আল গাজ্জালী (বই)
![]() বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ | |
লেখক | শিবলী নোমানী |
---|---|
মূল শিরোনাম | উর্দু: الغزالی |
ভাষা | উর্দু (মূল) |
বিষয় | আবু হামিদ আল-গাজ্জালি |
ধরন | জীবনী |
প্রকাশিত | ১৯০২ |
আইএসবিএন | ৯৭৮৯৬২৫৫৯৭৬২১ |
ওসিএলসি | ৭৯৩৩৫৮০২৫ |
২৯৭.০৯ | |
ওয়েবসাইট | shibliebooks.com |
আল গাজ্জালী (উর্দু: الغزالی) আবু হামিদ আল-গাজ্জালিকে নিয়ে রচিত শিবলী নোমানীর একটি জীবনী সাহিত্য। সৈয়দ আহমদ খানের নির্দেশে শিবলী নোমানী এই গ্রন্থটি রচনা করেন। গ্রন্থটি ১৯০২ সালে মাতবানামী কানপুর থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। একই বছরে মাতবা শামস, হায়দারাবাদ দকনি থেকে এর দ্বিতীয় প্রকাশ হয়। এই গ্রন্থটি মূলত শিবলীর রচিত দর্শনবিদ্যার সূফী ত্বত্ত্বের প্রথম গ্রন্থ। এটি ইমাম গাজ্জালির উপর রচিত জীবনী গ্রন্থ হলেও এর মাঝে দর্শন তত্ত্ব পরিস্ফুটিত। গ্রন্থটিতে তিনি ইমাম গাজ্জালির চেতনা শক্তির উৎকর্ষকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তার জ্ঞান বিদ্যার গবেষণার কারণে তিনি নিজেকে প্রভুপ্রেমে আত্মনিয়োগে বাধিত করেছেন, তার বর্ণনাও এতে তিনি তুলে ধরেন।[১]
বর্ণনা[সম্পাদনা]
১৮৮২ সালে সৈয়দ আহমদ খান কর্তৃক শিবলী নোমানী আলিগড় কলেজে নিয়োগ পান। তখন নবাব ওম্মাদুল মুলক ছিলেন শিয়া সম্প্রদায়ের লোক এবং সৈয়দ বলগারামী কলেজের বিদ্যোৎসাহী। শিবলী নোমানীর আল ফারুক লেখনীর শুরুতেই সৈয়দ আহমদ মনে করেছিলেন যেহেতু ওম্মাদুল মুলক শিয়া সম্প্রদায়ের লোক তাই গ্রন্থটির মাধ্যমে শিয়া—সুন্নীর বিতর্ক আরম্ভ হবে এবং নবাব ক্ষুব্ধ হবেন। তাই তিনি শিবলীকে আল ফারুক গ্রন্থের পরিবর্তে ইমাম গাজ্জালির উপর জীবনী গ্রন্থ লেখার প্রতি উৎসাহী করেন।[১]
এই গ্রন্থে শিবলী দেখিয়েছেন ইমাম গাজ্জালি তৎকালীন পারিপার্শ্বিক সংস্কার আর বিভিন্ন ঘটনাবলী দ্বারা প্রভাবিত হন। যার ফলে তিনি তার জীবনের একটা অংশ রহস্য উদঘাটনে ব্রতী থাকেন। গ্রন্থটিতে শুরু থেকে ২৮ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ইমাম গাজ্জালির জীবনী নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বাকী আলোচনা তার গ্রন্থপঞ্জি নিয়ে। গ্রন্থটিতে মাঝে মাঝে ঐ যুগের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, শাসন ও শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কেও ব্যাপক ধারণা পাওয়া যায়। রাজনীতি, পদ গ্রহণ আর দুনিয়া বিমুখতা সম্পর্কেও বিশদ আলোচনা করেন। পরিশেষে তিনি তার সহযোগী সন্তান এবং মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেন।[১]
শিবলীর রচিত আল গাজ্জালী সম্পর্কে ড. সৈয়দ শাহ আলী বলেন,[১]
“ | গ্রন্থটির মাঝে গাজ্জালীর পারিবারিক জীবন, স্বভাব চরিত্র এবং বর্ণিল জীবনের আলোচনার তেমন পরিস্ফুটন দেখা যায় না। | ” |
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ মাহমুদ, মিনহাজ উদ্দীন (২০১৬)। উর্দু সাহিত্যে আল্লামা শিবলী নোমানীর অবদান (গবেষণাপত্র)। উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৫৭–৫৮।
গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]
- আহরারি, মুহাম্মদ জাফর (১৯৯৯)। উর্দু সাহিত্যের নবজাগরণ এবং শিবলী (গবেষণাপত্র) (ইংরেজি ভাষায়)। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৬১–১৬৩।
- আম্মার, আব্দুল হাই (২০১৭)। উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীতে সৈয়দ আহমদ খান, কাসেম নানুতুবি, শিবলী নোমানী, মানাজির আহসান গিলানি, আবুল কালাম আজাদের মত মুসলিম চিন্তাবিদদের শিক্ষা ভাবনা। ভারত: জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া। পৃষ্ঠা ১৬৩–১৬৪। hdl:10603/313157।
- খাতুন, শায়েস্তা (২০১৩)। মুসলিম মহিলাদের শিক্ষা ও সামাজিক বিকাশে আল্লামা শিবলীর ভূমিকা (গবেষণাপত্র) (উর্দু ভাষায়)। উর্দু বিভাগ, বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৫২–৫৫।
- আজিজ, শহিদ (২০১৬)। জীবনী সাহিত্য রচনায় মুহাম্মদ হুসাইন হাইকল এবং শিবলী নোমানীর তুলনামূলক অধ্যয়ন (গবেষণাপত্র) (আরবি ভাষায়)। বাবা গোলাম শাহ বাদশাহ বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ২০৮–২১৮।
- আহরারি, মুহাম্মদ জাফর (১৯৯৯)। উর্দু সাহিত্যের নবজাগরণ এবং শিবলী (গবেষণাপত্র) (ইংরেজি ভাষায়)। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৩১৪–৩২৯।
- আজিজ, শহিদ (২০১৬)। "জীবনী সাহিত্য রচনায় মুহাম্মদ হুসাইন হাইকল এবং শিবলী নোমানীর তুলনামূলক অধ্যয়ন"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, বাবা গোলাম শাহ বাদশাহ বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)।
- আবু বকর, এম. সি. (২০১৪)। "হালি এবং শিবলীর উল্লেখ সহ উর্দুতে জীবনী সাহিত্য"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, উর্দু বিভাগ, শ্রী বেঙ্কটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয় (উর্দু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১।
- তালাত, জাফর (২০১৭)। "জীবনী সাহিত্যে শিবলী নোমানী"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- আল গাজ্জালীর উর্দু সংস্করণ