোগী করে ইথার নকশা করা হয়েছে।[১]

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

[সম্পাদনা]

বিশ্বের প্রথম সমুদ্রতলদেশীয় রেষ্টুরেন্ট ইথা, ২০০৫ সালের ১৫ই এপ্রিল হতে যাত্রা শুরু করে। আধুনিক অ্যাকোয়ারিয়াম স্থাপত্য নকশায় সমুদ্রপৃষ্ঠের ৫ মিটার নিচে নির্মিত স্পন্দনশীল প্রবালপ্রাচীরে ঘেরা রেস্তোরাঁয় একসাথে মাত্র ১৪ জন খেতে পারেন। নিমজ্জিত ইথার চারিদিকে শত শত প্রজাতির মাছ, প্রবাল প্রভৃতি দেখা যায়। হাঙ্গরের মতো মাছও ঘুরে বেড়ায়। ইথারের খাবার তালিকায় মালদ্বীপের স্থানীয় খাবার সহ ইউরোপিয়ান খাবারও রয়েছে। প্রবেশের জন্যে অতিথিদেরকে ঘাটের সাথে লাগান খড়ের প্যাভিলন ধরে প্যাচানো ঢালু এক সিঁড়ি বেয়ে নামতে হয়, যার নকশা প্রনয়ন করে কুয়ালালামপুর জাতীয় বিজ্ঞান কেন্দ্র। ২০০৪ সালের নির্মাণের পর সম্পূর্ণ প্রকল্পকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অ্যাকোয়ারিয়াম টানেল হিসাবে স্বীকৃতি পায়।[২]

নির্মাণ

[সম্পাদনা]

নিউজিল্যান্ডের স্থাপত্য নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এম. জে. মরফি ইথার নকশা, পরিকল্পনা এবং নির্মাণে সহায়তা করে।[৩] হিলটন মালদ্বীপ রিসোর্ট এন্ড স্পা হোটেলের পূনঃনির্মাণের অংশ হিসেবে সমুদ্রের তলদেশে রেস্তোরাঁ নির্মাণের পরিকল্পনা যুক্ত করা হয়।[২]

এটাই সমুদ্রের নিচে নির্মিত সবচাইতে বৃহৎ স্থাপনা; আধুনিক অ্যাকোয়ারিয়াম আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে ইথা নির্মিত। নয় মিটার লম্বা পাচঁ মিটার প্রশস্থ ১২৫ মিমি পুরুত্ব বিশিষ্ট স্বচ্ছ ধনুক আকৃতির এ্যক্রেলিক ব্যবহার করা হয়েছে। এ্যক্রেলিক সংযোগস্থলে পানির নিচে ব্যবহার উপযোগী বিশেষ সিলিকন সিল ব্যবহার করা হয়েছে। পাটাতনে ব্যবহৃত কাঠ এসেছে নিউজিল্যন্ড থেকে। ভিতর ও বাইরের আস্তরন এ ব্যবহৃত হয়েছে কানাডা থেকে আনা পশ্চিমের বিখ্যাত লাল সীডার কাঠ। সম্পূর্ণ কাঠামো সিঙ্গাপুরে সংযুক্ত করা হয়। অতঃপর সিঙ্গাপুর হতে রাংগালি দ্বীপে নিয়ে আসা হয়। যাত্রা মেয়াদছিল ১৬ দিন এবং সম্পূর্ণ কাঠামোকে পানির নিচে রেখে আনা হয়েছিল। রির্সোট এর প্রবেশ মুখ যথেষ্ট গভীর না থাকায় দ্বীপের সম্পূর্ণ প্রবেশ প্রণালীকে গভীরভাবে খনন করতে হয়। কাঠামোটি চারটি ইস্পাতের স্তম্ভ এর উপর যা সমুদ্রতলের ভিতরে আট মিটার গভীরে স্থাপিত। প্রতিটি ইস্পাতের সমুদ্রের তলদেশে বসানোর সময় জীবন্ত প্রবালপ্রাচীরের নুন্যতম ক্ষতি এড়াতে বার্জ মাউন্টেন্ড ভাইব্রো-হ্যামার ব্যভার হয়েছিল। ডুবন্ত অবস্থায় এটির ওজন ১৭৫ টন এবং কাঠামোর তলদেশের সাথে যুক্ত করতে ৮৫ টন বালু ঢাকা হয়েছিল।[৪] ইথার নির্মাণ খরচ প্রায় ৫ মিলিয়ন ইউ এস ডলার।[৩]

বিশেষত্ব

[সম্পাদনা]

ইথা সমুদ্রের তলদেশে নির্মিত ও চালু হওয়া বিশ্বের প্রথম রেস্তোরাঁ।[৫] দেশটির একমাত্র রেস্তোরাঁ যেখানে মালদ্বীপের স্থানীয় খাবারের সাথে ইউরোপিয় খাবারের ফিউশন করা মেন্যু পরিবেশন করা হয়।[৩][৬]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Dinning and Drinking"হিলটন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  2. "Ithaa Undersea Restaurant"Atlas Obscura (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  3. Faridi, S. A.। "Ithaa: An Undersea Restaurant"www.nbmcw.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  4. "Featuring the Ithaa Undersea Restaurant in Maldives!" (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৬ 
  5. "অবসর কাটান সমুদ্র তলে"আরটিভি অনলাইন। ২০১৭-০১-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 
  6. Travelmail (২০১৪-০৫-০৮)। "Inside the world's first all-glass underwater restaurant"Mail Online। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-২৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]