ইতিহাস একাডেমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইতিহাস একাডেমি বাংলাদেশের  ইতিহাস গবেষকদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। ২০০১ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনানুষ্ঠানিকভাবে সংঠগনটির উৎপত্তি হয়। ২০০৫ সালে এটি বাংলাদেশর সরকারের অনুমোদিত তালিকায় নিবন্ধিত হয় । এর সদর দফ্তর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত।[১]

উদ্দেশ্যে ও বিবরণ[সম্পাদনা]

প্রবীন নবীন শিক্ষক, অনুসন্ধিৎসু শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বিজ্ঞানসম্মত ও প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস চর্চা ও গবেষণার নতুন দিক নির্দেশনা প্রদান ইতিহাস একাডেমীর উদ্দেশ্য। একটি নির্বাহী কমিটি কর্তৃক ইতিহাস একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। নির্বাহী কমিটিতে রয়েছে একজন সভাপতি, একজন পরিচালক, পাঁচজন সহসভাপতি, একজন সচিব, একজন সহকারী সচিব, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ১৫ জন সদস্য। ইতিহাস নিয়ে আগ্রহী যেকোন স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন ব্যক্তি ইতিহাস একাডেমীর সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারে। [১]

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষকদের নিয়ে নতুন নতুন গবেষণার ক্ষেত্র তৈরিতে ইতিহাস একাডেমী প্রতি বছরই বিভিন্ন ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানের সেমিনারের আয়োজন করে। গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ক ওয়ার্কসপের আয়োজন এবং ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক গবেষণামূলক পত্রিকা ও পুস্তক প্রকাশে অবদান রাখে এ একাডেমি । ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানের সেমিনারের আয়োজন ছাড়া প্রতিষ্ঠালগগ্ন ইতিহাস একাডেমী বাংলাদেশের প্রাচীনতম ইতিহাস ঐতিহ্য, প্রত্নতত্ত্ব স্থাপত্যশিল্প, নারী আন্দোলন, নারীবাদ, শিল্পকলা, শিক্ষা-সাহিত্য, দর্শন, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্ম ও রাজনীতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের ওপর গবেষণায় গবেষকদেরকে উৎসাহী করে থাকে।[১]

সাময়িকী[সম্পাদনা]

২০০৩ সালে একাডেমী ইতিহাস : সমকালীন ঐতিহাসিকদের কলমে ’শিরোনামে সংগঠনটি তাদের প্রথম জার্নাল প্রকাশ করে। এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ইতিহাস প্রবন্ধমালা  শিরোনামে সংগঠনটির উদ্যেগে নিয়মিত সাময়িকী প্রকাশ হয়।[১]

প্রকাশিতগ্রন্থ[সম্পাদনা]

ইতিহাস একাডেমী থেকে ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক একাধিক আকর গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে -

  1. ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উৎস
  2. সোমপুর মহাবিহারের পোড়ামাটির ফলকে জীব বৈচিত্র্য
  3. দ্য আরলি হিস্টরি অব সাউথ ইস্ট বেঙ্গল (The Early History of South East Bengal)[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ইতিহাস একাডেমি"বাংলাপিডিয়া। লেখক- [ফজিলাতুন নেছা]। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০২০